ধূমপানে বিষপান। একশলাকা সিগারেট মানব জীবনের ১-৩ সেকেন্ড আয়ু কমায়, ধূমপানে মৃত্য ঘটায় অর্থাৎ ধূমপান মানেই বিষপান। একথা সমাজের, একথা বিজ্ঞানের। জাতীয় অধ্যাপক ডা: নুরুল ইসলামসহ অনেকেই ধূমপান নিবারণ ও নিরুৎসাহিত করতে অভিযান চালাচ্ছেন। ৫০ টাকা জরিমানাসহ ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করতে আইন হয়েছে।
এর সুফল ও সফলতা কোথাও কোথাও পাওয়া গেলেও অনেক জায়গায় ধূমপান প্রতিযোগিতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করছে।
ধূমপানে উৎসাহিত করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো দিচ্ছে লোভনীয় পুরষ্কার। ২০ বছর আগে যেখানে ১০জন লোক ধূমপান করতেন সেখানে এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০জন হয়ে গেছে। যে লোক দৈনিক ৫টি সিগারেট পান করতেন তার পরিমাণ বেড়ে ৫টির স্থলে ১০ থেকে ২০টিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
যেখানে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়ষ্করা পান করতেন সেখানে বয়সের গন্ডি ছাড়িয়ে ছাত্র-তরুনরাও সিগারেট ফুকছেন। এখন সীমাবদ্ধ নেই শুধুমাত্র পুরুষে, মায়ের জাতি প্রগতিশীল নারীরাও ধূমপানের স্বাদ নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নারীদের সম্মানের অনেক পেশা থাকলেও প্রলোভনে পড়ে নারীরা সিগারেটের মার্কেটিং-এ নেমেছেন। তরুনসহ অনেকেই মর্যাদার একটি অভ্যাস মনে করেন ধূমপানকে। তাঁদের ধারনা, ধূমপানে সম্মান বাড়ে।
যদিও প্রকৃতপক্ষে তা ঠিক নয় বরং স্বাস্থ্যহানি ঘটে মারাত্মকভাবে।
ইদানীং, চন্দনাইশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধূমপায়ীদের সংখ্যাতো বাড়ছেই, বাজারজাত করণের ধরণও পাল্টেছে। মহিলারা নেমেছেন ধূমপান উৎসাহিত করতে। একটি সিগারেট কোম্পানির স্থানীয় ডিলারের হয়ে তিনজন তরুণী, যাদের বয়স আনুমানিক ১৫-২০ বছর চন্দনাইশের বিভিন্ন মার্কেট ও পাড়ায় গিয়ে গণমানুষকে উদ্বুদ্ধ করছেন ধূমপানে। ১টি সিগারেট ফ্রি দিয়ে ও সুশ্রাব্য কথা বলে বিভিন্ন মানুষকে ধূমপানে আগ্রহী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের মার্কেটিং এর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গেলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী চন্দনাইশের সাতঘাটিয়া পুকুর পাড়ে তাদের একজন উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কি অশিক্ষিত-কমবুঝি? আইন- নিয়ম আবার কী?” এব্যপারে যোগাযোগ করা হলে চন্দনাইশের ইউএনও মো: এমদাদুল হক চৌধুরী ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম আলী জিন্নাহ জানান, ধূমপান একটি বদ অভ্যাস।
যা সম্মান সংরক্ষণ করেনা। ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে, মৃত্যু ঘনিয়ে আনে, পরিবশ দূষণ করে, আর্থিক ক্ষতি করে, ধূমপান মানেই বিষপান। আইন ও নীতিমালার মধ্য দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো। কোন অবস্থাতেই সহযোগিতা করবো না।
মহিলাদের কর্মজীবি হওয়া ভাল। তাঁদের জন্য সম্মানজনক ও সুন্দর আয়বর্ধক পেশা আছে। সুশীল সমাজের বক্তব্য, বেকারত্ব একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। প্রত্যেককেই স্বাবলম্বী হওয়া উচিত। নিজ নিজ উপযুক্ত পেশা বেছে নিতে হবে।
সুন্দর জাতি গড়ায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের অবশ্যই সম্মানজনক পেশায় নিয়োজিত করা সমাজের সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।