নাস্তিকতাবাদের বিপক্ষে বলতে গেলেই যে আমি জামায়াত-শিবিরের পক্ষে হয়ে যাব, এই ভুল ধারণার কারণেই তথাকথিত নাস্তিকগণ সবসময় ধর্ম সম্পর্কিত যুক্তিতর্ক এড়িয়ে চলেন। আর বাংলাদেশের নাস্তিকতাবাদ মূলত ঈশ্বরে অবিশ্বাসের উপর কেন্দ্রীভূত নয়, এখানে পুরো কনসেপ্টটাই ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক। কোন ধরমের আবরণে থেকে ইসলাম সম্পর্কে বিষোদগার করলে সেই ধর্মের অনুসারী অন্য লোকজন অসুবিধায় পড়তে পারেন, তাই মুকচিন্তার আদলে মূলত ইসলামকে আক্রমণ করার জন্যই এইসব ভণ্ড নাস্তিকদের আবির্ভাব। পাশ্চাত্য সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পারি, সেখানে নাস্তিকগণ মূলত স্বাধীন জীবনযাপন করার লক্ষ্যেই এই কনসেপ্টে আসক্ত হন। অন্য কোন ধর্মকে আক্রমণ কিংবা কুৎসা রটনা করার চিন্তা তাদের আচরণে কখনো প্রকাশও পায়না।
আর আমাদের দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় আমাদের বুদ্ধিজীবী কিংবা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নাস্তিক হতে চান শুধুমাত্র ইসলামের বিরোধিতা করার জন্য। নিজেকে নাস্তিক দাবি করার আগে একটাবার নাস্তিকের সংজ্ঞাটুকু পড়ে আসুন। শুধু শুধু নিজেকে এলিট প্রমাণিত করার জন্য নাস্তিক শব্দটা ব্যবহার করবেন না। আসলে দোষটা আমাদের নিজেদেরই, ৮৮% মুসলিমের দেশে বাকি ১২%কে আমরা এত সহিষ্ণুতা দেখিয়েছি যে, ৪২ বছর ধরে সম্প্রীতির নাম করে আমাদের মুল শিকড় থেকে আর দূরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নাস্তিক হওয়াতে দোষের কিছু নেই, আপনি মুসলিম নাম নিয়েও নাস্তিক হয়ে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন, তাতে আমার কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু মনে রাখবেন, দিনের শেষে নাস্তিকতাও কিন্তু একটা ধর্ম যার কিছু নিয়মনীতি আছে। যদি সেগুলো সঠিকভাবে পালন করতে না পারেন, তবে নাস্তিক না বলে নিজেকে ইসলামবিদ্বেষী বলুন। তাহলে হয়তো আপনার নোংরা থাবা থেকে কিছুটা হলেও মুসলিমগণ বাঁচতে পারবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।