মঙ্গলবার গভীর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হাসিনা শিশু সদন থেকে আহত শিশু রানা বাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার মা ও ভাই।
বুধবার বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একটি ব্যাটারি চুরির দায়ে শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়। অথচ ওই ব্যাটারি বহন করা এই শিশুর পক্ষে সম্ভব না।
“প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছ। তবে শিশুটিকে নির্যাতনকারী কথিত জ্বীনের বাদশাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
”
শিশু সদনের শিক্ষক মাহাবুব আলম বলেন, চুরির কথা স্বীকার না করায় তাকে সামান্য মারপিট করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রানা বাবু সাংবাদিকদের জানায়, সদনের মসজিদের একটি ব্যাটারি হারানোর ঘটনায এতিমখানার শিক্ষক আলতাফুর, জয়নাল আবেদীন, মাহাবুব আলম চোর ধরার জন্য ‘জ্বীনের বাদশা’ নিয়ে আসেন।
“জ্বীনের বাদশা সে সময় আমাকে চোর হিসাবে সনাক্ত করে ব্যাটারি কোথায় জানতে চায়। আমি চুরি করিনি-এ কথা বলায় আমাকে মারতে থাকে। ”
খবর পেয়ে পাশের গ্রাম থেকে রানার মা ও ভাই এসে তাকে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করে।
রানার ভাই মো. আলম বলেন, পড়ার খরচ চালাতে না পেরে ৩ বছর আগে রানাকে এতিমখানায় দেয়া হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।