এটি মূলত গরুর রচনা। ক্লাস টুতে পড়েছিলাম, আবার পুনরাবৃত্তি করতে ইচ্ছে হচ্ছে তাই করলাম। ভুল হইলে মাফ কইরেন।
আমরা সকলেই এই গরু সম্পর্কে কম বেশী জানি। গরু একটি অত্যন্ত উপকারী প্রাণী।
ইহার ৪টি পা, একটি মাথা, দুটি চোখ, একটি সুদৃশ্য লেজ বিদ্যমান। ইহার শ্রবণ শক্তির জন্য দুটি কানও আছে। শোনা যায় গরু নাকি সাদাকালো দেখে, কোন রং চিনতে পারে না। গরুর একপাটি দাতও আছে মর্মে দেখা যায়। থুক্কু দুই পাটি যাহা দিয়ে তারা ঘাষ খাইয়া থাকে।
অনেক কৃষক ঘাসের পরিবর্তে বর্ষাকালে, কচুরিপানা, কলাগাছ গরুর খাবার হিসেবে সরবরাহ করে থাকে। যাহা খাইয়া গরু বরই তৃপ্ত সহকারে জাবর কাটিতে থাকে আর তার সুদৃশ্য লেজ দিয়া মশা/মাছি তাড়াইতে থাকে।
গরু মূলত তিন প্রকারের বা তিন লিঙ্গের। গরুর স্ত্রী লিঙ্গের বাছুরকে বকনা আর পুরুষ লিঙ্গের বাছুরকে এ্যারে আর যে বাছুরের স্ত্রী বা পুরুষ লিঙ্গের মধ্যে কোনটিই বিদ্যমান নাই তাহাকে গ্রাম্য ভাষায় আবাল বলা হয়। বকনা বাচ্চা দেবার পর তাহাকে গাভী বলে সম্বোধন করা হয়।
আর এ্যারে গরুর বিচি ফেলানোর পর তাকে দামড়া গরু বলা হয়ে থাকে অনেক জায়গাতে বিচি রিমুভ করার পর আবালও বলা হয়ে থাকে। এ্যারে গরু যেগুলো পাল দেয়ার কাজে বা প্রজননের কাজে লাগে তাকে ঘাঁড় বলা হয়ে থাকে।
এই তিন ধরনের গুরু মুলত তিন জাতীয় কাজের জন্য। এ্যারে গরু দিয়ে হালচাষ করা হয় এবং ইহার মাংশ ভাল হয়। উহাকে দিয়ে একসময় গাড়ীও চালানো হত।
এই গরুটি আবার বকনা বা গাভীর প্রতি অতিউৎসাহী হওয়ার ফলে কৃষক বিরক্ত হয়ে বিচি ফেলে দিয়ে থাকেন।
আবাল গরু একটু অলস টাইপের। হিজড়ারা উতি চালাক চতুর ও চঞ্চল হলেও গরুর এই জাতিটি অতিব অলস, ইহাকে দিয়ে হাল চাষ করানো কষ্ট সাধ্য বিধায় প্রতি সিজনে লেজ ভাঙ্গা হয় এবং ঐ ভাঙ্গা লেজে ব্যাথা পেলে তাড়াতাড়ি হেটে থাকেন।
গাভী মূলত দুধ উৎপাদন ও বাচ্চা দিয়ে গরু সমাজকে বাচিয়া রাখার জন্যই। কিন্তু বর্তমান সময়ে মাংশ বিক্রেতারা ইহার মাংশও বিক্রি করে থাকেন।
অনেক কৃষক এই মাতৃ জাতিকে দিয়ে হাল চাষও করে থাকেন বিপদে পড়ে। কিন্তু ইহার ফলে কৃষককে অনেক কষ্ট/যন্ত্রনা সহ্য করতে হয় প্রতিনিয়তই। গাভী মূলত একটু বেশী লাদা/লাদি বা গোবরপাত করে থাকে। ইহার ফলে এই গোবর ও প্রসাব সর্বদাই ছিটিয়া কৃষক বা রক্ষানা বেক্ষনকারীর গায়ে মুখে লাগিয়া যায়। উপায়ান্ত না থেকে উহার বাহক বা কৃষক কে প্রতিনিয়তই তাহা সহ্য করতে হয়।
কারণ যে যেনিজ যে কাজের যোগ্য না সেই কাজে লাগালে যা হবার তাই হইয়া থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।