থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
অনেক ধন্যবাদ সোহরাব হোসেনকে, তাঁর ১২ মার্চ তারিখের কলামটির জন্য। তাঁর লেখা [ আবার তারেক যুগ! আবার হারিছ প্রশাসন! ]পড়ে মনে হল এই বিষয়ে ব্লগের এক-চোখা দুই-পক্ষের এক পক্ষের জন্য লিখি। যদি এতে করে তাদের চক্ষু উন্মোচন হয়। আমি জানি তা হবার নয়, তার পরেও নিজের কাছে খারাপ লাগবে বলে লিখছি।
২০০১ সালের নির্বাচনের পরই সমস্ত দৃশ্য পাল্টে যায়। বিএনপির চেয়ারপারসনের অফিস ‘হাওয়া ভবন’কে তারেক রহমান বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্রে পরিণত করেন।
বিএনপির ইউনিয়ন, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মেলন করার নামে তিনি দলের সব প্রবীণ নেতাকে তাঁর পেছনে কাতারবন্দী করেন। রাতারাতি সাবেক রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়ে যান যুবরাজ, মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
ব্যক্তি জিয়াউর রহমানের যে পরিচ্ছন্ন ইমেজ ছিল, সততা ও মিতব্যয়িতার জন্য দলমতনির্বিশেষে সবার প্রশংসা পেয়েছিলেন, তাঁর সেই ইমেজকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন তাঁর ছেলে তারেক রহমান।
তিনি যা বলেন, তা-ই আইন; তিনি যা ইচ্ছে করেন, তা-ই হয়ে যায়। সরকারে ও দলে যাঁরা তাঁর অনুগত ছিলেন, পদপদবি যা-ই হোক না কেন, তাঁরাই সর্বক্ষমতার অধিকারী। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নবীনদের দাপটে জ্যেষ্ঠরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন।
যুবরাজ ভাবলেন, বিএনপিই দেশের শেষ সরকার (এখন আওয়ামী লীগের নেতাদেরও কেউ কেউ সে রকম ভাবতে শুরু করেছেন)।
তারেক রহমানের জন্য আছে ১১টি মামলা।
তার জন্যে বাধা হয়ে আছে তাঁর ঘনিষ্ঠজনের অপকর্ম। বাধা হয়ে আছে, হাওয়া ভবনের পাঁচ বছরের অপশাসন-দুঃশাসন। বাধা হয়ে আছেন দলের কোনো কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা, যাঁদের এই যুবরাজ অপমান করেছেন, তাঁর অনুগত ব্যক্তিরা লাঞ্ছিত করেছে।
কারও বিরুদ্ধে আদালতে মামলা থাকা মানে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত নয়। বিএনপির বহু নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মামলা আছে।
তাঁরা দেশে থেকে মামলা মোকাবিলা করতে পারলে তারেক রহমান কেন পারবেন না? বিএনপি দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনে তাঁদের সিপাহশালার থাকবেন না?
আমরা এমন এক দেশে বাস করছি যেখানে একবার জয়নাল হাজারী-শামীম ওসমানেরা দুঃশাসনের প্রতীক হন, আরেকবার যুবরাজ-হারিছ চৌধুরীরা দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় নামেন।
বিএনপির নেতারা তারেক রহমানের মুক্তি চাইলেও রহস্যজনক কারণে হারিছ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন না। তিনি তো খালেদা জিয়ার এক নম্বর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। প্রশাসনের সবকিছু হতো তাঁর অঙ্গুলি নির্দেশে।
কেউ কেউ তাঁকে মি. টেন পার্সেন্ট হিসেবেও চিনতেন। হারিছ চৌধুরী না এলে ভবিষ্যতে তারেক রহমান প্রশাসন চালাবেন কীভাবে? গিয়াস আল মামুন মুক্তি না পেলে তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যই বা কে দেখবেন?
এ কারণেই বিএনপির নেতাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, তারেক রহমানের মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দাবির সঙ্গে যেন এই দুটি নামও তাঁরা যুক্ত করেন।
হাজার হোক, বিশ্বস্ত সিপাহি ছাড়া তো সিপাহশালার চলতে পারেন না।
সূত্রঃ Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।