আস্তিক নাস্তিক সবাই পড়েন...এরপর আপনার মুল্যবান মন্তব্য দিবেন।
১.
প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আরও ভেঙ্গে যদি বলি, আমি মেঝেতে একটি বল যে বলপ্রয়োগে মারব মেঝে তা ঠিক সেই পরিমান বিপরীতমুখী বলদ্বারা তা ফিরিয়ে দিবে। অর্থাৎ আমার বলমারা যদি ফল হয় তবে বলের উপরের দিকে উঠে আসা হবে প্রতিফলন।
আমাদের এই পৃথিবীর নিয়মে একলোক একটা খুন করলে তার ফাসি একবারই হবে, আবার একলোক একশত খুন করলেও তার ফাসি একবারই হবে।
একবার খুন করার ফলের প্রতিফল যদি হয় একবার ফাসি তবে একশত খুনের জন্য ফাসির প্রতিফল হবে একশত বার ফাসি। তাহলে পৃথিবীর নিয়মকানুন মেনে একলোককে একশতবার ফাসি দেয়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে আমাদের এমন একটা পরিস্থিতির অবতাড়না করতে হবে যাতে কবে এই পৃথিবীর যাবতায়ী অসমাবস্থা, অসামঞ্জস্য দূর করা যাবে।
আস্তিকদের সবার ক্ষেত্রেই কিন্তু ধর্মানুসারে পরবর্তীজীবনের কথা বলা আছে। নাস্তিকের কাছে কি এমন কোন প্রাকৃতিক ব্যাবস্থা আছে যার মাধ্যমে একশ খুনের প্রতিফল আর একটি খুনের প্রতিফলকে আলাদা করতে পারবেন ?
আমাদের এই সমাজের মধ্যেই আমরা এমন লোক দেখতে পাই যিনি নিজে শুধু অপরের উপকার করে বেড়ান, কারো অনিষ্ঠ করেন না।
কিন্তু দেখা যায় যে তার জীবনটাই সবচেয়ে বেশী দুঃখ কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত। এই দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে করতে সে মারা গেল।
নাস্তিকের কাছে কি এমন কোন প্রাকৃতিক ব্যাবস্থা আছে যার মাধ্যমে উপকারীর জন্য এমন কোন পুরস্কার দিবেন যাতে করে তার ভাল কাজের প্রতিফল সে দেখতে পায় ?
২.
আচ্ছা বর্তমান প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান আর যুক্তিবিদ্যা দিয়ে এটা প্রমান করা সম্ভব কেউ একজন আছেন। । যিনি প্রতিটি দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান বস্তুর জন্য কিছু নিয়মকানুন দিয়ে দিয়েছেন।
যার বিরুদ্ধাচরন করা সেই বস্তুর জন্য সম্ভবপর নয়। এসিডের ধর্মের সাথে কখনো লবনের মিলবে না, আবার লবনের ধর্মের সাথে এসিডের মিলবে না। যদিওবা মিলে যায় তা হবে ব্যাতিক্রম। এই ব্যাতিক্রম হল সৃষ্টিকর্তার যে কোন বস্তু বা যে কোন ঘটনায় যে কোন ফল দেবার সামর্থের প্রমান।
আমরা আমাদের আশেপাশের যে ফুল ফল, পশু পাখি দেখি তার জীবনপ্রক্রিয়া যদি দেখি তাহলে দেখতে পাব আমাদের এই পরিচিত পৃথিবীর যে দৃশ্য দেখি তা হবার চেয়ে না হবার সম্ভাবনাই ছিল বেশি...প্রায় ৯৯.৯৮%(আনুমানিক)।
এটা আমরা সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারব গানিতিক পারমুটেশন এন্ড কম্বিনেশনের মাধ্যমে।
আমাদের জন্মের বৈজ্ঞানিক ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখব প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন শুক্রানুর সাথে যুদ্ধ করে যে শুক্রানু ওম্বের সাথে মিলিত হতে পেরেছিল সেই আমার ডি. এন . এ ব্যাবস্থা। অর্থাৎ এই যে আমি এবং এর যে আজকের রূপ তা এটা হবার চাইতে না হবার সম্ভাবনাই কোটি কোটি গুন বেশী। এ তো শুধু আমার ক্ষেত্রে। এই পরিচিত পৃথিবীর চারিদিকে তা তাকান।
এর প্রতিটি জিনিষই এই রকম হবার চাইতে না হবার সম্ভাবনাই কোটি কোটি গুন বেশী ছিল। আর তাহলে টোটাল পৃথিবীতে যতগুলো জীব জানোয়ার, গাছ গাছালি, সমুদ্র পাহাড় পর্বত.....যা আছে সব...সবার মিলিতভাবে আজকের অবস্থায় আসার সম্ভাবনা কত নগন্য তা কি আমরা ধারনা করতে পারি?
আস্তিক তো বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন তিনিই সব সৃষ্টি করেছেন এত নিখুতভাবে আর এত দ্রুত। নাস্তিক কি এমন কোন প্রাকৃতিক ব্যাবস্থার কথা বলবেন যার দ্বারা প্রমান করা যাবে আমরা যা দেখছি তা এমনি এমনি আমাদের সামনে এত দ্রুততম সময়ে এত সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে?
৩.
কোনভাবেই ভাববেন না আমি এই যুক্তিতে আস্তিক।
ধরে নেই সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নাই। তাহলে পৃথিবীতে প্রচারিত ধর্মগ্রন্থসসমূহ না মানার কারনে আস্তিক নাস্তিক কারও কোন বিচার হবে না।
কিন্তু যদি সৃষ্টিকর্তা যদি কেউ থেকে থাকেন তবে আস্তিকগন সৃষ্টিকর্তা প্রচারিত ধর্মগ্রন্থসসমূহ মানার জন্য আস্তিকরা পুরস্কৃত হবেন আর নাস্তিকরা শাস্তি পাবেন.....তাদের নিজেদের প্রতি জুলুম করার জন্য, তাদের অকৃতজ্ঞতার জন্য, তাদের একগুয়েমীর জন্য।
সে ক্ষেত্রে আস্তিক কি নাস্তিকের চাইতে বেশী ভাল অবস্থায় নেই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।