এ বছর বাজেটের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো বাজেটে প্রথমবারের মত সমাজের নিগৃহিত শ্রেণী বেদে, হিজরা, দলিত হরিজন সম্প্রদায় এর জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ। সরকার এ বছর এই প্রথম দলিত, হরিজন, বেদে ও হিজড়াদের জন্য আলাদাভাবে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।
বিস্তরিত দেখুন-ই-প্রথম আলো,পৃ-১৪ ০৯.৬.১২
কালের কন্ঠ ০৯.০৬.১২
সমাজের সবচেয়ে অনগ্রসর ও অবহেলিত দলিত, হরিজন সম্প্রদায়কে আলাদাভাবে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নারায়ণঞ্জের এ সম্প্রদায়ের লোকজন। সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, সরকার মানবিক বিবেচনায় প্রথমবারের মতো তাঁদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখায় তাঁরা একে স্বাগত জানান। হরিজন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় এনে ভবিষ্যতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো হবে বলেও তাঁরা আশা প্রকাশ করছেন।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার, নিতাইগঞ্জ, ডাইলপট্টি, ইসদাইর, কুমুদিনী, চিত্তরঞ্জন, ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী, মাসদাইর শ্মশান, বন্দরের একরামপুর, মদনগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি পাম্প, কাঁচপুর ব্রিজ, সোনারগাঁ, ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন এক প্রকার মানবেতর জীবন যাপন করছে। সমাজের উঁচু শ্রেণীর কাছে তারা এক রকম অস্পৃশ্য।
টানবাজার এলাকার রাজেন্দ্র কুমার দাস কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা তো হরিজন অর্থাৎ হরির (ঈশ্বর)জন, কিন্তু উঁচু শ্রেণীর মানুষেরা আমাগো দেখলে দশ হাত দূর দিয়া পাশ কাইট্টা চলে যায়। নাক সিটকায়।
আমরা শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করলে তাদের অবস্থা কী হবে একবার চিন্তা করে দেখেছে। '
হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের বেশির ভাগই বংশ পরম্পরায় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। কেউবা বেসরকারিভাবে বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি চাকরির অভাবে কেউ কেউ অন্য পেশায়, বিশেষ করে গার্মেন্ট খাতে চলে যাচ্ছেন।
হ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।