মানুষের জীবনে রোগ-শোক-জরা-ব্যাধি-মৃত্যু-হারানো থাকবেই... কিন্তু সবকিছু থেকে বড় হলো 'বেচেঁ থাকা' ... এই বেচেঁ থাকা দিয়ে সব কিছু জয় করতে হবে ।
লিবিয়ায় পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। হয়তো সম্ভাব্য বিজয় কেই জনতা তাদের ব্রত ধরে নিয়েছে। এ প্রতিরোধ মুষ্টিমেয় জনতার মাঝে আর নেই। ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইনের রাজপথে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গতকাল অংশ নেয় লাখ লাখ মানুষ।
তারা লিবিয়ার বিক্ষোভকারীদের প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করে। গতকাল জুমার নামাজের পর এসব দেশের রাজপথগুলোতে জনতার ঢল নামে।
বিক্ষোভে গতকাল উত্তাল হয়ে ওঠে ইরাক। দুর্নীতি অবসান, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও পর্যাপ্ত জনসেবার ব্যবস্থা করার দাবিতে জনতা রাস্তায় নেমেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে ।
কিরকুক থেকে বসরা পর্যন্ত চলেছে এ বিক্ষোভ। শুক্রবারকে 'বিক্ষোভের দিন' নাম দিয়ে দেশে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ইরাকজুড়ে বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ হয়। আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিনের শাসক এবং সরকারের পতন ঘটানোর দাবিতে আন্দোলন হলেও ইরাকের বিক্ষোভটি এদিক থেকে আলাদা। অন্যদিকে, ইয়েমেনের রাজপথেও গতকাল তুমুল বিক্ষোভ হয়েছে। জুমার নামাজের পর রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে লক্ষাধিক মানুষ।
নিরাপত্তা বাহিনী কোথাও বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়নি। ইয়েমেনের সরকার ঘোষণা দিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধা দেয়া হবে না। তবে কোথাও কোথাও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। দক্ষিণাঞ্চলের তিয়াজ শহরে বিক্ষোভকারীরা 'শহীদদের শুক্রবার' পালন করে। গত শুক্রবার বিক্ষোভের সময় নিহত দু'জনের স্মরণে এই দিনটি পালন করে তারা।
অপরদিকে রাজধানীর সানা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে জমায়েত হয় লাখো মানুষ। তারা প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুলস্নাহ সালেহর পদত্যাগ দাবি করে শ্লোগান দেয়।
বাহরাইনের রাস্তায়ও বিক্ষোভে অংশ নেয় লাখো মানুষ। শুক্রবার রাজধানী মানামার পার্ল স্কোয়ারে তারা সরকারে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে শেস্নাগান দেয়। বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদেরকেও এদিনের বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।