ইংকজেট প্রিন্টারে কালি দিয়ে আমরা ছাপার বিভিন্ন কাজ করে থাকে। ইংকজেট প্রিন্টারেরর ছাপার এই পদ্ধতিকে অনুসরণ করে বিজ্ঞানীরা মানুষের জন্য কৃত্রিম ত্বক তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। অবশ্য বিজ্ঞানদের এই গবেষণা সফল হওয়ার পথে।
সাধারণত সাদা-কালো কিংবা রঙিন সব ছবিই ইংকজেট প্রিন্টারে ছাপা হয়। এই প্রিন্টারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি কালি স্প্রে করে ছাপার কাজ সম্পন্ন করে।
আর এর ফলে এতে ছাপা ছবি বা অন্যকিছু শুকিয়ে যেতে খানিকটা সময় লাগে।
ইংকজেট প্রিন্টারের এই বৈশিষ্ট্যই বিজ্ঞানীদের গবেষণার প্রাথমিক রসদ জোগায়। প্রাথমিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, প্রিন্টারকে যদি মানব শরীরের একটি কোষ দিয়ে তার সঙ্গে কিছু প্রাকৃতিক জেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হয়, তাহলে এই কোষের সঙ্গে মিলিয়ে সে একজন মানুষের চামড়ার বিকল্প ছেপে দেবে। সত্যিকার অর্থে বিজ্ঞানীদের ধারণাটি পরীক্ষাগারে বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
ইংকজেট প্রিন্টারের প্রযুক্তিতে, বিকল্প চামড়া তৈরির, সেই যন্ত্রটি মাত্র আধাঘণ্টা সময়ে মানুষের একখানা কান ছেপে দেখিয়েছে।
গবেষকদের দাবি ভবিষ্যতে চামড়া এমনকি কার্টিলেজও তৈরি করে দেবে এই প্রযুক্তি।
বিজ্ঞানীরা জানান, বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগে যেমন_সড়ক দুর্ঘটনা, যুদ্ধক্ষেত্র অগি্নকাণ্ড অথবা যে কোনো বড় মাপের দুর্ঘটনায় যেসব মানুষ তাদের মূল্যবান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারান, তাদের নতুন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যাবে সহজেই এই নকল চামড়া দিয়ে। এই পদ্ধতির উলেস্নখযোগ্য দিক হলো, যার জন্য প্রয়োজন তারই কোষ নিয়ে এই প্রযুক্তি কাজ করবে। অতএব বিকল্প হলেও সেই চামড়া রোগীর শরীরে গেলেই জীবন্ত হয়ে যাবে। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এই ইংকজেট প্রযুক্তি একটি মাইলফলক হিসেবে তার নাম লেখাতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনের বিজ্ঞান কংগ্রেসে এই প্রযুক্তি বিষয়ক বেশকিছু তথ্য প্রকাশ গবেষণা সংশিস্নষ্ট গবেষকরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।