আমার কথা সিরিয়াসলি নিয়া বাঁশ খাইলে নিজ দায়িত্বে বাঁশ খাইয়েন মৌ ছিল আমার আম্মুর মামাতো বোনের মেয়ে। আমার থেকে বছর দেড়েকের বড় হবে। খুব বেশী দুষ্ট প্রকৃতির মেয়ে ছিল। আমি ওকে প্রচন্ড ভয় পেতাম। কারণ ওর কথার বাইরে গেলেই ও হয় ঝগড়া করত নয়তো ধরে মাইর বসিয়ে দিত।
মৌ যখনি আমাদের বাসায় বেড়াতে আসত আমার অন্তর আত্মা কেপে উঠত। কারন সে সব সম্য বাসায় যাওয়ার সময় আমার কোনো না কোনো জিনিস নিয়ে চলে যেত।
তখন আমার বয়স চার কিংবা পাচ হবে। আম্মু-আব্বু আমাকে উঠতে-বসতে নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। আম্মুর কাছ থেকে শিখলাম যে কারো বাসায় গিয়ে কোনো কিছু ধরতে হয়না।
কিন্তু মৌ আমাদের বাসায় এসে সবার আগে যে কাজটা করত তা হল ফ্রিজটা খুলে যা সামনে পেত খেয়ে ফেলত।
একদিন মৌমিতা আমাদের বাসায় এসে প্রতিদিনের মত ফ্রিজ খুলতেই আমি ওকে বললাম, “মৌ,তুমি কি জানো না যে কারো বাসায় গিয়ে কোনো কিছুতে হাত দিতে হয়না?”
সামনে তখন আমার আর মৌ-এর আম্মু বসেছিল। আম্মু আমার কথায় লজ্জা পেয়ে বলল, “আরে ও তো আমাদের ঘরের মানুষ। ও ফ্রিজ ধরলে কিছু হবে না”।
কিছুদিন পর আমাকে মৌদের বাসায় রেখে আমার আম্মু আর মৌমিতার আম্মু কই যেন গেলো।
অনেক সময় পর আমার ক্ষুধা পেল। আমি ভাবলাম,মৌ যদি আমাদের ফ্রিজ ধরতে পারে তাহলে আমিও হয়ত মৌদের ফ্রিজ ধরতে পারব। সেই কথা চিন্তা করে আমি ফ্রিজ খুলে খাবার খুজতে লাগলাম। আমাকে ফ্রিজ খুলতে দেখেই মৌ রেগে গিয়ে আমাকে ধুম-ধুম করে কয়েকটা মাইর বসিয়ে দিল।
তারপর থেলে লজ্জায়-অপমানে আমি আর মৌ-দের বাসায় যেতাম না।
আজকাল এইসব ঘটনা মনে পড়লেই হাসি আসে। কিছুদিন আগে শুনলাম,মৌ-এর নাকি বিয়ে হয়ে বাচ্চাও হয়ে গিয়েছে। শুনে খুবই অবাক লাগল। বেশ কম বয়সেই ওর বিয়ে হয়েছে। ও এখন কেমন হয়েছে কে জানে?আগের মত দুষ্টই আছে নাকি সুগৃহিণী হয়েছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।