ক্যাম্পাসে সব ধরনের কর্মশালা, সভা-সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ শিক্ষনীয় ও ক্যারিয়ারমূলক যে কোন অনুষ্ঠানকে আমি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এই তো সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বনন’ উচ্চারণ-আবৃত্তি ও উপাস্থাপনা বিষয়ক পাঁচদিন ব্যপি একটি কর্মশালার আয়োজন করল। বাংলাদেশের খ্যাতনামা আবৃত্তিকার, উপাস্থপাকও উচ্চারণ বিশেষজ্ঞরা কর্মশালায় ক্লাস নেন। এটি শুরু হওয়ার ২দিন পর আমি জানতে পারলাম কর্মশালাটি চলছে। সাথে সাথে ফোন স্বনন আহবায়কের কাছে..যে করেই হোক আমি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করব।
কর্মশালার পুরো ফি দিয়ে রেজিষ্ট্রশন করে নিলাম।
আজকে (মঙ্গলবার) ছিল শেষ দিন। ক্লাস নিলেনে দেশের খ্যাতনামা উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ গোলাম সারোয়ার। খুবই চমৎকার তার উচ্চারণ। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম।
উচ্চারণে আমাদের অনেক ভুল। অমরা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারি না। কারণ আমরা একদিনের মধ্যে আমরা আশপাশের মানুষদের কাছ থেকে শুদ্ধ উচ্চারণ শুনিনি। যার কারণে আমরা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারি না। ‘আমি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে পারলাম তুমি এসেছো’ স্যার এই পঙতিটি সবাইকে ধরলেন।
তিনজনছাড়া বাকি সবাই শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারলেন না। স্যার বললেন- আমাদের বেশি করে শুদ্ধ উচচারণ শুনতে হবে, তাহলে আমরা শুদ্ধ উচ্চারণ করতে পারব।
ছন্দের ওপর ক্লাস নেন- জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনি’র সাবেক সভাপতি শিমুল সালাহউদ্দিন। আবৃত্তির ওপর ক্লাস নেন দেশের অন্যতম আবৃত্তিকার ও নির্দেশক মীর বরকত।
২।
আজকের ক্যাম্পাসের কর্মব্যস্ততা শুরু হল এগ্রিকালচার প্রডিউসিং মার্কেটিং ইন বাংলাদেশ নামক কোর্সটির ক্লাস করার মধ্য দিয়ে। এর পর ইন্ট্রুডাকশন সোস্যালোজি এ্নড সাইকোলজি কোর্সটি হয়। আমি করতে করিনি। এগারটায় একটা প্রেস কনফারেন্স ছিল। সেখানে যেতে হয়েছিল।
বিজনেস স্টাডিজ ফেকাল্টি ডিবেটিং ফোরাম (বিএফডিএফ) ২য় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগীতা আয়োজন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন। এটি শেষ করে আবার অরগানাজশনাল বিহিবেভার নামক কোর্সটির ক্লাস করলাম। ক্লাস শেষ করে গেলাম ব্যাংকে। আমার এটিএম কার্ডটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আরেকটি কার্ড সংগ্রহ করতে লাগলা। এই কাজগুলোর মধে ফোনে অনেক কাজ করতে হল।
প্রথম আলোর রাবি প্রতিনিধি বাবু ভাই ফোন দিলেন..সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন স্যারের নম্বর দিলাম। বিবর্তন এবার ক্যাম্পাসে বরাবরের মতো পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে। তার জন্য মিডিয়া পার্টনার খুজতে একথাটি ফোনে জানিয়ে দিলেন জুলহাজ ভাই। ব্যাংকে কাজ করার সময় আমার ইত্তেফাকের রাজশাহী ব্যুরো আনিস ভাই ক্যাম্পাসে আসছেন কোন কাজে। আমাকে দেখা করতে বললেন তার সাথে।
তা্ই দ্রুত ব্যাংকের কাজ সেরে ক্যাম্পাসে আসলাম। সময় ২:৪০ মিনিট। দেখা হলো ভাইয়ের সাথে। নাট্যকলা বিভাগের সভাতির পদ থেকে অপসারণের দাবীতে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। তারা ভিসির বাসভবন ঘেড়াও কর্মসূচি পালন করছে।
তিনি আমাকে ব্রিফ দিলেন নিউজটি কোন এঙ্গেলে করতে হবে । সময় এদিকে ৩:১৫। ২:৩০ মিনিটে আজকে কর্মশালার শেষ দিন। এখনো সেখানে উপস্থিত হতে পারিনি। কথা শেষ করেই এক দৌড়ে রবীন্দ্র ভবনের ১২২ নং কক্ষে উপস্থিত।
যথারীতি ক্লাস শুরু। ক্যাম্পাস রির্পোটার হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসতে লাগলাম। ক্লাসও করতে লাগলাম সেই সাথে। এতে ক্লাসের মনোযোগে কোন বিচ্যুতি ঘটেনি। নির্ধিদ্বায় ক্লাস করে গেলাম।
ক্লাস চলবে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত। ঠিক পাঁচটায় আমার সহপাঠী তরিকুলের বার্থডে প্রো্গ্রাম। ক্যাম্পাসের সিলসিলা রেস্তোরাতে। ক্লাস শেষ হল সেই ৬:৫৫মিনিটে। একটু দেরী হল কারণ আজকে সবাইকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হচেছ।
বার্থডে প্রোগ্রামে যেতে পারলাম না। তরিকুল ফোনের উপর ফোন দিচেছ। আমি এসএমএস করে পাঠিয়ে দিলাম আসা সম্ভব হচেছ না। তোমরা কেক কেটে নাও। বনধু আমার তরিক আমার ওপর সেই রাগ।
এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু ( ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্তৃক বহিস্কৃত কর্মী) ফোন দিয়ে একটা তথ্য জানাল। কিছু ছাত্রলীগের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকাতে ফেনসিডিল খেতে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। নিউজ করতে হবে। অপু ভাই এদর বিরোধী গ্রুপের । তাই তথ্যটি দিল।
কর্মশালাটি শেষ করা মাত্রই রিকসা নিয়ে হলে চলে আসলাম। আজকে পত্রিকায় নিউজ করা হয়নি। সন্ধ্যা সাতটায় নিউজ করি। তখন বাজে রাত আটটা। তারপর রাতের খাবার।
শাকির ইকরাম
৬ এ্রপ্রিল-১১
সময়: সকাল ৫:১০মি:
শের-ই-বাংলা হল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।