যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা। একদিন পথে নেমে দেখি বেমালুম ভুলে গেছি শামুকের নিবাস, চারপাশে শুধু মৃত পাখিদের পদচিহ্ন, মাথার দু হাত উপরে সূর্য, আমার চুলও ক্যামন ভাসছে তপ্ত বাতাসে, অবাধ্য আমার চুল; বড় হয় গাছের মতো আমার চুল; ওরা বেড়ে ওঠে মৃত্যুর প্রয়োজনে, কাল রাতের পরেই হুট করে মধ্যাহ্ন নেমেছে, আসো, তুমি আর আমি মিলে প্রতিবর্তে একটা ঝড় সৃষ্টি করি- তারপর একসময় অন্ধকার হবে পৃথিবী, একটি সূর্যের অপমৃত্যু দেখার জন্য আর কতোকাল বসে থাকবো অশান্ত চোখ নিয়ে, তোমাকে যদি পাই, আমি চলে যেতে চাই, তারপর যেতে চাই মরে আমার অশান্ত চোখ, তার ঘোরাফেরা দেয়ালে দেয়ালে, আমার অশান্ত চোখ, উন্মত্ত সমুদ্রের ঢেউ এ আমার অশান্ত চোখ, এক টুকরো জ্বলন্ত কাঠ এ আমার অশান্ত চোখ, তোমার দেহের প্রতিটা বাক এ আবদ্ধ বলয়, যেতে যেতে আর একবার ফিরে এলাম, ম্যান্ডোলিন; ধুলো মাখা যৌথ স্বপ্ন তোমার আমার, গর্তে বাসা বেঁধেছে সৌরকুচি, আমি কি খুঁজি, আহা, চারপাশে জমে আছে গভীর নেশাময় রৌদ্র, বইছে তপ্ত বাতাস, পুড়ছে আমার দেহ, কতো শত রৌদ্র-রঙের ভিড়ে শামুকের রঙও নাকি প্রতিমুহূর্তেই পরিবর্তিত হয়, শুনেছি- যদিও দেখিনি কখনো, তবে অনেকটা পথ ফিরে এসে একটি সূর্যের অপমৃত্যুর অপেক্ষায় আছি। (অপেক্ষা; পূর্বের কথাঃ দ্রোনদের প্রেতাত্মা, ভালোবাসা, অথবা আত্মহত্যা বিষয়ক কথকতা এর পূর্বাংশ।)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।