"আমারে ফিরায়ে লহো অয়ি বসুন্ধরে, কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে"-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১।
শ্রাবণ মাস। চরিদিকে থই থই পানি। উঁচু সড়কে দাড়ালে দেখা যায় বিলের পানিতে ঢেউ এর খেলা আর সেই ঢেউয়ের তালে নাচতে থাকা কচুরিপানা। সবুজের উপরে সাদা,গোলাপী আর নীল রঙে মিশ্রিত কচুরিফুল আর শাপলা হেলেন্ঞা মিলে সমগ্র বিলে এক নৈস্বর্গীক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।
যতদূরে চোখ যায় ততই বিধাতার বিশালতার আর সৃষ্টিশীলতার স্বরূপ প্রমাণিত হয়।
বিলের সেই বিশালতার মাঝে ছোট দ্বিপের মত ছায়ানিবিড় একটি গ্রাম। পাঁচটি পাড়ায় গোটা বিশেক বাড়ি,আর তার মাঝে ছেচল্লিশটি ঘর এবং প্রতিটি ঘরে সুখ, দুঃখ, আদর , মমতা, প্রেম -ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, বিরহ , বেদনা, মূর্খতা, অন্ধ বিশ্বাস, লোভ, পাপ, হিংসা-বিদ্বেষ, আলো, আঁধার সবকিছুই রয়েছে এবং দিন, মাস আর বছরের প্রত্যাবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে সবকিছুই প্রত্যাবর্তীত হয় সেখানে। প্রায় প্রতিটি দোচালা ঘরেই অভাব নিত্যসঙ্গী।
বর্ষাকালে ঘরের সেঁত সেঁতে মাটির মেঝেতে দেখা যায় সাপ কেঁচোর অবাধ বিচরনের দাগ।
কখনো গভীর রাতে সন্তানের গাঁ হাতরে দেখতে গিয়ে সাপ ধরে ফেলেন মা। মুড়ির পাত্রে পিঁপড়া আর গুড়ের উপর মাছির ঝাক। মেঝের গর্ত থেকে লাফিয়ে উঠে ব্যাঙ। বর্ষার পানিতে ক্ষয়ে যাওয়া হাত পায়ের আঙুল। এসবই গ্রামবাংলার নিত্যপরিচিত পরিচিতি।
যে পরিচিতি থেকেও রেহাই পায়নি বাড়ইতলী নামের সেই ছোট গ্রামটি।
কথিত আছে প্রায় দুই শ বছর আগে বাড়ই বাবা নামের এক সন্ন্যাসী এসে প্রথম আস্তানা গাড়ে এই ছোট ঝারের মত গ্রামটিতে। তখন সেখানে কোন মানুষের বসবাস ছিলো না। বিলের মাঝে ছোট একটা জঙ্গলের মত ছিলো জায়গা টা। আশেপাশের গ্রামের কৃষকরা বিলে কাজে আসলেও ভুলেও এই জঙ্গলের দিকে পাঁ বাড়াতো না।
তাদের বিশ্বাস ছিলো এই জঙ্গলে জ্বীন পরীর আছর রয়েছে। তার পেছনে যথেষ্ঠ কারণও ছিলো। শোনা যায় ঐ জঙ্গলে যারা একবার ঢুকেছে তারা আর জীবিত ফিরে আসে নি। তাছারা ঐ জঙ্গলে যে বড় করই গাছগুলো ছিলো তা নিয়েও মতভেদ ছিলো। কারও মতে ১৫৬টি আবার কারওমতে ২৫৬টি।
আবার কেউ কেউ বলতো দিনে ১৫৬টি গাছ থাকে আর রাতে ২৫৬টি।
যাইহোক,বাড়ই বাবা নিরব একটি জায়গা পেয়ে একান্তে ধ্যানে বসতেন সেখানে। ধীরে ধীরে লোকে জানতে পারে সেই সন্ন্যাসী এবং তার ক্ষমতা সম্বন্ধে। তখন জমিদার হেমন্ত মানিক্যের ছেলে ইন্দ্র মানিক্যের জটিল এক অসুখ ধরেছিলো। লোকে বলতো পরীর আছর পড়েছে।
