আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিয়াকত সাহেবের প্যাঁচ খেলা



ইনাম বিন সিদ্দীক শরাফত। একজন লেখক। মাঝে মধ্যে একটু আধটু লেখার চেষ্টা করে। শরাফত লেখার শিরোণাম দেয় “লিয়াকত সাহেবের প্যাঁচ খেলা” লিয়াকত সাহেব। মাঝ বয়সের একজন সৌখিন মানুষ।

তিনি মনস্ত করলেন আজ থেকে প্যাঁচ খেলা শুরু করেবেন। বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে লিয়াকত সাহেব ভাবতে লাগলেন আজ প্যাঁচ খেলাটা শুরু করবেন। খালি কাপটা পিরিচে রাখবেন তখনই হাত থেকে কাপ-পিরিচটা নিয়ে টেবিলে রাখতে রাখতে লয়লূ বললো, চাচাজানকে কেমন চিন্তিত মনে হচ্ছে, কোন সমস্যা নাকি চাচা? হুঁ। কি? প্যাঁচ। মানে? প্যাঁচ খেলা।

বুঝলি? না। একটু খুলে বলেন। আমি আজ থেকে একটা খেলা শুরু করবো। প্যাঁচ খেলা। তাতে আপনার কোন লাভ হবে চাচা? অবশ্যই।

আমি কি কখনো লাভ ছাড়া কোন খেলা খেলছি। না চাচা এমন কোন নজির আপনার বেলায় দেখিনি। তো এবারের খেলাটা ঠিক বুঝলাম না। শোন, প্যাঁচ খেলাটা হচ্ছে প্যাঁচ লাগানো। দু’জনকে দিয়ে প্যাঁচ লাগিয়ে আমি দুর থেকে দেখবো।

প্যাঁচটা যখন জটিল আকার ধারণ করবে ঠিক তখনই আমি তাদের সামনে হাজির হয়ে প্যাঁচটা ছূটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। এই শেষ? নারে গাধা, তারপর আমি প্যাঁচটাকে আরো জটিল করবো। শেষে বসবে সালিস। আমি সেই সালিসের বিচারপতি। বিচার করবো আমি।

যে হাত ভরে দেবে তার দিকে হবে আমার রায়। বুঝলি, হা....হা.... চাচা আপনার জন্য কিন্তু এই খেলাটা মানায় না। কেন? আপনাকে সবাই ভালো মানুষ বলে জানে। কিন্তু আপনার ভিতরটা যে এমন হবে আমি ভাবতেও পারি নি। আপনি চাচা এই প্যাঁচ খেলা বাদ দিয়ে অন্য কোন খেলার চিন্তা করেন।

লয়লূর আবেগ ভরা আবদার। লয়লূর উস্তাদি কথা শুনে লিয়াকত সাহেবের প্রচন্ড রাগ হলো, রাগত স্বরে বললেন, এই হাদারামের বাচ্চা তুই প্যাঁচ ট্যাঁচের কি বুঝিসরে? যা এখান থেকে, ভাগ, গাধা। লয়লূ চলে যায়। লিয়াকত সাহেব আবার চিন্তায় মগ্ন হয়ে যান। কি ভাবছেন বুঝা যাচ্ছে না।

শরাফতেরও আর লেখা হচ্ছে না। শরাফত এখন কি লিখবে? লিয়াকত সাহেব কি ভাবছেন, কি নিয়ে খেলবেন, প্যাঁচ খেলাই খেলবেন না অন্য কোন খেলা আবিস্কার করবেন কোনটাই বুঝা যাচ্ছে না। লিয়াকত সাহেবের মত শরাফতেরও খুব রাগ উঠে লয়লূর ওপর। হারামজাদাটা এসে লিয়াকত সাহেবের খেলায় উস্তাদি করে আমার লেখার বারোটা বাজিয়ে গেলো। শরাফত আর লিখতে পারে না।

কাগজ কলম টেবিলে ফেলে রেখে বেরিয়ে যায়, মাথাটাকে একটু নিয়ন্ত্রণে আনতে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।