আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই..পাই যদিবা.ক্ষণেক্ষণে হারাই
সারাটা বাড়িতে একা হেঁটে বেড়াচ্ছে অদ্রি। মাথার উপরে ঢাউস বাতিটা যেন নির্বোধের মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। খুব ভাল লাগে বৃষ্টি ওর। বৃষ্টি হলেই দে ছুট।
কিন্তু এই মাঝরাতের বৃষ্টিটার শব্দ শুনতে অন্যরকম লাগে। এমন এক বৃষ্টি...ভিজতেও ইচ্ছা হয়না, নিথর বসে শুধু তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে। বৃষ্টির পানিতে জানালা ভিজে যায়, সেই ভেজা জানালায় আঙুলের লেখনী দিয়ে আলতো ছুঁয়ে নাম লিখে যাওয়া অথবা অন্য কোন কিছু...কি যেন! এই অভ্যাসটা ছেলেবেলার। কিন্তু কি আজব! কিছু মনে আসছেনা, কোন কথা না,কোন নাম না, কিছুই না। আঙুলটা তাই অলস হয়েই দেখতে থাকে যেন বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে।
বাড়িটায় হেঁটে বেড়ানো একা একা, নিজের পায়ের শব্দ, ঘড়ির টিকটিক আর বাথরুমের কল থেকে পড়ে যাওয়া পানির কণাগুলোর অনিচ্ছায় অথবা ইচ্ছাবশতঃ মৃত্যুবরণ- বড় বেশি কানে বাজে এসময়।
খুব ইচ্ছা করে কোন প্রিয় নাম ধরে চিৎকার করে ডাকতে। নীরবতা খুব বেশি নিষ্ঠুর লাগে তখনই যখন কেউ সেটা ভেঙে দিবেনা জানা থাকে। যখন এটা জানা থাকে, হাজারটা প্রশ্নের উত্তর কেউ দিবেনা। তখন কি এটা নিস্তব্ধতা হয়ে যায়??
অদ্রি প্রার্থনায় বসে মন শান্ত করতে, একটু সঁপে দিতে চায় সমর্পণে...কিন্তু কি বলবে সে?
শব্দেরা যে জমে সব হিম হয়ে আছে! তাই উপরে চুপচাপ তাকিয়ে চলে নিঃশব্দ প্রার্থনা! স্রষ্টারতো তারচেয়েও বেশি জানার কথা তাকে।
অনুচ্চারিত কিংবা নিজেও বুঝতে না পারা অনুভূতির প্রকাশ কি স্রষ্টা তাঁর নিজের ভাষায় বুঝে নিতে পারবেননা? উপরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কেমন যেন একটা শূন্যতা অনুভব হয়; কেমন যেন- কোন কিছুতে প্রকাশ করা যায় না একটা অনুভব হতে থাকে! হঠাৎ করে একটা ব্যাপার খুব মনে হয় অদ্রির-
একাকিত্বের চেয়ে শূন্যতা ব্যাপারটা বড় বেশি ভয়ানক!
তাই নিঃশব্দে এক অশ্রুকণা নিজের মতো করেই গড়িয়ে পড়ে। আর চুপ করে অদ্রি শুধু চেয়েই থাকে শূন্যতায় কিংবা শূন্য চোখে।
সময়- নিঃশব্দ এক উইন্ডচাইম যেন...........
যে গানটা শুনে মনে হয় প্রকাশ করে অনুভূতিকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।