সন্ন্যাসীর সুনাম শুনে জমিদার সন্তানকে নিয়ে তার দ্বারস্থ হলেন। সন্ন্যাসীর মন্ত্রে রোগমুক্তি হলে জমিদার বাবু সন্ন্যাসীর সেবার জন্য কিছু প্রজা নিয়োগ দেন। সন্ন্যাসীর মৃত্যুর পরে সেই প্রজারাই সেখানে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে এবং কালক্রমে তাদের বংশধরেরাই বর্তমান বাড়ইতলী গ্রামের অধিবাসী।
একসময় অনেক হিন্দু পরিবার বসত করতো সেখানে,কিন্তু দেশ ভাগের সময় তারা কলকাতায় পাড়ি জমিয়েছিলো। এখনও দক্ষিন পাড়ায় কিছু হিন্দু পরিবার বাস করে।
দক্ষিন পাড়াকে তাই সবাই কাপালি পাড়া বলেই চিনে। ধর্মে পার্থক্য থাকলেও এই গ্রামের প্রতিটি মানুষের মধ্যেই আছে প্রীতি আর সৌহার্দ্যবোধ। গ্রাম থেকে গ্রামে যেন মানবতার এই বার্তাকে বহন করে ঐ দক্ষিনা বাতাস।
২।
উত্তর পাড়ার আজগর সৈয়াল এর ছেলে হারুন সৈয়াল।
গ্রামের লোক হারু বলেই চিনে ওকে। বংশের প্রদীপ জ্বালোনোর শেষ সদস্য হারু। গারো শ্যামলা বর্নের মধ্যম দেহের গড়ন আর লম্বা ঝোলা বাবরি চুল যেন অন্য মাত্রা যোগ করেছে। বয়স হবে চব্বিশ কি ছাব্বিশ। গ্রামের সকলেই হারুকে নম্র, ভদ্র, আর অমায়িক ছেলে হিসাবেই জানে।
ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে মায়ের টানা ফোরনের সংসারের দায়িত্ব হারুকে নিতে হয় অল্পবয়সেই। সিজনে আলু ক্ষেতে বদলি দেয় আর বর্ষায় পাট কাটার চুক্তি। গলা সমান পানিতে ডুব দিয়ে বগা কাস্তে দিয়ে গোড়া থেকে গাছ আলাদা করে আটি বেধে রাখা। এতে করে বিরম্বনারও শেষ নেই। মহাজন টাকা নিয়ে ঝমেলা করে আর পেট দানা পানি না পেয়ে বিদ্রহ করে।
বাপের রেখে যাওয়া ছোট্ট একটি ভিটে বাড়ি আর তার সামনে একটি মাঝারি কোলা(বাড়ির বাইরের অংশের চাষবাসের ছোট জমি) যেখানে লাউ আর ঢেঁড়স গাছ লাগিয়েছে আজগর সৈয়ালের স্ত্রী খোদেজা বেগম। পৈত্রিকসূত্রে আরও একটি জিনিস পেয়েছে হারু। আর সেটি হলো দাদার আমলের নকশা করা গজার কাঠের নৌকা যার পাটাতনের কাঠে পঁচন ধরেছে যেখান দিয়ে সরু নলে পানি উঠে আর মাঝখানের গৈরা নরবরে। প্রতিবার বর্ষার সময়ে কলা গাছের ফালির উপরে ভর করে ডাঙায় তুলে আলকাতরা মেখে পানিতে নামায় আর পানি নেমে গেলে পূর্ব ধারের খালে ডুবিয়া রাখা হয়।
দুপুরে খাওয়ার পরে মাঝ পাড়ার আবুল শেখের বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে হারু।
সকালে বাবু মাষ্টারের ছেলেকে দিয়ে খবর পাঠিয়েছিলো আবুল শেখ। শেখেরা চার ভাই -আদনান শেখ,নেহাল শেখ,আবুল শেখ আর ইদ্রিস শেখ।
