আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুনদেশের কলাম লেখককে কানাডীয়ান মন্ত্রীর চিঠি



নতুনদেশের কলাম লেখককে কানাডীয়ান মন্ত্রীর চিঠি সকল আইনি প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দেশ থেকে বহি:ষ্কার করা যায় না। নতুনদেশ ডটকম কানাডা সরকারের পাবলিক সেফটি মন্ত্রী ভিক টওউস বলেছেন, সকল আইনি প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দেশ থেকে বহি:ষ্কার করা যায় না। তবে সিবিএসএ এবং কানাডা সরকার কানাডার ইমিগ্রেশন আইনের সমতাভিত্তিক এবং ন্যায্য প্রয়োগে অঙ্গীকারাবদ্ধ। নতুনদেশের নিয়মিত কলামলেখক মন্ট্রিয়লে বসবাসরত সাংবাদিক গোপাল সেনগুপ্তেক পাঠানো এক চিঠিতে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন। নতুনদেশের কলামিষ্ট এবং ফ্রি ল্যান্স সাংবাদিক গোপাল সেন গুপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনী নুর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহি:ষ্কারে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারফারকে ইমেইল করেছিলেন বছর।

ই মেইল পাঠানোর পর পরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে চিঠি পাবলিক সেফটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাবলিক সেফটি মন্ত্রণালয় থেকেও গোপাল সেনগুপ্তকে চিঠি লিখে শিগগিরই ডাকযোগে উত্তর দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত সাংবাদিক গোপাল সেনগুপ্ত মন্ত্রনালয় থেকে কোনো উত্তর পান নি। গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ফেডারেল সরকারের পাবলিক সেফটি মন্ত্রী তাকে দীর্ঘ চিঠি পাঠান। বাংলাদেশে অবস্থান করায় গোপাল সেন গুপ্ত সম্প্রতি চিঠিটি হাতে পান।

সম্প্রতি পাবলিক সেফটি মন্ত্রী বিক টওউস গোপাল সেনগুপ্ত দীর্ঘ একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে মন্ত্রী বলেন,’ নুর চৌধুরীর ব্যাপারে আপনার চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমার পূর্বসূরী মাননীয় পিটার ভ্যান লোন এর কাছে পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু বিদ্যামান গোপনীয়তা আইন নুর চৌধুরীর লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে তার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আপনাকে দেওয়া থেকে বিরত রাখছে। কিন্তু কিছু সাধারন তথ্য আমি আপনাকে দিতে পারবো। ‘ চিঠিতে বলা হয়েছে, কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সীর(সিবিএসএ) অন্যতম প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে কানাডার নাগরিকদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কানাডীযান সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

যুদ্ধাপরাধ বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার দায়ে অভিযুক্ত কোনো নাগরিকের জন্যে কানাডা যাতে ‘স্বর্গে’ পরিণত না হয় সেটি নিশ্চিত করাও কানাডা সরকারের অঙ্গীকার। ‘ চিঠিতে ইমিগ্রেশন এণ্ড রিফিউজি প্রটেকশন এ্যাক্ট এর উল্লেখ করে বলা হয়, এই আইনে কানাডায় প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য নয় এমন কোনো ব্যক্তি অথবা কারো বিরুদ্ধে ডিপোর্টেশন আদেশ হয়েছে এমন কোনো বিদেশি নাগরিককে বাস্তবিক অর্থে সম্ভব এমন দ্রুততম সময়ে দেশ থেকে বের করার দায়িত্ব সিবিএসএর। মানবাধিকার লংঘন,ফৌজদারি অপরাধ,সংঘবদ্ধ অপরাধ জাতীয় নিরাপত্তার সম্পৃক্ততা থাকলে সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকারও দেওয়া হয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের বহি::ষ্কারের বিষয়টি গ্রহণকারী দেশের শর্তাবলী এবং মামলার বিষয়ের উপর বহি:ষ্কারের প্রক্রিয়াটি নির্ভর করে। ‘ চিঠিতে বলা হয়, কাউকে বের করে দেওয়ার ক্ষমতাই আইনগত ভাবে এদেশে আসা লোকদের প্রতি ন্যায়বিচার এবং ইমিগ্রেশন কর্মসূচীর গ্রহণযোগ্যতার মূখ্য বিষয়।

কাউকে কানাডা থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেওয়া হয় না । বহি:ষ্কারের আদেশ পাওয়া প্রতিটি ব্যক্তিই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যান। সকল আইনি প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দেশ থেকে বহি:ষ্কার করা যায় না। এই প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে আপিল, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা, এবং বহি:ষ্কার পূর্ববর্তী ঝুকিঁ পর্যালোচনা । আইনে দেওয়া সকল পথগুলো প্রতিপালন হওয়ার পর কানাডার আইন মান্য করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন এটাই কানাডা সরকার আশা করে।

‘ চিঠিতে বলা হয়,’ কানাডার ইমিগ্রেশন কর্মসূচীর গ্রহণযোগ্যতা অক্ষুন্ন রাখতে সিবিএসএ অনুসন্ধান,ডিটেনশন এবং প্রবেশ অযোগ্য ব্যক্তির বহি:ষ্কার সহ আইনি সকল কার্যক্রম প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। ‘ চিঠিতে আশ্বস্থ করে বলা হয়,সিবিএসএ এবং কানাডা সরকার কানাডার ইমিগ্রেশন আইনের সমতাভিত্তিক এবং ন্যায্য প্রয়োগে অঙ্গীকারাবদ্ধ। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।