নিশীথ রাতের বাদল ধারা
অনেক ভোরে বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। আলো ফোটেনি ঠিকমত—আলো আধাঁরিতে আকাশের আকুল কান্নায় ভেসে গেলাম যেন। উদাসী মনটা চলে গেল সুদূর অতীতে। শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম ছেলেবেলায় এমন বৃষ্টি মানে স্কুল হাফ ডে—রাস্তায়, স্কুলের মাঠে জমে থাকা জলে হুটোপুটি--কিশোরী বয়সে বান্ধবীদের সাথে মন খুলে খিলখিল হাসি, যে বড় ভাইয়ার প্রতি অনেক গোপন অনুরাগ, তাকে সবার অলখে তৃষিত আঁখির খুঁজে ফেরা।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এমন দিন মানে টিএসসিতে বন্ধুদের সাথে তুমুল আড্ডা, গরম ধোয়া উঠা চায়ের কাপ, তেতুলের চাটনি আর সিংগারা।
অথবা বাবুর সাথে হুড-খোলা রিকশায় এলোচুলে ভিজতে ভিজতে গান গাওয়া। কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিনগুলি?
আজকে বিদায় নেবার পালা—বৃষ্টি কি আমার চোখের জল অনেক ভালবেসে ধুয়ে দেবে বলে সারাদিন ঝরছে তো ঝরছেই? শোবার ঘর থেকে বের হয়ে দেখি মা তারা মিউজিক শুনছেন, কমলিনী দরদ দিয়ে গাইছেন আমার প্রিয়তম গানের একটি! আজ প্রকৃতি কি খেলায় মেতেছে?
মেঘের পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে
আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের পাশে।
কাজের দিনে নানা কাজে থাকি নানা লোকের মাঝে
আজ আমি যে বসে আছি তোমারি আশ্বাসে।
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা
দুরের পানে মেলে আঁখি কেবল আমি চেয়ে থাকি
পরান আমার কেঁদে বেড়ায় দুরন্ত বাতাসে।
চিরতরে দেশ ছেড়ে যাবার মত কষ্ট আর কিছু নেই।
মোটামুটি সব আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা আর দাওয়াত নিয়ে বালিঘড়ির বালি কবে যে তলানীতে এসে ঠেকেছে টেরই পাইনি। সবার কাছ থেকে বিদায় নেয়া হল কিন্তু বাবু জানেই না আমি আমেরিকা চলে যাচ্ছি। খবরের কাগজে “ঊচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমন” টাইপ খবর দেখে কি যে হাসতাম একসময়! এখন ভাবি এমন যদি ছাপাতাম, ওর হাতে কি তা পড়ত? সেকি এক মূহুর্তের জন্য ভাবত, “কত দূরে চলে যাচ্ছে তার এককালের বউ!” নাকি অবজ্ঞা ভরে ছুড়ে ফেলে দিত পেপারটা?
ভাবতেই অবাক লাগে একদিন যে মানুষটি ছিল সবচেয়ে আপন- সবচেয়ে প্রিয়, আজ তার কাছে আমি কত অপাঙতেয়! ওর কথা মনে পড়লে আমি নিজেও কি খানিক শক্ত হয়ে যাই না? অনেক দিনের জমে থাকা কষ্ট, অবহেলা আর অপমানের ভিত কি কালের নিয়মে নড়বড়ে হয়? হয় না। খানিকটা ভোতা হয়তো হয়ে যায় কিন্তু মনের কাঠিন্য একটুকুও দ্রবিভূত হয় না।
কিন্তু এমন কি হবার কথা ছিল? কত ঝঞ্ঝাবিঘ্ন পার হয়ে তাদের বিয়ে।