আদনান শেখের প্রথম স্ত্রী মারা গেছে তিন বছর পূর্বে। যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে একুশ বছরের এক ছেলেকে রেখে মারা যায় সে। গতবছর আবার একটি বিয়ে করেছেন।
এই ঘরেও একটি ছেলে সন্তান সদ্য জন্ম নিয়েছে।
নেহাল শেখ সাদাসিধে লোক। কারও সাতেও নেই পাঁচেও নেই। ছেলে মেয়ে মিলে সাত সন্তান তার। ঘরে সুখের চেয়ে অভাবই লক্ষ করা যায় বেশী।
তার স্ত্রী একাই সংসারটাকে টিকিয়ে রেখেছেন।
ইদা শেখ (ইদ্রিস শেখ) আবার নতুন বাড়ি করেছে উত্তর পাড়ায়। কিন্তু বাপ দাদার ভিটার মায়া ছেড়ে যায়নি সেখানে। ঐ ভিটা বাড়িতে আবার কুমড়ার চাষ করে সে। পাড়ার সকলে তাকে দারুন চালাক ও ধুর্ত ব্যাক্তি হিসাবেই চিনে।
গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের মধ্যে আবুল শেখ ভালোই সম্মানিত। বিলে সাত কানি জমি আছে তার। তার জমিতে আঠারো থেকে বিশজন সারা বছর কামলা খাটে।
আবুল শেখের একটি মাত্র মেয়ে। হলুদ শ্যামলা বর্নের ছিপ ছিপে দেহ আর গভীর শ্যাম কালো চোখের মেয়েটির নাম রাখা হয়েছে শিউলি।
ষোরষী কন্যাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন মেয়ের বাবা। এখনই বড় বড় ঘর থেকে পণিপ্রার্থিদের প্রস্তাব আসা শুরু করেছে। পাড়ার ছেলেদের উৎপাতও নেহাত কম নয়। কিন্তু আবুল শেখের বড় সাধ মেয়েকে আট ক্লাশ পর্যন্ত পড়িয়ে শ্বশুর বাড়িতে পাঠাবেন।
৩।
নৌকার কার্নিশের সাথে বৈঠার ঘোত ঘোত ঘর্ষনের শব্দ খালের দুপাড় থেকে প্রতিদ্ধনি করছিলো। পানিতে পাট কেটে আঁটি বেধে ফেলে রাখা হয়েছে আঁশ ছারাবার জন্য। পঁচা পাটের সোঁদা গন্ধ নাকে এসে বাধছিলো। হালকা কেশে গলা ছেরে গান ধরলো হারু_______
"মন মাঝি খবরদার,
আমার তরী যেন ভেরে না
আমার নৌকা যেন ডোবে না...............
সাড়ে তিনহাত নৌকারই খাঁচা
মন মাঝিরে ঘন ঘন জোড়া.................."
সেই সূর এক অপূর্ব মূর্ছনায় তরঙ্গাকারে দূর থেকে দূরে ভেসে গেলো।
আবুল শেখের বাড়ির পশ্চিম ধারে নৌকা ভিরায় হারু।
হিজল গাছটার সাথে নৌকা বেধে লুঙ্গিটা কাছা দিয়ে হাটু সমান পানি পার হয়ে বাড়ির উঠানে এসে দাড়ায় সে। চোখ পড়ে শিউলির দিকে। দুয়ারে বসে চুলে বেনী করছিলো শিউলি। ঠোটে রাঙা লিপষ্টিক আর কপালে সবুজ টিপ। চোখে কালো কাজলও পড়েছে।
লাল রঙের সেলোয়ারে বেশ মানিয়েছে মেয়েটাকে। শিউলি হারুর দিকে তাকাতেই চোখ সরিয়ে নেয় হারু।
-আরে হারু ভাই,কি মনে কইরা আমাগো বাড়িতে?তোমারে তো খবর দিয়াও আনন যায় না। সব বালো তো?
