আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিবিয়ায় মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ৮ বাংলাদেশি

ভাগ্য বদলের আশায় তাঁরা বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু দালালদের খপ্পরে পড়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পুলিশ হেফাজতে আটজন বাংলাদেশি লিবিয়ার একটি হাসপাতালে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ফরহাদ হোসেন নামের অপর এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

সুদান থেকে অবৈধভাবে লিবিয়ায় প্রবেশকালে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে লিবিয়ার সীমান্তবর্তী তাজারবো এলাকায়। তাজারবো লিবিয়া-সুদান সীমান্তের একটি এলাকা, যেটি রাজধানী ত্রিপোলি থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার এবং বেনগাজি শহর থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে।



লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৬ জন বাংলাদেশি এবং কয়েকজন সুদানি অবৈধভাবে লিবিয়ায় প্রবেশের জন্য ৭ নভেম্বর সুদান থেকে যাত্রা করেন। এরপর তাঁরা লিবিয়া সীমান্ত অতিক্রম করার পর একটি পিকআপ ভ্যানে মরুপথে বেনগাজীর উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু পথিমধ্যে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ফরহাদ হোসেন নামের একজন বাংলাদেশি ও কয়েকজন সুদানি নিহত হন। আটজন বাংলাদেশি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন।

তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহত ফরহাদ হোসেন বগুড়ার শাজাহানপুরের মকবুল হোসেনের ছেলে। তাঁর মৃতদেহ তাজারবো হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। আহতদের মধ্যে দিনাজপুরের দুলাল ও জয়পুরহাটের দেলোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া নরসিংদীর মোহাম্মদ মজিবুর, টাঙ্গাইলের সাঈদ ও নারায়ণগঞ্জের ইকবাল হোসেন বেনগাজি সেন্ট্রাল হাসপাতালে এবং ময়মনসিংহের মতিয়ার ও জয়পুরহাটের মোয়াজ্জেম হোসেন তাজারবো জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।

এ ছাড়া দুর্ঘটনাস্থল থেকে আটজন বাংলাদেশি পালিয়ে গেছেন। তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আহতদের সবাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এখন পুলিশ হেফাজতে তাঁদের চিকিত্সা চলছে। তবে তাঁদের অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।

লিবিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে দালালচক্র দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অবৈধভাবে লিবিয়ায় লোক পাঠাচ্ছে। তারা দুই থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে লোকজনকে প্রথমে মিসর, সুদান, নাইজার, শাদ এসব দেশে নেয়। এরপর সেখান থেকে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করায়। এভাবে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে শত শত বাংলাদেশি গ্রেপ্তারও হয়েছেন। অনেকে নানা ধরনের বিপদে পড়ছেন।

কিন্তু তার পরও অবৈধভাবে লোক পাঠানো বন্ধ হচ্ছে না। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না হওয়ার কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘সুদান, শাদ, মিসর থেকে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে এভাবে হাজারো বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরে আমরা তাঁদের ছাড়িয়ে এনেছি। কিন্তু এভাবে অবৈধভাবে প্রবেশের কারণে আমাদের স্বাভাবিক বাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.