যাহা বলি সত্য বলি....
শেয়ারবাজারে মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের লেনদেন অনিশ্চিত বলে বুধবার একটি ভালো প্রতিবেদন ছেপেছে দৈনিক সমকাল। স্যামহোয়ারের অগণিত পাঠকদের জন্য তারই প্রথমাংশ তুলে দিলাম।
‘অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) শর্ত অনুযায়ী, তালিকাভুক্তির ছয় মাসের মধ্যে ইস্যু মূল্যের (আইপিওতে শেয়ারের বিক্রয় মূল্য) তুলনায় সংশ্লিষ্ট শেয়ারের বাজারমূল্য কমে গেলে কোম্পানি দুটির পরিচালকদের ইস্যু মূল্যেই শেয়ার কিনতে হবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে উভয় কোম্পানির চেয়ারম্যান এ শর্তে মৌখিক সম্মতি দেন।
কিন্তু কোম্পানি দুটির প্রধান এ ব্যাপারে লিখিতভাবে সম্মতি না দেওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত না করার জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে।
কিন্তু কোম্পানি দুটির প থেকে বলা হয়েছে, তারা মার্চ মাসেই তালিকাভুক্ত হতে পারে। আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার এক মাস পরও কোম্পানি দুটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের ৯১৩ কোটি টাকারও বেশি আটকে আছে।
তবে মবিল যমুনা লিমিটেডের (এমজেএল) চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী সমকালকে জানান, চলতি মাসের শেষ দিকে মবিল যমুনা লুব্রিক্যান্টসের (এমজিএল) তালিকাভুক্তির বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ছয় মাস অনেক সময়।
আমরা এত সময় শেয়ারমূল্য ধরে রাখার দায়িত্ব নিতে পারব না। আর পরিচালকদের এত টাকা নেই যে, এত শেয়ার কিনে নেবেন। তাহলে বর্তমান সংকট কীভাবে উত্তরণ করা হবেথ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জগুলো দেখছে কী করা যায়।
অন্য কোম্পানি এমআই সিমেন্টের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার কোম্পানির তালিকাভুক্তির বিষয়ে গতকাল কোনো মন্তব্য না করে জানান, আজ তিনি এ বিষয়ে ইতিবাচক বা নেতিবাচক খবর দিতে পারবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসইসি কোম্পানি দুটিকে দেওয়া শর্তের ব্যাপারে অনড় রয়েছে।
এসইসির একটি সূত্র জানায়, সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এসইসিকেই দায়িত্ব দিয়েছে। এসইসি মনে করছে, ওই শর্ত ছাড়া বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রা করা যাবে না। শর্তে পূরণে রাজি না হলে মবিল যমুনার আইপিও কার্যক্রম বাতিল হবে কি-না তা এখনও নিশ্চিত নয়। এসইসির এক কর্মকর্তা জানান, মবিল যমুনা শর্ত পূরণে রাজি না হলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমতি নাও পেতে পারে। সেেেত্র আইন অনুযায়ী আইপিও আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কোম্পানিটিকে নির্দেশ দিতে পারে এসইসি।
’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।