বাংলাদেশের সংবিধান প্রথমে থাকলো ধর্মনিরপেক্ষ। পরে সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, মূলনীতি: "মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস", এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযোজনের মাধ্যমে সংবিধানকে প্রথমবারের মত হিজরাকরণ করা হলো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানেই রইলো, বাস্তবে ইসলামী চেতনার প্রসারে সরকার কিছুই করলো না। বরং চরম ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড দুর্ণীতিতে মত্ত রইলো সামরিক/সামরিক মদদপুষ্ট সরকারগুলো। শরিয়া আইন বা অন্যান্য ইসলামী নীতির স্বীকৃতি সংবিধানে মিললো না।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, অথচ শরিয়া আইন অচল, এটা একধরণের হিজরা ব্যাবস্থা বৈকি।
এরপর গণতন্ত্রের যুগে ২০ বছর অতিক্রান্ত হলো প্রায় হিজরা সংবিধান দিয়েই। এরপর আবার ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরে এসে সংবিধানকে পুরোপুরি হিজরা করে দিল। কিন্তু সরকার বুঝতে ব্যর্থ যে, একই অঙ্গে শিশ্ন ও যোনী থাকলেই নারী-পুরুষ উভয়কে খুশি করা যায় না, বরং উভয়েরই বিবমিষা উদ্রেক করে।
বলতে পারেন, বাংলাদেশ উভয় ধরণের সিস্টেম থেকে ভালোটা নিয়ে তো নতুন একটি চমৎকার ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।
কিন্তু আমাদের নেতাদের কি সেই সততা এবং দূরদৃষ্টি রয়েছে? তারা তো উভয়ধরণের সিস্টেম থেকে খারাপ দৃষ্টান্তগুলোই অনুসরণ করবে নিজেদের সুবিধার্থে।
ধর্মনিরপেক্ষতার মানেই হচ্ছে রাষ্ট্র হবে ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন। রাষ্ট্র ধর্ম পালনে অনুপ্রেরণা দেয়া বা বাধা দেয়া, কোনটাই করবে না। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার তো কোন মানেই নেই। মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক বিবেচনায় ভবিষ্যতে আবার কোন সুপ্রীমকোর্টের রায়ে হয়তো এটা পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি রাষ্ট্রধর্ম ও রাষ্ট্রভাষা রাখার পক্ষে নই। রাষ্ট্র কোন ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্র একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের সকল শ্রেণীর স্বীকৃতি থাকাই কাম্য। সমাজের বিভেদ সৃষ্টিকারী কোন কিছুকেই রাষ্ট্রের প্রমোট করার যৌক্তিকতা নেই। [প্র্যাকটিক্যাল কারণেই সরকারী ভাষার প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রভাষা সম্ভবত বাড়াবাড়ি]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।