আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজিমপুর গোরস্থানের পেশাদার ভিক্ষুক



গোরস্থানে কবর দেওয়ার জন্য প্রতিটি লাশের সাথে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারত করার জন্য অনেকেই আসেন। অনেকেই আবার শুধু ভিক্ষা দেওয়ার জন্য এখানে আসেন। এ জন্য নগরের অন্যান্য স্থানের তুলনায় এখানে ভিক্ষুকের আনাগোনা একটু বেশি। কারণ এখানে আসলে ভিক্ষুকদের একটু বেশি ভিক্ষা মিলে।

‘গোরস্থানে আইলে মাইনসের মন একটু বেশি নরম থাাকে তাই আমাগোরে বেশি কইরা টেকা দেয়। ’ বলছিলেন গোরস্থানের ভিক্ষুক মোঃ মোস্তফা। ‘প্রতিদিন কত টাকা পান ?’ ক্ষাণিকক্ষন চুপ থেকে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এইতো শ দুয়েক টাকা হয়। ’ তিনি আরো জানান, শবে বরাতের রাতে তারা সবচেয়ে বেশি টাকা পায়। কিছুক্ষণ তার পাশে দাড়িয়ে থেকে দেখা গেল, একটি মেয়ে এসে তার কাছ থেকে দুইশো টাকা নিয়ে গেল।

মেয়েটিকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে, প্রতিদিন দুপুরে ও সন্ধ্যায় আসে যা পাই ওর কাছে দিয়া দেই। ’ বিভিন্ন শ্রেণীর ভিক্ষুকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা কমপক্ষে প্রায় শদুয়েক টাকা করে ভিক্ষা পায়। প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকরা অন্য ভিক্ষুকের তুলনায় বেশি ভিক্ষা পায়। ভবিষ্যতের কখা বিবেচনা করে অনেকেই ব্যাংকও টাকা জমায়। আবার অগোচরে অনেকে সুদের ব্যবসার সাথেও জড়িত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোরস্থানের এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, আমেনা বিবির দুই লক্ষ টাকা সুদের উপর লাগানো। আমেনা বিবির সাথে কথা বলে জানা গেল তার চার ছেলে। কিšু— কেউ তাকে দেখাশোনা করে না। তাই সে ভিক্ষা করে। চড়ে জমি থাকলেও রাতে গোরস্থানের পাশে ১২০০টাকা রুম ভাড়া করে থাকে।

শরীয়তপুরের আবুল হাশেম জনান, তার নিজের নামে ব্যাংক হিসাব নেই তবে তার স্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য। ২০০০ হাজার টাকা হলেই গ্রামে চলে যান। বছর তিনেক আগে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়। কোন উপায় না পেয়ে ঢাকায় এসে ভিক্ষায় নেমে পড়েন। ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার খোরশেদ আলম খাট বলে কেউ তাক কাজ দেয় না।

তাই সে ছোট বেলা থেকেই ভিক্ষা করে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের ভবিষ্যতের জন্য তিনি বীমা করেছেন। অন্ধ ভিক্ষুক সোলেমান জানান, গ্রামে ৪০০০০হাজার টাকা দিয়ে ভিটাবাড়ির জমি কিনেছেন। গোরস্থানে প্রভাবশালী ভিক্ষুক শাহনাজী ও তার মেয়ে রুবিনা এখানকার মহিলা ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রন করে।

তাদেরকে মাসোহারা দিয়ে অন্যান্য মহিলা ভিক্ষুকরা গোরস্থানে ভিক্ষা করে। রুবিনা বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত বলে জানান, গোরস্থানের একাধিক নিরাপত্তা কর্মী। গোরস্থানে ভিক্ষা করতে নিষেধ করায় তারা এক নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর ও করে। দুই বছর আগে আমার লেখার একটু অংশবিশেষ..।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.