-হ ,টুলু কইলো চাচায় বলে আইতে কইছে।
-তোমার পায়ে ঐডা কি?জোঁক মনে হয়।
খারাও আমি নুন লইয়া আহি।
দ্রুত ঘরের দিকে ঢুকলো শিউলি। পানি পার হয়ে আসার সময় জোঁক বেধেছে পায়ে। এভাবেই জোঁকেরা গরীবের রক্ত চোষে। কোন কামড় নয় কোন ব্যাথা নয়।
শুধু শুষেই চলে যতক্ষন না পরিতৃপ্ত হয়। হারু মুখ থেকে একদলা থু থু ছেরে দিল জোঁকাটার উপর। সাথে সাথেই জোকটা মাটিতে পড়ে গেলো। হারু কাঠি দিয়ে সেটা তুলে দূরে ফেলে দিয়ে পূর্বের স্থানে এসে দাড়ালো। বাড়িতে ঢুকার সময় হারু লুঙ্গির কাছা খুলতে ভুলে গিয়েছিলো।
ঐ অবস্থায় তাকে একটি মেয়ে দেখেছে মনে মনে ভেবে লজ্জিত হয়ে কাছাটা ছেড়ে দিলো সে।
এদিকে শিউলি হাতের তালুতে লবন নিয়ে হাজির।
-এই যে নুন নেও। দিলে জোঁক ছাইরা যাইবো।
-ঐডা তো আমি ফালাইদিছি।
(মাটিতে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ দিয়ে আঁচর কাটতে কাটতে বললো হারু)
-আমি দেহি আরো নুন লইয়া আইলাম তোমার লাইগ্গা। দেহ আর কোথায় কোথায় জোঁকে দরছে?
বলেই হাসতে লাগলো শিউলি। লজ্জায় হারুর মুখ পাংশু বর্ন ধারন করলো। তখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে। মুখ ফুটে শুধু বললো,
-চাচায় কি ঘরে আছ?
-হ আছে।
ডাকন লাগবো হেরে?
-হ হেয় আইতে কইছিলো। মনেঅয় কথা আছে। ডাকন যাইবো?
-বিতরে আইয়া বহো আমি ডাকতাছি।
-না না বিতরে যামু না। হেরে একটু আইতে কও।
হাসতে হাসতে ভিতরে চলে গেলো শিউলি। হারুর প্রতি শিউলির কোথায় যেন একটা দূর্বলতা রয়েছে। হারু খানিকটা বুঝতে পারলেও না বোঝার ভান করে থাকে। বড়লোকের বেটীদের তো কোন ভারসা নেই। হাডতে হাসতে কি থেকে কি বলে ফেলে।
জৈষ্ঠমাসে শিউলির সই তারার বিয়ে হয়। সেখানে গীত গাইতে ডেকেছিলো হারুকে। ঐ দিন শিউলি হারুর গানের প্রশংশা করেবলেছিলো,"ইস কেউ যদি আমারে এমন কইরা সারাজীবন গীত হোনাইতো!" সেই শুরু হলো বান্ধবীদের টিটকারী। তারাতো একসময় শিউলির পেটে চিমটি কেটে বলেই ফেললো,"তাইলে আমাগো হারু ভাইয়ের গলায় ঝুইলা পর। "
তখন ওর লজ্জায় লাল মুখটা দেখার মতই ছিলো।
দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়েছিলো শিউলি। ঘটনাটা হারুও শুনতে পেয়েছিলো। কিন্তু সেদিকে খেয়াল দেয়ার সাধ্য তার নেই।
ততক্ষনে চলে এসেছেন আবুল শেখ। চৌচালা ঘরটার লোহা কাঠের উপর নকশা করা দরজার সামনে দাড়িয়ে,
-কি হবর সৈয়ালের পো।
আছ কেমুন?আও বিতরে আও।
-হ চাচা। আইতে কইছিলেন বলে। কোন জরুরী কথা?