আর কিছু না থাকুক, ভালবাসা দিয়ে ঘর সাজাবে এমন কত রঙীন স্বপ্ন! বাবা মারা যাবার পর মা কত কষ্টে মানুষ করেছেন তিতলী আর আমাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকতেই ওর কত তাড়া বিয়ে নিয়ে। আমি বাড়ির বড়মেয়ে, মাত্র চাকরিতে জয়েন করেছি, ছোট বোনটা সবে মেডিকেলে ঢুকেছে, ভাইটা তখনও স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি। বিয়ে করাটা সে-সময় রীতিমত অনৈতিক মনে হয়েছিল। খানিকটা ওর জেদ, খানিকটা আশ্বাস, খানিকটা ভালবাসার দাবী, সব মিলিয়ে রাজি হয়েছিলাম বিয়েতে।
যদিও জানতাম দাম্পত্য খুব সহজ হবে না। দুই পরিবারের আর্থিক বৈসম্য দুই মেরুর মতন! রুচি আর সাংস্কৃতিক দিকের কথা অনুলেক্ষ্য থাক। এই বিয়ে ঠিক হবে কিনা সেটা ওদের পীর ঠিক করে দিয়েছিলেন—একুশ শতকেও এমন হয় ভাবতে অবাক লাগে। আমার ছবি দেখে নাকি সুলক্ষনা বলেছেন, সেই জন্যই হতদরিদ্র এতিমের প্রতি তারা করুণা করেছেন। বিয়ের পর পর শাশুড়ি অনেকবার শুনিয়েছিলেন এই কথাগুলো।
তখন ভালবাসার জোয়ারে ভাসছি, উনি উনার বিচারমত বলছেন, আমি শুনে গেছি, অশ্রদ্ধা করার শিক্ষা পাইনি যে বাড়ি থেকে। নিজের ভালবাসার উপর কি অগাধ আস্থা তখন আমার, হাসতে হাসতে অবলীলায় অগ্রাহ্য করেছি এইসব ক্ষুদ্রতা।
কিন্তু বিয়ের একমাস যেতে না যেতেই শুরু হল গন্ডোগোল। ওদের একান্নবর্তী পরিবারের বউরা চাকরি করবে ব্যাটা ছেলেদের সাথে এটা কেমন কথা। তার উপর বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় ৮টা ৯টা বেজে যেত।
মতিঝিল থেকে উত্তরা যাওয়া কি চাট্টিখানি কথা! মায়ের, ভাইবোনদের দেখাশুনাতো দূরে থাক, খোঁজখবরও নিতে পারতাম না ঠিকমত। আমি দেখতে ভাল, ছাত্রী ভাল, চাকরি ভাল করি, সেইটা নিয়ে আমার নাকি অহংকারের শেষ নাই। আমার অহং খর্ব করতেই নাকি কে জানে, খাবার টেবিলে সব ছেলেমেয়েরা মিলে মায়ের কত প্রশংসা করত। উনি সুচিত্রা সেনের মত দেখতে; যদি চাকরি করতেন, কত সেক্রেটারীর নাক কাটতেন। ভাল লাগত এই স্তোতবাক্যে শাশুড়ির শিশুসুলভ খুশী দেখে।
কিন্তু আমার প্রতি উনার বিদ্বেষ না কমে খালি বেড়েই যাচ্ছিল।
দিন দিন অশান্তি বাড়তেই লাগল। আমাদের বিশ্বাস আর ভালবাসার ভিতও ক্রমান্বয়ে দূর্বল হতে লাগল এর ফলশ্রুতিতে। প্রতিদিন অফিস থেকে জ্যামে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরে দেখতাম শাশুড়ি ছেলের কানভারী করছেন। তার বক্তব্য ছেলে এত রোজগার করে বউয়ের চাকরীর দরকার কি? মেয়ের রোজগার খাবার জন্য আমার মায়ের উপর উনার মায়া হয়।
সামনাসামনি এসব বলতেন কারণ ঊনার ছেলে কোনদিন প্রতিবাদ করার প্রয়োজন বোধ করেনি। আমার ছেলেপুলে নেয়া উচিত এখনি, উনি মরার আগে নাতির মুখ দেখতে চান। পাড়ার লোকেরা নাকি বাজে কথা বলে, মেয়েরা বেশী বারমুখো হলে চরিত্র খারাপ হয়ে যায়। আমার জায়েরা, বাসার সবকাজ মিলেমিশে করে, আমি সারাদিন বাইরে থাকি, সংসারের কোনকাজ করি না, এতে বাসার ব্যালেন্স নস্ট হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি। মাঝে মাঝে অবাক হয়ে দেখতাম বাবু মৃদু সায় দিচ্ছে মায়ের কথায়! আমার বুকের ভিতরটা গুমরে গুমরে কাঁদত, এ কেমন ভালবাসা? কেন চারদিক ঢেকে আমাকে এইসব দীনতা থেকে রক্ষা করেনা এই ভালবাসা?
