আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানব জিনের পেটেন্ট হবে না

মানুষের জিন বা বংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্যের কোনো কিছু নিজেদের নামে পেটেন্ট (আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সরকারি সনদ) সুযোগ পাবে না কোনো প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এ-সংক্রান্ত একটি আইন জারি করেছেন। সাম্প্রতিক কালের উদীয়মান ও লোভনীয় দুটি ক্ষেত্র চিকিত্সা ও বায়োটেকনোলজি শিল্পে এ সিদ্ধান্ত বড় রকমের প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা তিন দশক ধরে জিনবিষয়ক পেটেন্টের অনুমোদন দিলেও সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের সর্বসম্মতিতে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত তার বিপরীতে গেল।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিয়ার্ড জেনেটিকস ইনকরপোরেশনের অর্জিত স্তন ক্যানসার পরীক্ষার পেটেন্টটিও এ রায়ের ফলে অকার্যকর হয়ে যাবে। ম্যারিয়ার্ড জেনেটিকসের স্তন ক্যানসার পরীক্ষার বিষয়টি সম্প্রতি আলোচনায় আসে হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কারণে। তাঁর একটি জিন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকায় তাঁকে চিকিত্সকের ছুরির নিচে যেতে হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বিচারক ক্লারেন্স টমাস জানান, ডিএনএ বা বংশগতির ধারক-সংক্রান্ত যে বিষয়টি পেটেন্ট করার অনুমতি ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। কারণ, এটা পেটেন্ট নীতিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রকৃতির নিয়ম ও প্রাকৃতিক ঘটনা এবং বিমূর্ত ধারণা পেটেন্টের মধ্যে পড়ে না। পেটেন্ট হচ্ছে আইনগত সুরক্ষা, যা কোনো প্রতিষ্ঠানের তৈরি পণ্য, প্রক্রিয়া বা প্রয়োগের বিষয়টি নকল করা থেকে বিরত রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক অফিস তিন দশকের বেশি সময় ধরে মানুষের জিনের ওপর পেটেন্ট অনুমতি দিয়ে আসছে। স্তন ও জরায়ুর ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি জিনের পেটেন্ট করিয়েছে ম্যারিয়ার্ড ইনকরপোরেশন এবং শুধু এ প্রতিষ্ঠানটিই এ-সংক্রান্ত জিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির এ পেটেন্টের বিপক্ষে অন্য গবেষকেরা যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে এ পেটেন্টের ফলে অন্য গবেষকেরা এ জিনগত ত্রুটির নিরাময়ে পরীক্ষা চালিয়ে নতুন চিকিত্সা-পদ্ধতি তৈরি করতে পারবেন না।

গবেষকদের যুক্তি মেনে মানুষের শরীরের অভ্যন্তরের জিন পেটেন্ট অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত।

সোর্স: http://news.techzoom24.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।