আমার মুঠোভরা স্বপ্ন............।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান হত্যা মামলার রায়ে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রবিউল হাসান আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডার সাজ্জাদ আলী, মনা ওরফে মনাইয়া, লিয়াকত আলী ওরফে জসীম, কামালউদ্দিন, মুন্না, মো. ইসমাইল, শাহজাহান, আবদুল হালিম ওরফে কালু, নূরুল আবছার ও সাজ্জাদের বড় বোন তামান্না।
আদালত সূত্র জানায়, এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অপর দুই আসামি জসিমউদ্দিন ওরফে ফাইভ স্টার জসিম র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ এবং জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ব্যবসায়ী আবদুল গণি ওরফে গণি কন্ট্রাক্টর অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে মারা গেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি কামালউদ্দিন, শাহজাহান, তামান্না ও নূরুল আবছার আদালতে হাজির ছিলেন। অন্য ছয় আসামি পলাতক। তাঁদের মধ্যে একটি মামলায় সাজ্জাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়। ওই মামলার রায় ঘোষণার আগেই তিনি দুবাইয়ে আত্মগোপন করেন বলে জানা যায়। সেখান থেকে ফোনে হুমকি-ধমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের চাঁদা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।
১৯৯৯ সালের ২ জুন সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানার চালিতাতলী এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নগর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত নিহত হন। ওই সময় তিনি হেঁটে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর বড় ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় জামায়াত-শিবিরের ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০০০ সালের ১২ মার্চ এজাহারভুক্ত ১০ জনসহ ১২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এজাহারের বাইরে দুই আসামি ছিলেন আবদুল হালিম ওরফে কালু ও নূরুল আবছার।
এই ১২ জনের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ২৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ২৩ জনের মধ্যে ১০ জনকে বৈরী ঘোষণা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইয়ূব খান প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকারীরা জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডার। আর ওই এলাকা সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এসব চিন্তা করে হয়তো মামলার বাদী তাহের ও তাঁর স্ত্রী আইনুন নাহার আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি।
অথচ সাক্ষ্য দিতে তাঁদের ৩৩ বার তাগাদা দেওয়া হয়। এমনকি তাঁদের বাড়িতে পুলিশও পাঠানো হয়। এর পরও তাঁরা না এলে মামলার অভিযোগ তো আর প্রমাণ করা যাবে না।
পিপি আরও বলেন, লিয়াকত হত্যা মামলায় ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। নিহত লিয়াকতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া বেশির ভাগ সঠিক সাক্ষ্য দেননি, যে কারণে ১০ সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করা হয়।
অন্যরাও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কথা বলেন। তবে লিয়াকতকে কারা হত্যা করেছে, কীভাবে করেছে—এমন কোনো বক্তব্য সাক্ষীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। যদিও এই হত্যাকাণ্ড অনেকের সামনে ঘটেছে বলে জানা গেছে। আর হত্যাকারীদেরও চেনা গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।