রমজানেরই রোযার শেষে এল খুশির ঈদ
************* ঈদ ও দয়াল নবীজীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন ।
প্রতি বছর ঘুরে ফিরে আসে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর নিকট ঈদ ,
বা ঈদুল আযহা এবং ইদুল ফেতর । ।
আমাদের নবীজীর দুনিয়ায় আসার আগমন সংবাদ বিশিষ্ট নবী
রাছুল গন কিতাবের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন ।
এখন প্রশ্ন হল ঈদ কি ইব্রাহিম আ এর সময়ে শুরু হয়েছিল , তদীয়
পুত্র ইসমাইল আএর পরীক্ষা মুলক কোরবানির মাধ্যমে ।
ঈদ মানে আনন্দ /খুশি প্রকাশ /
আসলে কি ?
হযরত আদম আ তার সন্তান দের একত্র করে মাঝে মধ্য পশু কোরবানি দিতেন এবং খুব খুশি হয়ে আল্লাহর নিকট শক্রিয়া আদায় করতেন , তাদের নানা উপদেশ দিতেন ।
নুহ আ , দাউদ আ , সুলায়মান আ, তাদের জীবনীতেও এরূপ
বহু ঘটনার বিশদ বিবরন পাওয়া যায় ।
নবী করীম সা এর একটি ঘটনা এমন হুদাবিয়ার সন্দির মুহূর্তে
১৪ শত সাহাবা নিয়ে হজ্ব আদায় করতে গিয়ে হুদাবিয়া নামক
স্থানে তারা সবাই শিবির নির্মাণ করে অবস্থান নেয় এবং মক্কার
কুরাইশরা ভয় পায় । নানা হুমকি আসে তাদের পক্ষ থেকে , তারা মনে করছিল নবীজী যুদ্ধে লিপ্ত হবে । কিন্তু নবীজীর পক্ষ থেকে
উসমান গনি রা কে তাদের নিকট পাটানো হয় , কিছুক্ষন পর
মুসলিম শিবিরে সংবাদ আসে উসমান রা কে হত্তা করা হয়েছে ।
সাথে সাথে নুর নবীজী সব সাহাবাকে শপথ বাক্য পাঁট করান এবং
উট কোরবানির নির্দেশ দেন । সাহাবা গন একে একে ৭০ টি উট
কোরবানি দেন । উটের রক্তে হুদাবিয়া রঞ্জিত হয়ে ছিল ।
এই খবর কুরাইশগন অনুধাবন করে উসমান রা কে সসম্মানে
ছেড়ে দেন এবং সন্দি স্থাপনে এগিয়ে আসে ।
কুরআনের আয়াত নাজিল হয় হে আল্লার হাবিব সন্দি স্থাপনে
তাদের বন্ধু ভাব এটা নিশ্চয় আপনার জন্য প্রকাশ্য বিজয় ।
সন্ধির শর্ত অনুযায়ী ২ বছর পরেই ১০ হাজার সঙ্গী সাথি লয়ে
মক্কা বিজয় করছিলেন ।
সেই থেকে হজ্বের সম্পূর্ণ নিয়ম কানুন দয়াল নবীজীর নির্দেশিত
পন্তায় চলে আসছে , কেয়ামত পর্যন্ত এই নিয়মের বহির্ভূত হবেনা ।
আদম আ এর সাথে হাওয়া আ এর মিলন হয়েছিল এই আরাফাতে
এবং কানায়ে কাবা আদম আ এর দোয়ায় আল্লাহ পাক আরশের
মসজিদ বায়তুল মামুরের আদলে ফেরেস্তাগন বানিয়ে ছিল ।
বহু বছর পরে নুহ আ সংস্কার করে এবং মহা প্লাবনে ডুবে যায় ।
ইব্রাহিম আ এবং ইসমাইল আ মাটি কুঁড়ে বের করে সংস্কার করে ,
এবং হজরত মোহাম্মদ সা এর সময় তা পরিপূর্ণতা পায় ।
এজন্য
প্রথম এবং শেষ নবীর নিদর্শন আল্লাহর মহান অনুকম্পা সব মিলিয়ে হজ্ব , যা মুসলমানদের জন্য ফরজ ।
