আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং - উন্নয়নের প্রবেশদ্বার

সংবিধান-ই নাগরিকের শক্তি

বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এমএলএম হচ্ছে একটি সামাজিক বাজার। যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পাশাপাশি সকল প্রকার গৃহ সামগ্রী পাওয়া যায়। এই বাজারটির মালিকও হচ্ছে সমাজের সকলে যেখানে সকলেই ক্রেতা এবং সকলেই বিক্রেতা। আর সকল প্রকার পণ্যের গায়ে লভ্যাংশ উল্লেখ করা থাকে। ব্যবস্থাপনা ও হিসাব নিকাশের জন্য লভ্যাংশ হইতে সর্বোচ্চ শতকরা ২০টাকা ব্যয় করা হয়।

বাকি ৮০ টাকা ক্রেতা এবং বিক্রেতা অর্থাত জনগণের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হয়। এর ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কেই অর্থাত জনগণের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হয়। এর ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই একসঙ্গে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারে। সমাজের যে কোন ব্যাক্তি অন্য আরেকজনের অভিভাবকত্বে এই জাতীয় কোন মার্কেটিং কোম্পানীর পণ্য সামগ্রী, মার্কেটিং প্লান ও লভ্যাংশ বন্টনের যাবতীয় পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনুধাবন করে পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে একটি ব্যবসা কেন্দ্রের মালিক হতে পারেন। যেখান থেকে পরবর্তীতে তিনি লাভ প্রাপ্তির মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন এবং অন্য ২ ব্যাক্তির নিকট নির্দিষ্ট লভ্যাংশের সমপরিমান পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমান লাভ পেতে পারেন।

আপনি ও আপনার অভিভাবকত্বে যোগদানকারী পরিবেশকের পরবর্তী ক্রয় বিক্রয়ের লাভ ভবিষ্যতেও পেতে থাকবেন। আপনার এই ব্যবসা কেন্দ্রের পরবর্তী কেনা বেচার মাধ্যমে অর্জিত লভ্যাংশ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত- এবং মৃত্যু পরবর্তী উত্তরাধীকারীগণ ও বংশ পরিক্রমায় ভবিষ্যতে লাভ পেতে থাকবেন। আপনি এবং আপনার অভিভাবকত্বে পরিবেশকদ্বয়ের পরবর্তী পরিবেশক নিয়োগ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই ধরণের বাজার পদ্ধতিতে সাপ্তাহিক হিসাব নিকাশ কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়মিত করা হয়। আপনার অধিনের পরিবেশক সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছেই।

তাই সপ্তাহে অথবা পরবর্তী যে সপ্তাহে আপনার অধীনে কোম্পানীর হিসাব চার্ট অনুযায়ী যে লাভ পাওয়ার কথা তা ভবিষ্যত সপ্তাহ গুলোতে পেতেই থাকবেন। তাই এক সময় দেখা যায় এমন একটি দিন আসবে যেদিন থেকে প্রতি সপ্তাহে ঐ কোম্পানীর সর্বোচ্চ লাভ ভোগকারী ব্যাক্তি হবেন। সাধারণত বাংলাদেশের কোম্পানীগুলো থেকে সর্বোচ্চ ১০-১২ হাজার পর্যন- সপ্তাহে আয় করা যায়। যা মাসিক হিসাবে ৫০,০০০/- টাকারও অধিক আয়। এই পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে এলাকার সমগ্র জনগণের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে সকলে মিলে নিজ নিজ এলাকায় একটি বড় বাজার বা মার্কেট গড়ে তোলা সম্ভব।

যেহেতু এই পদ্ধতিতে এলাকার সকলেরই আর্থিক উন্নতি হয় সেহেতু, ব্যাক্তির স্ব-উদ্যোগে অথবা যৌথ উদ্যোগে সবার প্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রী উৎপাদন করা যায়। উৎপাদনকৃত পণ্য সামগ্রী নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে বিক্রয় করা যায়। যার মাধ্যমে আপনি আরও আয়ের পাশাপাশি দেশ গঠনেও অবদান রাখতে পারেন। ইচ্ছে করলে আপনার / আপনাদের উদ্যোগে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতে পারেন। একটি দেশ একটি সমাজ এভাবে আভ্যন-রীন সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমেই গঠন করতে পারে একটি সমৃদ্ধ দেশ।

সকলে মিলে এক সাথে জোট বেধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকলেরই উন্নয়ন করা সম্ভব বলে একে একটি সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়। দেশের আভ্যন্তরিন উন্নয়নে দরকার সকলের অংশগ্রহণ। তাই সময় ব্যয় না করে দ্রুত অংশ গ্রহণ ও এই নুতন পদ্ধতিটির প্রচার এই মুহুর্তে সকলেরই একটি সামাজিক দায়িত্ব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.