নতুন ধারার রাজনীতিতে জাতীয় ঐকমত্যের ভাবনাবিলাস
ফকির ইলিয়াস
============================================
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তারেক রহমান এখন মুখ্য নাম।
তারেক রহমান এখন থাকেন বিলাতে। আর জয় থাকেন মার্কিন মুল্লুকে। জয় মার্কিন নাগরিক কিনা- তা আমি জানি না। তবে তিনি মার্কিন দেশেই লেখাপড়া করেছেন।
তার পত্নীও একজন আমেরিকান। অন্যদিকে তারেক রহমান, জীবনে যা মিস করেছিলেন তা পুষিয়ে নিচ্ছেন বিলাতে থেকে। তার সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন। তার পত্নীও সেখানে ডাক্তারি পড়ছেন। তারেক নিজেও আইন বিষয়ে লেখাপড়া করছেন- সে খবর আমরা মিডিয়ায় জানছি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি এখন ইংল্যান্ড-আমেরিকা নির্ভর, তা বেশ স্পষ্ট করেই বলা যাচ্ছে। তারেকের ‘লন্ডন ঘোষনা’য় তিনি নতুন ধারার রাজনীতির কথা বলেছেন অতিসম্প্রতি একটি ইফতার মাহফিলে। বিএনপির বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে মিডিয়াগুলো জানাচ্ছে- আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এমনই দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে। সে আলোকে ইতোমধ্যেই ইশতেহার প্রণয়নের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন তারা। আগামী ঈদের পর ইশতেহারের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।
ইতোমধ্যে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি সময়োপযোগী নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপির এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকছে, যুবসমাজের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান আর যে কোনো মূল্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার। সেই সঙ্গে আগামী সরকারের উন্নয়ন ও নতুন ধারার শাসন ব্যবস্থার রূপরেখা। এরই অংশ হিসেবে পরিবর্তনের সেøাগানে তরুণ ও নারীদের এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। ক্ষমতায় গেলে বিরোধী দলের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি বন্ধের সুস্পষ্ট ঘোষণাও থাকবে এতে।
এ ছাড়া সরকারের মেয়াদ শেষে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থার অঙ্গীকারও থাকবে ইশতেহারে। আমরা পত্র-পত্রিকায় পড়েছি, তারেক রহমান অতি সম্প্রতি সেখানে এক কর্মী সমাবেশে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নয়ন রূপরেখা উপস্থাপন করেছেন। এতে বাংলাদেশের কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও পর্যটন, রাজধানীর যানজট, পানি, বিদ্যুৎসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে করণীয় স্পষ্ট করে তিনি বলেন, অতীতমুখিতা নয়, দৃষ্টি দিতে হবে ভবিষ্যতের দিকে। তারেক রহমান তার লন্ডন ভাষণে বলেছেন- ‘আমাদের গড়ে তুলতে হবে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর।
এই অগ্রযাত্রার গতি হতে হবে দ্রুত। লক্ষ্য হতে হবে সুনির্দিষ্ট। ’ তিনি বলেন, ‘অতীতমুখী নয়, আমাদের চেতনা ও দায়বদ্ধতা হতে হবে ভবিষ্যতে। গতানুগতিক ধারার রাষ্ট্র পরিচালনায় আবদ্ধ থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ কিন্তু খুব উজ্জ্বল নয়। ’
এখানে একটি বিষয় বলে নিতে চাই।
বিলাতে সম্প্রতি বিএনপির একটি নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটিতে সভাপতি হয়েছেনÑ শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেনÑ কয়সর আহমদ। এই দুজনসহ কমিটির সকলেই নতুন মুখ। পুরোনো যারা বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা কেউই স্থান পাননি। বিষয়টি হচ্ছে এই, তারেক রহমান সম্পূর্ণ নতুন মুখ এনেছেন বিলাত বিএনপির রাজনীতিতে।
যারা তার অনুগত হবে। এখানে অভিজ্ঞতা মোটেই প্রাধান্য পায়নি। না পাবারই কথা। কারণ প্রবীণদের অনেক স্বৈর মানসিকতায়ই অনুগত করা যায় না। বলা দরকার, ঠিক একই কায়দায় তারেক রহমান অনুগতদের দিয়ে ‘হাওয়া ভবন’ গড়ে তুলেছিলেন।
