শান্তি কমিটির সদস্য, আলবদর, আলশামস, আলমুজাহিদ- ক্যাটাগরি ভিন্ন হলেও এরা সবাই তো রাজাকার। এরা হত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ-লুণ্ঠনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। রাজাকাররা ঐতিহাসিকভাবেই মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী। এদেরকে অভিযুক্ত করে সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণের প্রয়োজন নেই। তালিকা দেখেই এদের বিচার করা সম্ভব।
কিন্তু পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়া কঠিন। কোনো কোনো এলাকার রাজাকারের তালিকা একেবারেই নেই। সারা দেশের যে তালিকা আমরা পাই তাতে মাত্র হাজার খানেক রাজাকার এবং শান্তি কমিটির সদস্য ও আলবদর মিলিয়ে শ দুয়েক নাম আছে। আল শামস ও আলমুজাহিদের তালিকাই নেই। নতুন করে সকল ক্যাটাগরির রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করা জরুরি।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চারদশকেরও পরে এই কাজটি সম্পন্নকরণ বেশ জটিল বটে। তবু যথাসম্ভব সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে এলাকাভিত্তিক যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরিকরণ এখন সময়ের দাবি। এ কাজে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাঋদ্ধ সকল নাগরিককে।
আপনার পরামর্শমূলক মন্তব্য/ গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।