আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার



নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার। বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত তরঙ্গমালা, দিগন্ত প্রসারিত ঝাউবন, সুদৃশ্য প্যাগোডা, বৌদ্ধমন্দির, প্রাচীন ঐতিহ্য, পাহাড় আর সাগরের মিতালী কক্সবাজারের অনন্য বৈশিষ্ট্য। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে কক্সবাজার কেবল বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্দ্র। কারো কারো মতে এর আদি নাম ছিল পালংকি। আবার অনেকের মতে এর নাম ছিল প্যানোয়া-অর্থাৎ হলুদ ফুলের দেশ।

ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলের শাসন ও উন্নয়নের জন্য ইংরেজ সরকার লেফটেন্যান্ট হিরাম কক্স-কে প্রেরণ করেন। তিনি ছিলেন মানব হিতৈষী। মি. কক্স-এ অঞ্চলে বাজার গড়ে তোলেন। কক্স সাহেবের নামে এ বাজারের নামকরণ করা হয় কক্সবাজার। কক্স’স বাজার থেকে এ জেলার নাম হয়েছে কক্সবাজার।

১৯৮৪ সালের ১০ মার্চ কক্সবাজার জেলা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ৮টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা, ৬৬টি ইউনিয়ন এবং ৯৮৩টি গ্রাম নিয়ে কক্সবাজার জেলা গঠিত। উপজেলাগুলো হচ্ছে কুতুবদিয়া, চকোরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালি, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ। এখানে রয়েছে অনেকগুলো দ্বীপ। এগুলো হচ্ছে-মহেশখালি, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি, শাহপরীর দ্বীপ এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।

মাতামুহুরী, বাঁকখালী, রেজু ও নাফ জেলার প্রধান নদী। জেলায় ১৬২৬টি মস্‌জিদ, ২১২টি মন্দির, ১৬২টি বৌদ্ধ কেয়াং ও প্যাগোডা, ৮টি গীর্জা, ১২টি মাজার রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থাপনার মধ্যে রয়েছে শহরের ঝিলংজা এক গম্বুজ মসজিদ, বইল্যা পাড়া বৌদ্ধ কেয়াং এবং রামুর রামকোট বিহার। কবি নসরুল্লাহ খান (১৫৬০-১৬২৫), আবদুল করিম সিকদার (১৮৮৭-১৯২৫), আব্দুর রশিদ সিদ্দিকী (১৮৯৪), কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, কর্ণেল জিয়াউদ্দিন বীর উত্তম, সাংবাদিক জাফর আলম চৌধুরী জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১১২ কিলোমিটার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।

সাগরের বুক চিরে ছোট বড় দ্বীপ রয়েছে বিরল পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, মূল-ভূখণ্ড থেকে ১৬ কি.মি. দক্ষিণে নীল সাগর বেষ্ঠিত স্বপ্নের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। হিমছড়ির পাহাড়ি ঝর্ণা, কক্সবাজার ও রামুর ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির, কেয়াং, প্যাগোডা, অতিথি পাখির প্রিয়স্থান ও দেশের প্রধান শুটকি উৎপাদন কেন্দ্র সোনাদিয়া, মহেশখালীর ঐতিহ্য আদিনাথ মন্দির, সৌন্দর্যের আদুরে কন্যা ইনানী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। দেশের সর্ব দক্ষিণ প্রান্তে মায়ানমার সীমান্তের নাফ নদী ও সাগর বিধৌত টেকনাফ, ডুলাহাজারায় প্রতিষ্ঠিত সাফারী পার্ক, টেকনাফের মাথিনের কূপ সত্যিই অপরূপ। ঐতিহ্যবাহী রাখাইন সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় জীবনাচার, বার্মিজ মার্কেট, ঝিনুক মার্কেটসহ অনেক কিছুই দেখার রয়েছে এখানে। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে গড়ে ওঠেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল ও মোটেল।

বেসরকারিভাবে এখানে থাকার জন্য রয়েছে আধুনিক হোটেল। সাগর পাহাড়ের মিতালী দেখতে ঘুরে আসুন কক্সবাজার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.