জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
পাকিস্তান জামায়াতের আমির সৈয়দ মুনাওয়ার হাসানের দেয়া বিবৃতিটি নিয়ে আমরা কৌতুক করতে পারি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে 'হস্তক্ষেপ' করার মতো যথেষ্ট আন্তর্জাতিক মিত্র জামায়াতের রয়েছে।
বাংলাদেশে 'জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান'র দল হিসেবে হস্তক্ষেপের খুব একটা সুযোগ বা ক্ষমতা না থাকলেও সে এক্ষেত্রে তার মিত্র দেশগুলো দিয়ে হস্তক্ষেপের কাজটি করাতে পারার মতো ক্ষমতা দলটির রয়েছে। এবং তার মিত্র দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল-সৌদি বলয়কে সে পুরোপুরি সহযোগি হিসেবে পাবে।
এরা শুরু থেকেই জামাতকে মডারেট ইসলামিক পার্টি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এবং জামাতও কৃতজ্ঞতা স্বরুপ এদেশে এদের চাপিয়ে দেয়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতির পূর্ণ সমর্থক। পাশাপাশি এ বলয়টি তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন ভূ-রাজনীতিকে ব্যবহার করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ এশিয়ার আরো বেশ কয়েকটি দেশকে তাদের পক্ষে দাঁড়া করাতে পারতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের জোর আরো বাড়বে। আর যারা মনে করছেন এ হস্তক্ষেপ শুধু সামরিক তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
এটির ধরণ হবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। এ সুযোগটি তারা পাবে কারণ আমাদের অর্থনীতি স্বাধীন নয়, দুঃখজনকভাবে এ বলয়টির আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জালের উপর আমাদের অর্থনীতির বড় অংশটিই নির্ভরশীল।
এক্ষেত্রে স্বনির্ভর অর্থনীতি তৈরীর চেষ্টা ও জামাতের পৃষ্ঠপোষক আন্তর্জাতিক শক্তি বলয়ের বাইরে নতুন অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের কি কোনো উদ্যোগ আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।