দেশ, রাষ্ট্র বা সমাজের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর একটা মার্কেটিং সিস্টেম হচ্ছে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং। এটা কিভাবে ক্ষতিকর তার বিস্তারিত ব্যাখা দিতে হলে পুরো একটা থিসিস পেপার জমা দিতে হবে। যা হোক সংক্ষেপে বলি:
১. এটা দেশ থেকে প্রচুর পরিমান বৈদাশিক মুদ্রা যা আমাদের প্রবাসি ভাইদের রক্তঝরা আয়, তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সেবা কিংবা পন্য না দিয়েই নিয়ে যাচ্ছে । অনেকে বলে থাকেন, পন্য তো দিচ্ছেই, না দিয়ে তো আর নিচ্ছে না, আসলে কি ঘটছে তা একটু বিবেক বোধ সম্পন্ন মানুষ হলেই তা টের পাবেন। ১০ টাকার একটি আমদানিকৃত অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে।
এটা একটা উদাহরন মাত্র। প্রতিটি পন্য বা সেবায় ভিন্ন ভিন্ন রেট আছে। আমদানিকৃত বিধায় ডলার চলে যাচ্ছে বিদেশে আর লাভের বড় একটা অংশ হাতিয়ে নিচ্ছে এই সব মাল্টিলেভেল কোম্পানিগুলো।
২. এখানে যারা সেমিনার করেছেন তারা হয়তো জানেন যে, এখানে মূলত স্বপ্ন বেচা হয়। পন্যের গুনাগুন এর ব্যাপারে যত না কথা হয় তার বেশি কথা বলে অন্যান্য বিষয়ে যা যথার্থই পন্য বিক্রির সাথে সংগতিপূর্ণ চাপাবাজি।
৩. সামাজিক বন্ধন এবং আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসা করার কারনে ব্যবসা না হলে সমর্কের ফাটল নিশ্চিত করে।
৪. মাল্টিলেভেল পদ্ধতিটি কোন বৈজ্ঞানিক মার্কেটিং পদ্ধতি নয় তার কারন পৃথিবীর কোন কিছুই অসীম নয় আর কাস্টমার বা ক্রেতা তো নয়ই। সব কিছুরই শেষ আছে কিছু এই পদ্ধতিতে ক্রেতার কোন শেষ নেই।
৫. এই পদ্ধতির জন্মদাতা একজন কেমিষ্ট তার পঁচা / নষ্ট হয়ে যাৌয়া পন্য বিক্রির উদ্দেশ্যে এটা করেন। সৃতরাং, বোঝা যাচ্ছে যার জন্ম অশুদ্ধ উপায়ে এবং অসত উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে মানব জাতি খুব বেশি আশা করতে পারে না।
যাই হোক, এরকম আরো লেখা আমি দেশে এবং বিদেশে বহু জায়গায় লিখেছি, এখনো লিখছি। কোনদিন কাজ হবে কিনা জানি না। মানুষ একটু সচেতন হোক এটুকুই চাই। এ ব্যাপারে আমার আরো অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা, আরো গবেষনা আছে। কখনো হয়তো বা আবার লিখবো।
কিন্তু যে বিষয়টি নাড়া দিচ্ছে তা হচ্ছে সরকার এই সব মাল্টিলেভের কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এমন একজন মানুষ ড.ইউনুস - কে নিয়ে মাতামাতি করছে যার ফলটা সবার জন্য খুব একটা সুখকর হলো না। এখন তো এসব কোম্পানি (যেমন-ডেসটিনি)-এর একজন (রফিকুল আমিন) জনগনের টাকায় মহিরুহু হয়ে গেছেন এবং মনে হচ্ছে যেতেই থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।