আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
প্রিয়তমা,
তোমার জন্য আমি পাড়ি দিতে পারবো না পদ্মা সাতরাইয়া কারন আমি সাতার পারি না, তোমার জন্য আমি পাহাড়ে উঠতে পারুম না কারন আমি ব্যায়াম করি না, তোমার জন্য আমি বিষ খাইতে পারুম না কারন আমার বুকে অত সাহস নাইকা, তবে তোমার জন্য আমি Wait করতে পারবো সারাজীবন বিয়া না কইরা। তোমারে যেদিন প্রথম এই পাড়ায় আসতে দেখি আমার দোস্ত রনিরে জিগাইছিলাম,"এ কোন জায়গার পরী?" সে কি বলেছিলো সেটা নাইবা বললাম। তারপর তুমি যখন বারান্দায় চুল শুকাইতে আসো আমি তার এক ঘন্টা আগে থিকা জায়গা বুক দিয়া রাখি, তুমি যখন স্যারে কাছে পড়তে যাও, তুমার পিছ পিছ নিঃশব্দে ঘুরতে থাকি। তুমার জন্য লেখা এর আগের ২০টা পত্র আমি এইভাবে তুমারে দিতে গিয়া প্লেন বানাইয়া গায়ে লাগাইতে পারি নাই।
সবসময় বেলাইনে চিলা গেছিলো। তুমি যখন সামনে দিয়া হাইটা যাও তখন আমার মুখ হা হইয়া যায়, আমি কিছুই বলতে পারি না তখন, একমাত্র মাছি ঢুকলেই মুখ বন্ধ হয়। সেইজন্য তুমারে কোনদিন ডাইকা প্রেমপত্র দিতে পারি নাই।
জান, তুমারে আমি একটা কথা বলবার চাই, আই লাভ ইউ!
তুমার উত্তরের অপেক্ষায়!
শিশির
মীরপুর।
গত ৩দিন আগে আমাদের পাড়ার বোতু ওরফে শিশির এই প্রেমপত্র খানা লিখেছিলো পাড়ার সদ্য আগত যমুনাকে নিয়ে।
শিশিরের বোতু হইলো কিভাবে সেটা একটু বলি। দেখতে নাদুস নুদুস, বাবা মায়ের একমাত্র হাবা সন্তান। বাবার কালোটাকার অভাব নাই কিন্তু সুসন্তানের অভাব তা শিশিররে দেখলেই বুঝা যায়। ভাল কাজ তো দূরের কথা মাথা খাটাইয়া খারাপ কাজও করতে পারেনা। তাই প্রথমে ওকে শিশি বলে ডাকতাম তারপর হলো বোতল তারপর শর্টকাটে বোতু! বোতু আবার এই চিঠি লেখাইছে আরেক বান্দর পোলা কবিররে দিয়া।
উল্লেখ্য যমুনার পিছনে যেই লাইনটা আছে তাতে কবিরও অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু বোতু আবার জানে না। (বাঁচাওওও)
যাই হোক, বোতু এই প্রেমপত্র লেখার পর যমুনার বাসার সামনে মুড়িওয়ালারে দিয়া পাঠাইছে আর পাঠানোর সময় ওর ডায়লগ এরকম," এই বাড়ীর মাইয়াটারে দিয়া আসবি এইটা, সাবধান মিস জানি না হয়, যদি হয় তাইলে তোর সব পোটকা মিস হইয়া যাইবো। " এবং এইখানেই প্যাচের সূত্রপাত কারন বোতু যমুনার নাম বলে নাই। আর মুড়িওয়ালার নজর ছিলো যমুনার মার উপর। ও সুযোগ পাইয়া যমুনার মাকে দিয়া আসে।
ব্যাস! আমার সমস্যা শুরু হয় এইখান থিকা, কারন ঐ চিঠিতে আমার নাম উল্লেখ আছে। এদিকে বোতু চিঠি দিয়াই এলাকা ছাড়া। ওরে না পাইয়া ওর মা আমার বাসায় দুইবার আমার খোজ নিছে। গতকাল পাড়ায় ঢুইকাই কবির রিক্সা থামাইয়া খবরটা দেয়। ঐখান থিকাই বন্ধুর বাসায় রিটার্ন।
আজকা কি হইবো আমি জানিনা!
বোলগ বাসী: আজকে একটা কথা খুব মনে পড়ে, সত সঙ্গে সর্গবাস, অসত সঙ্গে সর্বনাশ!
আমার হইছে সাড়ে সর্বনাশ!
দুঃখে এখন গান গাই:
কর্দমাক্ত আকাশ
মেঘাচ্ছন্ন মাঠ।
রাইতের বেলা শুইলে,
নড়ে কেন খাট!(আম্মাআআ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।