পর্ণো ছবির বিক্রেতা হিসেবে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে শিশুরা। বড় একটি চক্র শিশুদের এ কাজে ব্যবহার করছে। এ চক্রটি পুলিশের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনে বাধাহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে পর্নো ছবি বিক্রি।
স্কুল ফাঁকি কিংবা প্রাইভেট পড়ার নামে সাইবার ক্যাফে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর্ণো ছবি দেখা বছর পাঁচেক আগে থেকেই রপ্ত করেছে শিশুরা। এবার কোমলমতি শিশুদের একটা অংশ রাজধানীতে পর্নো সিডির ব্যবসা করছে।
রাজধানীর প্রায় বিশটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ ব্যবসা চালানো হচ্ছে। ফার্মগেইট ওভার ব্রিজ এলাকা, নিউমার্কেট, মৌচাক মোড়, স্টেডিয়াম মার্কেট, যাত্রাবাড়ি, নীলক্ষেত, মিরপুর ১৪ নম্বর, ১০ নম্বর, বনানী, মহাখালী মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পর্ণো ছবি।
রাতদিন পুলিশের টহল থাকলেও রাজধানীর ফার্মগেইটের মাঝখানের ওভার ব্রিজের উভয় পাশে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা বিক্রি করছে বাংলা, হিন্দী, মাদ্রাজী, ইংরেজি, জাপানিসহ বিভিন্ন ধরনের পর্ণো সিডি। ওভার ব্রিজের ওপর দিয়ে হেটে যেতেই ডাক পড়ে 'মামা নিয়া যান নতুন আইছে। খুব ভালো লাগবো।
'
চার পায়া লম্বা খুটির ওপর কাঠের তৈরি বাক্সে সাজিয়ে বিক্রিরত ১২ বছরের সুমনের সাথে কথা হয়। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বিষ্ণুপুর গ্রামে। সে জানায়, 'পর্ণো সিডি বিক্রি করে দিনে ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা আয় হয়। লাইনম্যানকে দিতে হয় দিনে ২০০ টাকা। সে আরো জানায়, স্টেডিয়াম এলাকা থেকে এ সব সিডি আনা হয়।
একই ভাবে আকাশ, মামুন, সোহাগও সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পর্ণো সিডি বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার এসআই নুরে আলম শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতকালও দুটি মামলা হয়েছে। থানার পক্ষ থেকে প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা নেয়া বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিউম্যান ফাউন্ডেশন রাইটস এর প্রধান নির্বাহী এডভোকেট এলিনা খান শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, শিশুদের মাধ্যমে পর্ণো সিডি বিক্রির ঘটনা অত্যন্ত অগ্রহনযোগ্য, অমার্জনীয় এবং বেআইনি।
হাইকোর্ট যেখানে শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেছে, সেখান পর্ণো ছবি বিক্রিতো ভয়াবহ অপরাধ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।