আমি বাংলার গান গাই আমি বাংলায় গান গাই আমি আমার আমাকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই
১২ মার্চ যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মানবাধিকার বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভা মিলনায়তনের ওই বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাখাওয়াত হোসেন। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি আইনবহির্ভূত হত্যাকান্ড বিশেষ করে র্যাব, পুলিশের নির্বিচার হত্যাকান্ড নিয়ে যা বললেন তা কোন সরকারি কর্মকর্তার মুখ থেকে এখনো শোনার সৌভাগ্য হয় নি। তিনি বলেন, র্যাব বা পুলিশ মাঝেমধ্যে সন্ত্রাসী নির্মূলের নামে মানুষ হত্যা করে যেভাবে গল্প বানায় তা মানুষের কাছে আর বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। এটাকে মানবাধিকার লংঘন বলা যায় কীনা তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, যার যার স্বার্থে যে যেভাবে পারছে বিষয়টাকে কাজে লাগাচ্ছে।
বিশেষ করে যার হাতে যখন ক্ষমতা থাকে তখন সে সেটাকে যথেচ্ছা ব্যবহার করে এটা তার মনবাধিকার বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এতে কার ক্ষতি হল আর না হলো এটা নিয়ে তার মাথা ব্যাথা নেই।
এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের একটা বড় সমস্যা হল তারা শুধু অধিকার চায়। নিজেদের কর্তব্য বা ভূমিকা পালনে কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। শুধু মানবাধিকার, মানবাধিকার বলে চিৎকার করলেই সরকার সবকিছু দিয়ে দিতে পারবে না।
মানবাধিকারের কথা বলার আগে দেশের মঙ্গলের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য জনগণকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাষ্ট্র এবং সরকারের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরস্পরবিরোধী এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ওয়ার্কিং সেশনের মূল আলোচক বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবাধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। ফলে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে অনিবার্যভাবেই সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। সরকারের সাথে আঁতাত করে মানবাধিকার আন্দোলন করা যাবে না।
কোন কোন অংশগ্রহণকারী মনে করেন ইউএনও সাহেব যেটা বলেছেন এ কথার মাধ্যমে তিনি তার আমলাতান্ত্রিক চরিত্রের উন্মোচন করেছেন। প্রথমে র্যাব-পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড নিয়ে কথা বলাটাকে আড়াল করতেই তিনি পরের নসিহতটি করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।