সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
প্রতিদিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে নারীর প্রতি বৈষম্য, উৎপীড়ন, নিপীড়ন, শারীরিক নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, ইভটিজিং, সামান্য যৌতুকের জন্য স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন ঘটনা আমাদেরকে মধ্যযুগীয় বরবর্তাকে মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের নগরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামে সময় ও স্থানভেদে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন, অন্যায়কে অধীনস্থ (প্রতিষ্ঠা করা) করে রাখার প্রবণতা, শোষণের মনোভাব, সামগ্রিকভাবে নারীর প্রতি বৈষম্য উৎপীড়ন, নিপীড়ন ও নির্যাতন সমাজজীবনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে আসছে।
নারীর প্রতি নির্যাতন রোধে নারী নির্যাতন বিরোধী আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। সভা সমাবেশ মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে সতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে পুরুষ।
নারীর প্রতি সহিংস কোন ঘটনায় নারীদের চেয়ে বেশী সোচ্চার হয়েছে পুরুষ। এটা খুবই ভালো লক্ষণ। তবে এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। অনেক পরিবারে নারী কর্তৃক অনেক পুরুষ প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলছে যা দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রকাশিত হয়না।
দেশের ৭০ ভাগ নারী পুরুষ কর্তৃক নির্যাতিত হলেও কত ভাগ পুরুষ নারী কর্তৃক নির্যাতিত হয় তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নাই।
পুরুষ তার সামাজিক মর্যাদা ও আত্মসম্মান বজায় রাখার এমনকি জীবনে নাশের হুমকির মূখে প্রতি নিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলছে। অনেক নারী স্বামী থাকা সত্বেও পরকীয়ায় পতিত হয়ে নষ্ট করছে সামাজিক ও পারিবারিক জীবন। হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে সন্তানদের ভবিষ্যৎ। উপরন্ত নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করে পুরুষকে করে রেখেছে তাদের অনুগত ভৃত্য। এসব প্রতিরোধে সচেতনতা এবং প্রতিরোধের অভাবে উৎপীড়ন, নিপীড়ন ও নির্যাতন পুরুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
আইনের অধিকার সকলের জন্য সমান। আইন অন্ধ সে নারী পুরুষ বিচার করেণা। সুতরাং নারী নির্যাতন বিরোধী আইনে শুধু পুরুষকে সাজা দিবে আর নারী থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তা কখনোই কাম্য হতে পারেনা।
নারী নির্যাতন বিরোধী আইনের সাথে সাথে পুরুষ নির্যাতন বিরোধী আইন প্রনয়ণ এখন সময়ের দাবী। যে অন্যায় করলে পুরুষকে সাজা দেওয় যাবে সেই একই অন্যায়ের জন্য নারী থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তা কখনো্ই কাম্য হতে পারেণা।
আমরা চাই নির্যাতিত সকল পুরুষ একই আইনের ছায়া তলে আসার সুযোগ পাক। অথবা নারী নির্যাতন বিরোধী আইনের পাশাপাশি প্রনয়ণ করা হোক পুরুষ নির্যাতন বিরোধী আইন যেখানে পুরুষ নির্যাতনকারী নারী শাস্তি এড়াতে না পারে। তা না হলে নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করে নারী হয়ে উঠবে দুঃসাহসী অনুপ্রাণিত হবে পুরুষ নির্যাতনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।