-একডা দরকার আছে অবশ্যই। তা ভাবী বালো আছেনি?
-মায় বালো আছে।
আপনের কথা কয়,চাচীরেও যাইতে কয়। মায়তো চাচীর উপরে গোস্বা করছে। কয় হের সই বলে দেহা করতে যায় না। আর মায়তো অহন একরকম আডাচলা করতেই পারে না।
-শুনছিরে বাপ।
যামু,একদিন সবাই তোমাগো বাড়ি মেজবান অইয়া যামু। তা তুমি অহন কি করতাছো?
-এইতো চাচা মাদবর বাড়ীর চুক্তিতে পাট কাইটা দিলাম। অহনে কয়দিন ধইরা কাম কাইজ নাই।
-বুজলাম,তাইলে মিয়া তুমি এক কাম কর,হাটের থাইকা হপ্তায় দুইবার আমার মালের চালান আহে। তোমার বাপে বড় ভালো লোক আছিলো।
তুমিও হের কাবিল পোলা। ভাইবা চিন্তা দেখলাম এই কামডা আমি তোমারেই দিতে পারি। কি কও তুমি?
-আমি কি কমু চাচা। আপনে কইছেন আমার কি না কওয়ার ক্ষেমতা আছে?
-এইতো বেডা পোলার লাহান কথা কইছো। তাইলে পরশু থাইক্যা চালান আনা শুরু কর।
বাইতে আইয়ো আমি কাম সব বুঝাইয়া দিমুনে।
-আইচ্ছা চাচা তাইলে আমি উডি। সালামালাইকুম।
-হ যাও। কিছু তো মুখে দিলা না।
বও আমি শিউলিরে ডাকতাছি খাওন আনতে।
-না চাচা,আইজ না। উডি তাইলে।
হিজলা গাছের ডাল থেকে বাঁধন খুলে নৌকা ভাসালো হারু। ঘরের পিছনের বেতঝারের থেকে লুকিয়ে হারুর যাওয়ার পথটি দেখছিলো শিউলি।
নৌকার আলকাতরার উপর পশ্চিমা রোদ পড়ায় পানির উপর চিক চিক করছিলো আলোর প্রতিচ্ছবি। সেই মাঝিকে দেখতে যেন চোখ জুরায় না বালিকার। ডানদিকে যেয়ে হারিয়ে গেলো নৌকাটি কিন্তু সেই পথটিকে দেখতেই ভালো লাগে তরুনীর। মাঝির সেই হারিয়ে যাওয়ায় হৃদয়ের কোথায় যেন ব্যাথার সন্ঞার হয় তার। মনে চায় সারাজীবন তাকে দেখতে।
শিউলি বুঝতে পারে হারুর প্রতি তার দূর্বলাতা কিন্তু হারু বঝতে পারে না বলে রাগ হয়। হারুকে নিয়ে সে স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নে অজানায় হারিয়ে যায় কোন নির্জন দ্বীপে। সেখানে শুধু থাকবে দুজন। আর দুজন দুজনার।
এমনিকরে হারুকে নিয়ে অনেক স্বপ্নের বুনন গড়েছে সে।
কিন্তু বালিকা জানে না যে হারুরা স্বপ্ন দেখতে জানে না। স্বপ্ন দেখার মত স্পৃহা থাকলেও তার বাস্তবতা নেই তাদের মাঝে। এমনি অনেক কিছুই সাধ থাকলেও সাধ্য নেই প্রতিটি গ্রামে অগোচরে থাকা হারুদের।
[চলিতে থাকিবে............]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।