আমার এই লেখাটা পড়ে কিছু বুঝতে হলে বা মাথা ঘামাতে চাইলে masonary নিয়ে হালকা একটু আধটু জ্ঞান থাকা আবশ্যিক-আগেই বলে রাখলাম।
এই মুহূর্তে আরব বিশ্বে যা ঘটছে তার কতটুকু আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে তা আমি জানিনা,তবে আমার কাছে পুরা ব্যাপারটাই একটা বিশাল ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছেনা। সাদা চোখে আরব দেশ গুলোর বিদ্রোহ আর ১০টা গনবিপ্লবের মত মনে হতে পারে, কিন্তু আসলেই কি ঘটনা সেরকম?
আপনি যদি the arrivals সিরিজটা দেখে থাকেন,তাহলে আমার লেখাটি পড়বেন,নাহলে লেখাটি পড়ে কিছুই বুঝবেন না। ঘটনা আমার কাছে যা মনে হচ্ছে তা হল masonরা আর তাদের গর্তে লুকিয়ে থাকতে রাজি না,তারা এখন তাদের এতদিনের কষ্টের ফসল ঘরে তুলার প্ল্যান এ আছে। আর কত লুকায় থাকবে বেচারারা,অনেক তো হল, ওদের লুকিয়ে থাকার যত সম্ভাব্য কারন ছিল, তার কোনটাই আর এখন এত জোরদার না।
ওদের পুরা পরিকল্পনাই পৃথিবীতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় open secret বলা যায়। তারা যখন ইচ্ছা তখন,পৃথিবীর যে প্রান্তে যা ইচ্ছা করতে সক্ষম,তাদের বাধা দেওয়ার মত কোন শক্তি কারো এই মুহূর্তে নাই।
মেসনদের এজেন্ডাগুলোর মধ্যে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড়টা হল একটা ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা-যেইটা বাস্তবায়নের জন্য তারা গত প্রায় ৭০বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের উপরই তাদের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো অনেকাংশে নির্ভরশীল।
একটু খেয়াল করে দেখবেন এই রাষ্ট্রের রাজধানী হবে কোথায় আর বিদ্রোহে বিপর্যস্ত দেশগুলোর সাথে এই রাজধানীর ভৌগলিক অবস্থান।
ইসরাইল কে ঘিরে থাকা মুসলিম দেশগুলোতেই কিন্তু ধীরে ধীরে তথাকথিত গনবিপ্লব চলছে- তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া কিন্তু ইসরাইলকে প্রায় একদিক থেকে ঘিরে আছে। আরেকদিকে আছে সৌদি আরব, জর্ডান,লেবানন, সিরীয়া। এই দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র লেবানিজ হিযবুল্লাহই যা একটূ বিরক্ত করে মেসনদের প্ল্যান বাস্তবায়নে,বাকি দেশগুলো কিন্তু মেসনদের কথায়ই উঠে বসে, তাহলে এদের মেসন অনুগত শাসক উচ্ছেদ করার জন্য উঠে পড়ে লাগল কেন মেসনরা? আসলে আমার মতে হুসনি মোবারাক, বেন আলি,গাদ্দাফির মত শাসকরা এতদিন মেসন ব্যাকআপ পেয়ে গেছে শুধুমাত্র মেসনদের আস্তানাটা পোক্ত করার জন্য,আর কোন কারণে না। এখন মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমারা এতই শক্তিশালী যে এইসব পাপেট সরকার আর তাদের দরকার নাই। তারা নিজেরাই আগামি কয়েকবছরের মধ্যে ফিল্ডে নামতে চাচ্ছে সরাসরি।
এখন পাবলিককে উসকায় দিয়ে নিজেরা হাত ময়লা না করেই এই স্বৈরশাসকগুলোকে উৎখাত করল, আর এদের পর দেশ চালানোর মত আর তেমন নির্ভরশীল কেউ নাই আপাতত,তাই মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কারজাঈ মার্কা একটা পাবলিককে বসায় যখন জনগন বুঝবে যে এভাবে চলবে না,তখন জনগনের মনে শান্তি ফিরানোর নিমিত্তে দেশে দেশে আমেরিকান মেরিন সেনা নেমে যাবে। এরপর ক্রমান্বয়ে দেশের শাসনভারও সরাসরি পশ্চিমাদের হাতে নেওয়ার ব্যাবস্থা হবে,ব্যাস কাহিনী খতম। zion রাষ্ট্রের আশেপাশে হুমকি হিসাবে থাকা তো দূরে থাক, কোন উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশই থাকবে না,zion এর security ও নিশ্ছিদ্র হল,সাথে এর সীমানাও পরোক্ষভাবে বাড়ল।
৩টা দেশ কে একই ফর্মুলায় কাত করা গেল। বাকি দেশগুলোতে একই strategy follow করলে গোঁমর ফাঁসের সমূহ সম্ভাবনা।
ইসরাইলের আশেপাশের বাকি দেশগুলোতে মেসনরা কি চালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে,ওইটা দেখার অপেক্ষায় আছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।