আর যাদের হজ্বে যাওয়ার মত সমর্থ নেই তাদের জন্য খুলা আকাশের নিচে একত্র
হয়ে খোদার দরবারে শক্রিয়া আদায় এবং তার নিকট ক্ষমা প্রাথনা
করা হজ্বের সমতুল্য । এবং পশু কোরবানি করা অয়াজিব ,
কোরবানির মাংস সমান ৩ ভাগ করে ১ভাগ আত্মীয় কে ১ভাগ গরিবকে ১ভাগ নিজে খাওয়া /অন্যকে তামেদারি করা ছুন্নত ।
সবাই ভেদাভেদ ভুলে ঈদ আনন্দ যেন ভাল হয় সবার তরে ,
আস এক্ষনি প্রস্তুতি নেই । যার আছে আর যাদের নেই মিলে মিশে
ভাগ করি জামা কাপড় ।
নিজে আনন্দ করি আর দুঃখী নিঃস্ব তাদেরও মুখে হাসি ফুঁটাই ।
ঈদ হোক সকলের জন্য আনন্দময়
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা অনেক । ঈদ মোবারক .।
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহ মাতুল্লিল আলামিন
অর্থ ঈমানের মুল কোরআনের রোহ বা নুর এবং দিনের মগজ মানে ইসলামের মগজ তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত নুর নবী
হযরত মোহাম্মদ সা । কবি আল্লামা মাওলানা রুমি রা এর জগত বিখ্যাত কিতাব মসনবি শরিফ থেকে যা কোরআন এর সার বস্তু
আবার শাহ জালাল ইয়েমেনি রা এর বয়ান
খোদা ভি হায় রেজা জুয়ে মোহাম্মাদ
খোদা মিলতা হায় দরবারে মোহাম্মদ
আল্লাহ হইতে মোহাম্মদ দূরে নয়
আল্লাহ কে লাভ করতে মোহাম্মদের দরবারে আস ।
কোরআনের আয়াত , কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইবিবকুমুল্লা এয়াগ .। .। .। .। .।
.। .। ।
অর্থ যদি তোমরা আমি আল্লাহকে পাইতে চাও সর্ব প্রথম আমার
হাবিব /মোহাম্মদের অনুসরণ কর । তবেই আমি তোমাদের
ক্ষমা করে দেব ।
কুন তু কাঞ্জাম মাগফিয়ান হাদিসে কুদসি
আল্লাহ বলেন আমি একটা গোপন ধন ভাণ্ডারে নিহিত ছিলাম ।
ব্যখ্যা , যখন আল্লাই আল্লাহ আর কেহ ছিলনা তখন ইচ্ছা পোষণ করলেন আমার নাম কে ডাকবে / আল্লাহর জাতী নুর হইতে সৃষ্টি করলেন মোহাম্মদ যার অর্থ প্রশংশিত যিনি শুধু প্রশংশারই যোগ্য । মোহাম্মদ সৃষ্টি হইয়া মাবুদের নাম দিলেন
আল্লাহ । কারন আল্লাহ তার নাম নিজে ডাকবে কেমন করে ।
বাংলা শের
আল্লাহর নুরে হইল সৃজন নুর নবীজীর নুর বধন
নবীজীর নুরে হইল সৃজন কুল মাখলুখাত ত্রিভুবন ।
আওয়াল আখের যাহের বাতেন এক আল্লাহ ছাড়া তার সমান আর কেহ নাই / নিজে খোদা প্রেমিক সাজে কলমাতে তা দেখতে পাই ।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহামমাদুররাছুলুল্লাহ ।
এত এব প্রমানিত তিনিই ঈমান ও ইসলামের মগজ । আল্লাহ ও তার রাছুল সা কে আমরা জানি ,ভয় করি , এবাদতের মাধ্যমে
অবশ্যই আল্লাহ তার বান্ধার প্রতি ক্ষমাশীল ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।