প্যারালাল সরকার দাঁড় করিয়েছিলেন বাংলাদেশে। এর ফলাফল কী হয়েছিল, তা দেশের মানুষ খুব ভালোই দেখেছেন।
অন্যদিকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। জয় বলেছেন, আমার কাছে তথ্য আছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। সুতরাং আগামী ছয় মাস মানুষের কাছে গিয়ে বিএনপির অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরতে হবে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বিএনপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদেরও প্রচারণায় নামতে হবে। এখন থেকে আগামী ছয় মাস বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে হবে। মানুষ যদি আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কথা বলে, তাহলে তখন বলবেন, আসুন আমরা বিএনপির আমলের দুর্নীতির সঙ্গে এ আমলের তুলনা করি। তাহলেই মানুষ সহজে বুঝবে।
কারণ তাদের কোনো সফলতা নেই। তাদের সময় বাংলাদেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতি নিয়ে গবেষণা করে। তাদের গবেষণায় আমরা এখন দুর্নীতিতে ৪০তম কোঠায় আছি। আর বিএনপি পাঁচ বছরে এক নম্বরে ছিল।
আজ আমরা সেখান থেকে কোথায় এসেছি? আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি। তাদের সময় দুর্নীতির কথা বলাই যেতো না। চার বছর আমরা কিভাবে দেশ চালিয়েছি তা দেশবাসী দেখেছে। বিএনপি আমলের মতো এমন কোনো ভবন হয়নি যেখানে ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে হয়। বিএনপি আমলে এমন কোনো ছোটখাটো ব্যবসা ছিল না যেখান থেকে হাওয়া ভবনকে চাঁদা দিতে হয়নি।
তারা শুধু খাম্বা দিয়েছে। বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকায় কতোগুলো ফ্লাইওভার তৈরি করেছে। একটা ফ্লাইওভারের জন্য কাউকে কোনো চাঁদা দিতে হয়নি। হাতিরঝিল তৈরি করে ঢাকা শহরের চেহারা পাল্টে দেয়া হয়েছে।
সেখানে গেলে মনে হয় দেশের বাইরে কোথাও এসেছি। ঢাকাকে আন্তর্জাতিক শহরের মতো মনে হয়। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর দিয়েছি। এভাবে অর্থনীতি এগোলে ২০২১ ভিশন-২১ বাস্তবায়ন হবে। ’
তিনি বলেন, ‘রমজানে কোনো খাদ্যের দাম বাড়তে দেয়নি সরকার।
হয়তো অনেকে ভুলে গেছে বিএনপি সরকারের আমলে রমজানে কিভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তো। এটা ভুলে গেলে চলবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ এগিয়েছে বিএনপির দুই আমলেও সে পরিমাণ দেশ এগোয়নি। এই দেশে যতো উন্নয়ন হয়েছে সব আওয়ামী লীগের সময় হয়েছে।
বিএনপির সময় হাওয়া ভবনের মাধ্যমে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি হয়েছে। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয়েছে। ১০ মাসের শিশুকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপি আমলে যেভাবে নির্যাতন হয়েছে তা কোনোভাবেই মানুষকে ভুলতে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, আমরা ২১ আগস্টের কথা ভুলিনি। আমার মায়ের ওপর বোমা হামলা করা হয়েছিল। আমাদের দলের ২৩ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৪০০ জনকে আহত করা হয়েছিল। আমি ছোটবেলায় যাদের সঙ্গে খেলতাম তাদের মা আইভী রহমানকে মেরে ফেলা হয়েছিল।
হাওয়া ভবন থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নিজে পরিকল্পনা করে এ হামলা করে। এর বিচার হবেই। ’
জয়ের এই ‘তথ্য’ নিয়ে অনেক কথা বলছে বিরোধী দল। পাঁচটি সিটি নির্বাচনে তারা জেতার পর এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে এই ভেবে যে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েই ক্ষমতায় যাচ্ছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
তবে বলতে পারি, আগামী দিনে নির্বাচন হবেই। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে গন্ধ পাচ্ছি, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের রায় নিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসবে। ’
