বাঙলা কবিতা
ক্লান্তি
===
উপেক্ষিত; দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ; বহু বছর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অকস্মাৎ একদিন___ চূড়ান্ত অপমানিতের মতো ক্লান্তিতে ঝুপ করে ধ্বসে পড়বে এ শহর। তার সমস্ত পথ-ঘাট, অহমিকা-গ্লানি, অমুক গার্ডেন তমুক ভ্যালি, শপিং কমপ্লেক্স- এয়ারপোর্ট... নিঃশেষে মিশে যাবে সমুদ্রতলের সমতায়। ক্লান্তি__ এমন এক প্রশান্তি যে, অবলীলায় ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে সমুদয় ভার। এ হলো মৃত্যুর চেয়ে আনন্দদায়ক আর উইকেন্ডে নির্ভার ঘুমের মতো সুখকর। বহুদিন, যদিও, কোনও উইকেন্ড ছিলো না আমার; কিন্তু থাকবে ও থাকবে না__ এই বাস্তবতাদ্বয়ের পার্থক্য ও দূরত্ব কি রসুনের খোসার চেয়েও সামান্য নয়? তবু, একটা সমগ্র হেমন্ত হেঁটে গেল একা। সামগ্রিক কুয়াশা ও দাঁতালো বায়ুসম্ভারে শীতের একটা ঋতু গরিমসি করতে করতেও নিরুদ্দেশ হয়ে গেল হঠাৎ কোথাও! আর দক্ষিণের দূত এলো প্রকাণ্ড মশাল হাতে... তারা কেউ বুঝলো না, পুষ্পবনে কলির উদ্গম মানেই___ ফুল ঝরানোর আগাম সংকেত!
লোনাধরা ইটের যে ক্লান্তি ছিলো, শৈশবের পুরনো সব মন্দিরে মন্দিরে; তারা আর পিছু হটলো না! বঙ্গপোসাগর থেকে হৈ হৈ উঠে আসা সিডরের চেয়ে দ্রুত ক্লান্তি ঐ এসে যাচ্ছে আজ। তবে কি সমস্ত ভার ফেলে দিয়ে এ- দেহ মন্দির হবে অধুনা-পম্পেই!
যদি হয়?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।