বিশ্বাসই হতে চায় না, এক বছর কি করে এত দ্রুত পার হয়! মহাকালের হিসেবে একটি বছর নিতান্তই কণামাত্র। কিন্তু যার বয়স মাত্রই একবছর, তার জন্যে সেটিই-তো সারাজীবন! দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যাটি বের করতে গিয়ে পিছু ফিরে তাকিয়ে পাঠক-লেখক, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে। বিপুল সংখ্যক পাঠক, শুভানুধ্যায়ীরা পত্রিকাটি সাগ্রহে গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যেতে অনেকটা বাধ্য করেছেন।
নস্টালজিক এই দিনে নতুনদেশের লেখক, পাঠক, সমালোচক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ী- সবার প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ! অনেক ত্রুটি, অনেক সীমাবদ্ধতা, অনেক সাফল্যে আপনারা নতুনদেশের কর্মীদের সঙ্গে পথ হেঁটেছেন। আমাদের প্রত্যাশা ‘আকাশছোঁয়া’ ছিলো না, কিন্তু প্রাপ্তির ঝুলি এতোটা ভরবে তা-ও অভাবিত! আপনারা নমস্য!
প্রবাসের ‘অনাবাসী’ বাঙালিরা যা বলতে, লিখতে বা শুনতে চায় তার কিঞ্চিৎ-ই প্রকাশ করতে পেরেছি আমরা।
বাংলাদেশের লেখকরাও সাগ্রহে অংশ নিয়েছেন দেখে আনন্দ পেয়েছি। বিশেষ কারণ বা উপলক্ষ্যব্যতীত নতুনদেশ সবসময়ই মৌলিক লেখা প্রকাশে তৎপর ছিলো, এ ব্যাপারে সহযোগিতাও পেয়েছি প্রচুর। তাই অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হতে, প্রচুর অনলাইন বাংলা পত্রিকা আর ব্লগের ভীড়ে নতুনদেশ প্রবল আস্থার সাথেই নতুনদেশ স্থান করে নিতে পেরেছে। একটি উদাহরণ দিতে চাই। ফেসবুক আর ই-মেইলে ‘তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত’ প্রতিক্রিয়া প্রকাশের এই সুদিনে কে কাকে চিঠি লেখে? তারপরও আর্কাইভে (পুরোনো সংখ্যা) গিয়ে নতুনদেশের ‘পাঠক প্রতিক্রিয়া’ বিভাগটিতে চোখ বুলালেই দেখা যাবে, কিভাবে নতুনদেশ ‘অভিনন্দিত’ হওয়ার পাশাপাশি ক্রমাগত ‘শরবিদ্ধ’ হয়েছে।
জোর গলায় বলতে চাই, গত এক বছরে মনে রাখার মতো, তোলপাড় করার মতো বেশ কিছু রিপোর্ট, মতামত ছাপা হয়েছে নতুনদেশে। সংগ্রহে রাখবার মতো কিছু প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা উপহার দিতে পেরেছি। কিছু প্রতিভাবান, মেধাবী এবং সম্ভাবনাময় অনাবাসী লেখকদের একত্র করতে পেরেছি। আবার মনে রাখবার মতো কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছি যা উপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয় ছিলো।
একথাও বলতে হবে- অনেকক্ষেত্রেই হয়তো পাঠকের প্রত্যাশা আমরা পূরণ করতে অপারগ হয়েছি।
সেক্ষেত্রে ক্ষমা চাইছি, সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি স্বীকার করে মার্জনা চাইছি। পরবর্তী দিনগুলোতে পাঠক আমাদের গোচরে আনবেন বিষয়গুলো, সে আমন্ত্রণ রইলো। আমরা উভয়ে মিলে যতোটা সম্ভব প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাবো নিশ্চয়ই।
পুরো পৃথিবী এখন বড়সড় একটা ‘জালে’র আওতায়। বাঙালি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই থাকুক-না কেন, এক প্রান্তের ঢেউ, অপর প্রান্তে কিছুটা হলেও দোলা দেয়।
তাই অনলাইন আদান-প্রদান প্রক্রিয়া দিনকে দিন আরো জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয় হতে বাধ্য। যেহেতু পাঠক শেষ বিচারে ‘দক্ষতা’ ও ‘বস্তুনিষ্ঠতা’ দেখতে পছন্দ করবেন, তাই ভবিষ্যতে আমাদের নানা সীমাবদ্ধতাসহ নতুনদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার উত্তর ভবিষ্যৎ-ই দেবে!
প্রত্যাশিত আগামীর পথ চলায় আপনারা আমার অভিনন্দন গ্রহণ করুন! সকলে সুস্থ থাকুন!
সেরীন ফেরদৌস
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।