আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাদলা দিনের সাজ

কদম, বেলি, কামিনী, মালতীর সময় এখন। বর্ষা-প্রকৃতি উপভোগ করার খুব আয়োজন যে নগরে পাওয়া যায় তা নয়। তবে বৃষ্টির দিনে ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ নাকে এলে বা ধোয়া সবুজ পাতায় চোখ পড়লে মনটা তো একটু কেমন করেই ওঠে।
সারা দিনই আকাশজুড়ে ধূসর মেঘের আনাগোনা আর তার মাঝে প্রকৃতির এই যে বিচিত্র রঙের খেলা, এই বিষয়টিতে খুব আকর্ষণ বোধ করেন বিবিয়ানার ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বছরের বেশির ভাগ সময়জুড়ে গরম থাকে, তাই আবহাওয়ার কারণে পোশাকে গাঢ় রঙের ব্যবহারটা এড়িয়ে চলা হয়।

বর্ষার সময়ে পোশাকের গাঢ় রংগুলো ছাপিয়ে দেয় আশপাশের ধূসরতাকে। ’ গাঢ় হলুদ, কমলা, রানি, গোলাপি অথবা গাঢ় সবুজের মতো রংগুলোকে এবার প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বিবিয়ানার বর্ষার পোশাকে। টাঙ্গাইলে সুতি শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্টে তুলে ধরা হয়েছে জবা, কদম আর জংলি ফুল, লতাপাতার নকশা। হলুদ রঙের শাড়ির সঙ্গে সাদাকালো, ধূসর রঙের সঙ্গে রংধনুর সাত রং আর গোলাপির সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের সমন্বয়ে তুলে ধরা হয়েছে প্রকৃতির উচ্ছলতাকে। ফুলেল নকশার স্ক্রিন প্রিন্টে ব্যবহার করা হয়েছে নানা রং।

হালকা সাজে তো বটেই, এমনকি বর্ষার দিনে যেকোনো নিমন্ত্রণেও বেশ মানিয়ে যাবে এই শাড়িগুলো। এ ছাড়া বৃষ্টিতে ভিজলে খুব সহজেই শুকিয়ে যায় বলে বর্ষার এ সময়টায় হাফ সিল্কের শাড়িগুলো বেশ উপযোগী বলে জানালেন লিপি খন্দকার। বিবিয়ানায় টাঙ্গাইলের তাঁতের ওপর ফুলেল নকশার শাড়িগুলোর দাম পড়বে এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার টাকা। আর হাফসিল্ক শাড়িগুলোর দাম পড়বে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
বর্ষার মূল সৌন্দর্যটা রবীন্দ্রনাথের গান আর কবিতায় খঁুজে পান নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান।

তিনি জানান, রবীন্দ্রনাথের লেখা বর্ষার গান ও কবিতায় প্রকৃতির যে মোহময় রূপ ফুটে ওঠে, সেটি এবার নিত্য উপহারের পোশাকে তুলে ধরা হচ্ছে। শুধু নীল-ই নয়, বর্ষার এই সময় প্রকৃতিতে যে উজ্জ্বল রঙের সমারোহ ঘটে, সেই রংগুলোকেই এবারের নিত্য উপহারের শাড়ি ও টি-শার্টে ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে নকশা অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছে পোশাকের। ফুল, ফড়িং, লতাপাতা, ময়ূর, ময়ূরী এ রকম ব্যতিক্রমী নামের টি-শার্ট এবং শাড়ি মিলবে নিত্য উপহারের শোরুমে।
বৃষ্টিভেজা দিনে সাজগোজে পানিনিরোধক মেকআপ-সামগ্রী ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।

তিনি বলেন, উজ্জ্বল রঙের শাড়ির সঙ্গে চোখের মেকআপটা হওয়া চাই আকর্ষণীয়। যেহেতু বৃষ্টির দিন, তাই আইলাইনারটা বাদ দেওয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে শািড়র রংটা যেমনই হোক না কেন, তার সঙ্গে বেছে নিতে পারেন গাঢ় নীল অথবা সবুজ রঙের কাজল। চোখে একটু বড় করে কাজল লাগিয়ে তা হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন। শ্যাডোর ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন গোলাপি বা ছাই রং।

যে রঙের শ্যাডোটি বেছে নেবেন, সেটি চোখের ওপরের অংশে হালকা এবং িনচের অংশে গাঢ় করে লাগান। বর্ষার সাজে পূর্ণতা আনে ফুল। সে ক্ষেত্রে আলতো খোঁপা করে চুলে লাগাতে পারেন কৃষ্ণচূড়া, রঙ্গন অথবা দোলনচাঁপা। চুল যদি ছোট হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে হাতে জড়িয়ে নিতে পারেন বেলি ফুলের মালা। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে কপালে একটি টিপ পরে নিন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.