'ঢাকা থিয়েটার' এর ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হলো শিল্পকলা একাডেমীতে। ঢাকা থিয়েটার প্রযোজিত নাটকগুলোর একটা কোলাজ পারফর্মেন্স হলো। হাত হদাই, মুনতাসির ফ্যান্টাসি, শকুন্তলা, নিমজ্জন, টেম্পেস্ট, যৈবতি কন্যার মন, বনপাংশুল, প্রাচ্য, বিনোদিনী, হরগজসহ তাদের বিভিন্ন নাটকের অংশবিশেষ অভিনীত হলো মঞ্চে। ঢাকা থিয়েটারের নাটক মানেই এতকাল সেলিম আল দীনের রচনা ও নাসিরউদ্দিন ইউসুফের নির্দেশনা। আজ সেলিম আল দীন নেই।
নেই এই দলের অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী। তবে মঞ্চে অনেকদিন পর অভিনয়ে পেলাম শিমুল ইউসুফ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, আফজাল হোসেন, জহিরউদ্দিন পিয়ার, শহীদুজ্জামান সেলিম, শমী কায়সারসহ তাদের, যারা এখন মঞ্চাভিনয়ে প্রায় অনুপস্থিত। হলভর্তি দর্শক। ঢাকা থিয়েটার মানেই নাট্য-আঙ্গিকের নানাপ্রকার নিরীক্ষামূলক একএকটি নাটক। 'বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার' নামে দেশব্যাপি ঢাকা থিয়েটার এর প্রায় দুইশো শাখা সংগঠন আছে।
একদা মাইকেল মধুসূদন দত্ত অঞ্চল এর শাখা থিয়েটার 'ঝিনেদা থিয়েটার'এ আমিও যুক্ত ছিলাম, সে আমার ঢাকায় আসবার আগের সময়। তখন কলেজে পড়তাম। সেই হিসেবে আমার প্রথম থিয়েটার চেনা হয় ঢাকা থিয়েটার বা গ্রাম থিয়েটার মাধ্যমেই।
যাই হোক, অনুষ্ঠান শেষে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক মঞ্চে উঠে এই দলকে অভিবাদন করলেন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকার বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের চেনা চেনা ব্যক্তি-ব্যক্তিত্ব।
যেন এ এক মহামিলন। অনুষ্ঠানে ঢাকা থিয়েটার এর পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুবর্ণ মুস্তাফাকে দেখলাম না।
সব মিলিয়ে ঢাকা থিয়েটারকে আমিও অভিনন্দন জানাচ্ছি। নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন ছাড়াই দলকে এখন এগুতে হচ্ছে, এটা একটা বড় শূন্যতা। এই শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
তবু তো এগুতে হবে... ধন্যবাদ শ্রদ্ধাভাজন নাসিরউদ্দিন ইউসুফকে, এত বড় একটা থিয়েটারের দল নিয়ে এই দেশব্যাপি জার্নির জন্য...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।