কিছুদিন পরে বাবু আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলল।
আমি তখন মাত্র কনসিভ করেছি। আমার শরীর আর অনাগত ছেলের কথা ভেবে এটাই সঠিক হবে বলে আমাকে বুঝাতে চাইল। ওর মাও সেটা চান। আমার মাকে আমি যা টাকা দিতাম সেটা নাকি ও দিয়ে দেবে। আমি ভাবতে লাগলাম, প্রথম মা হতে যাচ্ছি, শরীরটাও প্রথম দিকে ভাল যাচ্ছিল না।
আমি ওকে জানালাম, আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলব, দরকারে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নেব। সেক্ষেত্রে আমার একবছরের বেতনের সমান টাকা আমি ধার নেব ওর কাছ থেকে, পরে আমার সন্তান আমার পৃথিবী আলো করে এলে, চাকরিতে ফেরত গিয়ে ঋন শোধ করে দেব। বাবু হাসছিল অনেক। বলেছিল, তোমার আত্মসন্মানবোধের জন্যই তুমি আলাদা, তাই তোমাকে এত ভালবাসি। কি যে আনন্দে কেটেছিল সেই দিনটা।
অনেক দিনের পরে বৃষ্টি এলে গাছের সবুজ কচিপাতা খুশিতে যেমন চিকমিক করে—তেমনি খুশি উছলে ঊঠেছিল যেন!
প্ল্যান মাফিক গেলাম ডাক্তারের কাছে। বাবু দেশের সবচেয়ে নামকরা এক গাইনীর কাছে নিয়ে গেল। তিনি দেখে বল্লেন, আমার স্বাস্থ্য বেশ ভাল, বাচ্চা ভাল আছে। জেস্টেশনাল ডায়বেটিস হবার একটা মৃদু সম্ভাবনা আছে। ভাত কম খেতে বল্লেন, হাটতে বল্লেন, কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকতে বল্লেন।
চাকরি থেকে ছুটি নিতে বারণ করলেন তিনি, বল্লেন “অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না, কিন্তু ঘরে বসে থাকাও ঠিক হবে না। “
তিন মাসের মাথায় শরীরও একদম ফিট। ডাক্তারের আশ্বাসে বলীয়ান, অফিস না করার প্রশ্নই উঠে না। শাশুড়ি ব্যাপারটা মেনে নিলেন না। দিনরাত আমাকে রাক্ষুসী মা বলে অপবাদ দিতেন।
মাঝে মাঝে মনে হত সত্যি যদি আমার সোনামনির কোন ক্ষতি হয় উনি বোধহয় বিজয় উল্লাসে ফকির খাওয়াবেন—সবাইকে বলবেন আমি আগেই বলেছিলাম এমন হবে! নিজেকে শাসন করতাম তখন। কিন্তু আমারও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছিল মনে হয়।
ছয় মাসের মাথায় হঠাৎ শরীর খারাপ করা শুরু করল। পানি এসে গা ফুলে গেল রাতারাতি। যা ভয় করেছিলাম তাই।
গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস। অনেক মোটা হয়ে গেলাম। ইন্সুলিন নিতে নিতে হাত-পা নীল হয়ে গেল। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হল না। সাড়ে সাতমাসের মাথায় জুই ফুলের মতন শুভ্র স্টিল বর্ণ ছেলে হল আমার।
আমি সেইযে বাক রুদ্ধ হয়ে গেলাম, প্রায় একমাস কোন কথা বলিনি কারো সাথে, শরীরও খারাপ হয়ে গেছিল। মায়ের কাছে ছিলাম তখন থেকে। থাকতে লাগলাম মাসের পর মাস। ডিপ্রেশন যে কি ক্ষতিকারক, বেঁচে থাকাতেই চরম অনীহা, ভোতা একটা কষ্টের অনুভুতি সারাক্ষন। মা খাইয়ে দিতেন, নাইয়ে দিতেন যেন আমি একটা বাচ্চা।
প্রথম প্রথম বাবু প্রতিদিন আসত, আমাকে বাইরে নিয়ে যেত, গল্প করত আমাদের সুন্দর সময়গুলোর। ও একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে গেল। ওনার সাথে কথা বলে সত্যি আবার জীবনে ফিরবার প্রেরণা পেলাম। অনেক সাহস দিতেন উনি। ভাল লাগত উনার সাথে কথা বলে।
আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠলাম। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম বাবুর আসা কমে গেছে। আমি ফোন করলেও দায়সারা জবাব দেয়, নিজে থেকে ফোন করে না। শ্বশুড় বাড়ির কেউ খোঁজ নেয় না। কেমন নিজেকে অপাঙতেয় লাগত।
মা পরামর্শ দিলেন ফিরে যেতে ও বাড়ি।
বাবুকে ফোন করে জানালাম। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক ওয়েট করছিল আমার জন্য—আমি হতবিহবল হয়ে গেলাম ওর কথা শুনে। ও জানাল, আমি যেন আর ফিরে যাবার কথা না ভাবি। আমার মতন দুশ্চরিত্রা মেয়েকে কে ফেরত নেবে? আমি নাকি সেই সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে প্রেম করছি।
ওর কাছে নাকি আমার ফোনের কললগ আছে প্রমানস্বরুপ। আমি ডিভোর্স না দিলে ও নাকি পৃথিবীর কাছে আমার ভালমানুষী মুখোশ খুলে দেবে। যে পরিবার আমাকে মাথায় করে রেখেছে আমি নাকি তাদের খালি অপমানই করেছি, একেদমই মানিয়ে নিতে চাইনি। আমি তার ভালবাসার অপমান করেছি-বিশ্বাসকে ভেঙ্গে দিয়েছি। কি যে অকথ্য গালি গালাজ তারপর।
আমি হতবাক! বোকা হয়ে গেলাম পুরা। ও এখানেই থামল না। আমার মা ফোন করে কি হয়েছে জানতে চাইলে মাকে কত যে অপমান করল। বাধ্য হয়ে ডিভোর্স ফাইল করলাম, নইলে নিজের আত্মার কাছে ছোট হয়ে যেতাম যে।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হল যে মাসে ডিভোর্সের কাগজপাতি ফাইনাল হবে, সেই মাসে আমার আমার আমেরিকার ইমিগ্রেশন হয়ে গেল।
অনেক আগে ডিবি পেয়েছিলাম, সেইসূত্রে। তখনই শুনলাম, বাবু কার সাথে জানি প্রেম করছে। কোন এক কলিগের সাথে তার বছর খানেক ধরে সম্পর্ক। সে আমাকে ডিভোর্স দিলে খরপোশ দিতে হবে আর সমাজ ভাল চোখে দেখবে না। তাই ইচ্ছা করে এমন ব্যবহার করেছে, যাতে আমি উদ্যোগ নেই বিচ্ছেদের।
এই খবরে আর নুতন করে কষ্ট পেলাম না—বরং লজ্জা পেলাম। মানুষ চিনতে এত বড় ভুল কি করে করেছি আমি? সত্যি অবাক লাগে মাঝে মাঝে। এত বোকা কেউ হয়?
সবচেয়ে আজব হচ্ছে, একদিন আমার সাইকিয়াট্রিস্টকে জানালাম সবকিছু। উনি অনেক পজেটিভ কথা বল্লেন, সবার জীবনেই মেঘ সরে সূর্য উঠে, তাই সাহস না হারাতে বল্লেন। এত ভাল লেগেছিল কথাগুলি।
আমার জীবনেও আসবে কোন রাজার কুমার যে আমার সব দীনতা, মলিনতা মুছে দেবে, আবার আমাকে খুশীর রাজত্বে হাসির দোলায় দোলাবে। আমারও অধিকার আছে ভালবাসার। পাবার আর দেবার!
ডিভোর্স হয়ে গেল। মুক্তির আনন্দে নিঃশ্বাস নিলাম প্রাণ ভরে। কিন্তু জীবন আরো চমক বাকি রেখেছিল আমার জন্য।
দুইদিন বাদে সাইকিয়াট্রিস্ট
সাহেব তার প্রফেশনাল আচরন বদলে আমার সাথে পরকীয়া করতে চাইলেন। তার স্ত্রী তাকে বুঝেন না, আমার গল্প শুনে, কথা বলে উনি নাকি আমার প্রেমে পড়ে গেছেন। ডিভোর্স হয়নি দেখে এতদিন কিছু বলেননি। আজ ভালবাসার দাবি নিয়ে এসেছেন, আমাকে নিয়ে অচীনপুরে বেড়াতে যেতে চান তিনি! কিন্তু নিজের স্ত্রীকে ছাড়বেন না কোনদিনই!
হায়রে! আমিতো জীবনের কাছে খুব বেশী কিছু চাইনি। সামান্য ডিগনিটি নিয়ে বাঁচতে চাওয়া কি খুব বড় অপরাধ?
গানের লিঙ্কঃ
http://www.calcuttaweb.com/gaan/rabindra/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।