বাঙলা কবিতা
ফাল্গুনের পঞ্চমীর রাতে
---------------------------
এ জীবন ধু ধু যন্ত্রণার,
তবু এই জীবনের আনন্দ অপার;
যে জেনেছে, জন্ম তার
ফাল্গুনের পঞ্চমীর রাতের আঁধারে;
আমি চিনি তারে।
তার সাথে নানা শলা-পরামর্শ করি___
আর সেই সুদর্শনা সাপিনীর ফণা জাপটে ধরি,
বলি, জীবন মহৎ!
এই সৎ উচ্চারণ থেকে, তবু সরে যাই___
যেতে যেতে দেখি, নদী নাই;
অথচ এখানে ছিলো, একটু আগেই,
এভাবেই ভাবনার খেই
সব সুতা ছিঁড়ে, ছুটে যায়...
অন্য কোনও নদীটির পাড়ে?
এ জীবন কোনওদিনও চেনে নাই যারে!
'জীবন গিয়েছে চলে, আমাদের, কুড়ি কুড়ি বছরের পার'
তবু সেই চিন্তা-সম্ভার
কেন ডাকে ডুমুরের, হিজলের গাছে?
আমাদের জীবনের আরও কোনও গূঢ় অর্থ আছে!
অথচ আবার এই ফাল্গুনের পঞ্চমীর রাতের আঁধারে,
এ হৃদয় ভালোবাসে কারে?
সে কোনও মানবজন্ম? মানুষ ও মানুষীর প্রেম?
নাকি সেই সাপিনী-ফণায় জ্বলা অভূতপূর্ব মণি-হেম!
পুনরায়, ফাল্গুনের পঞ্চমীর রাতে, আজও হায়,
কোন কথা জলের মন্দিরা হয়ে বেজে-ভেসে যায়?
সে কি আসে, এ সবুজ করুণ বাংলায় !
___________________
কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিনে
একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি....
___________________
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।