ঠাকুরগাঁওয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে পুলিশসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার জবায়দুল হক (৫০), বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদিন (৩০), হারুন (৪০) ও আবু হানিফ (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ে নাশকতার আশঙ্কায় বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র রবিবার দুপুরের আগেই ক্লোজ করে কর্মকর্তারা পালিয়ে যান।
এদিকে সদর উপজেলার বাসুদেবপুর ভোটকেন্দ্রে হামলায় পুলিশের গুলিতে বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদিন ও হারুন নামে দুই বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গড়েয়া গোপালপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আবু হানিফ তীরের আঘাতে নিহত হয়।
এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ শতাধিক বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার রাতে সদর উপজেলা ছেপড়ীগুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার জবায়দুল হক নিহত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রায় ৫০টি ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায় বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীরা। এ সময় ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে পুড়িয়ে দেয় ও কয়েকটি স্থানে পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় বিএনপি কর্মীরা। পরে ঠাকুরগাঁও সদরে ১৬২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১৯টি ভোটকেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস নির্বাচনে সংহিতায় নিহতদের কথা স্বীকার করে বলেন, যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওইসব এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। বেশিভাগ কেন্দ্রে ভোটদান স্থগিত করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।