আওয়ামী লীগ যখন এই ‘তথ্য’ ও ‘গন্ধ’-এর রাজনীতি নিয়ে মাঠ গরম করছে, তখন খবর বেরিয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করবে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ক্ষমতায় গেলে বিএনপির দলীয় কাঠামোর মধ্যে নেই এমন নেতৃস্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে রাষ্ট্র পরিচালনায় কাজে লাগাতে চায়। এজন্য শাসনতান্ত্রিক কাঠামো পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের পক্ষে তারা।
পাশাপাশি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদের মতো ব্যক্তিকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। অনুরোধে রাজি হলে এ দুজনকে উপ-প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ বা বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রশাসনকে প্রকৃত অর্থে বিকেন্দ্রীকরণের ইচ্ছা রয়েছে দলটির। পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ন্যায়পাল নিয়োগ, সরকারি কর্মকর্তাদের ওএসডির বিধান বাতিলসহ ইতিবাচক নানা উদ্যোগ রয়েছে দলটির বিবেচনায়। বিএনপি বিদেশী দাতা ও সরকারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ড. ইউনূস, ফজলে হাসান আবেদ ও গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দিয়ে কাজে লাগাবার কথা ভাবছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
কথা হচ্ছে এই, ক্ষমতায় যাবার জন্য এমন কৌশল বিএনপি আগেও নিয়েছে। ২০০১ এর নির্বাচনে জিতে কী তা-ব তারা চালিয়েছিলÑ তা মানুষের ভুলে যাবার কথা নয়। আজ যে উপজেলাকে শক্তিশালী করার কথা বিএনপি বলছে, সেই উপজেলা পদ্ধতিকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল এই বিএনপি-ই। রাজধানী ঢাকার যে করুণ পরিণতি, তাতে এই চাপ কমাবার জন্য বাংলাদেশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে রাষ্ট্রক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের যে প্রস্তাবনা জাতীয় পার্টি প্রধান এইচ এম এরশাদ এতোদিন থেকে বলে আসছেন তা অনেকের কাছে অপ্রিয় হলেও তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
আমার কাছে খুব স্পষ্টই মনে হয়, বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে না। কারণ অনির্বাচিত কোনো উপদেষ্টামণ্ডলী দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা শাসিত হবার মানসিকতা এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে গড়ে ওঠেনি। ফলে দুকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট যদি করতেই হয় তা হতে হবে আমেরিকার সিনেট ও কংগ্রেসের আদলে। উভয় পক্ষের প্রতিনিধিকেই ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে তা সম্ভব না হলে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার ভাবনাবিলাস হয়েই থেকে যাবে।
তাছাড়া বিএনপি যেভাবে বিভিন্ন দুষ্টগ্রহ দ্বারা আচ্ছাদিত, তাতে তারা মুখে বললেও কাজে অনেক কিছুই করতে পারবে না। বর্তমান সরকার আগামী কয়েক মাসে আরো অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে নিজেদের আরো সর্বনাশ ডেকে আনবে কিনা তাও ভাবনার বিষয়। কারণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগ নেতা রিয়াজউদ্দিন খান ওরফে মিল্কিকে যেভাবে নারকীয় কায়দায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তা জনবিবেককে হার মানিয়েছে। ঘাতকের নাম জাহিদ সিদ্দিকী তারেক বলে জানিয়েছে র্যাব। তিনিও যুবলীগ নেতা।
গোটা দেশজুড়েই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে হত্যার রাজনীতি। যা আগামী কয়েক মাসে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
---------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : শনিবার, ৩ আগস্ট ২০১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।