সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল
ভারতীয় নাগরিক জনৈক ব্রাক্ষ্মণ কন্যার কুল নস্ট করা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ বংশিয় ব্যাটা আশরাফ সাহেব, বয়সের আগেই ভীমরতির শিকার হয়েছেন। গতকাল এক সভায় তিনি বলেছেন, জিয়া ও এরশাদের সময়কার প্রজন্ম নাকি নস্ট প্রজন্ম।
নস্টের সংজ্ঞা অনেকের কাছে অনেক রকম হতে পারে। তার কাছে নস্টামির সংজ্ঞা কি জানি না। তবে যেহেতু তিনি রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সেহেতু তিনি রাজনৈতিক দৃস্টিভঙ্গির মাপকাঠিতেই নস্টামির সংজ্ঞা মাপবেন, তাতে সন্দেহ কি?
৫২ সালে জন্ম তার।
এর পর কোথায় কি করেছেন তার বিস্তারিত খুজে পেলাম না। লেখা আছে তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আওয়ামি লিগ করলে যা হয় আর কি ! রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পেয়ে যায়।
আহা রে। ।
এমন যুদ্ধই করেছেন আশরাফ মিয়া যে তার রেকর্ড খুজে পাওয়া মুশকিল। অবশ্য তার মত আরো মুক্তিযোদ্ধা আছেন। যেমন শেখ ফজলুল হক মনি। অবশ্য শেখ কামাল জামালও মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এই তো সেদিন পর্যন্ত জাতি জানতো না এই সহোদর দুজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল।
তবে এতদিন কি খেয়ে বেহুশ হয়ে থাকা ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম, ২০১০ সালে এসে হুশ ফিরে পাওয়াতে, কামাল জামালের মুক্তিযোদ্ধার সনদগুলি হাসিনার হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে দেশ ও জাতির কল্যাণে আশরাফ সাহেব কি করেছেন কে জানে? তবে ছাত্রলিগের নেতা সবার সুবাদে তিনি কি কি করতে পারেন, তার জলজ্যান্ত উদারাহ্রণ তো ইদানিং কালের ছাত্র লিগের কর্মকান্ড দেখেই দিব্যি আচ করা যায়।
৭৫ সালে ৪ নেতার নহত হবার পর আশরাফ সাহেব নাকি লন্ডনে চলে গিয়েছেইলন "পড়াশুনা" করতে। কি ডিগ্রি নিয়েছিলেন, সেটাও জাতির কাছে অজানা।
হঠাত করেই তিনি রাজনীতির মঞ্চে অবতীর্ণ হয়েছেন।
এবং যাদু কাঠির ছোয়ায় আঃ লিগের অনেক বাঘা বাঘা নেতাকে ডিঙ্গিয়ে সোজা সাধারন সম্পাদক পদে। অবশ্য প্রাক্তন সাঃ সম্পদক জলিল সাহেবের ভাষ্য মতে, ডি জি এফ আইয়ের সাথে গোপন আতাত করে তিনি নাকি পদটি বাগিয়েছেন।
একে তো আওয়ামি লিগার, এর পর শশুড়বাড়ি ইন্ডিয়াতে। তাই ইন্ডিয়ার স্বার্থ রক্ষায় তার মেহেনতের কমতি নেই। যেমন বাফার স্টেট নিয়ে ল্যাথার্জিক পররাস্ট্রমন্ত্রি দিপুমনী বেকায়দায় পড়লে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন এই আশরাফ সাহেবই।
বাকি গুলির ফিরিস্তি দিয়ে কি লাভ? বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যা করছে, তা সবই তো ভারতের স্বার্থ রক্ষার্থেই। তাই দেশে বিদ্যমান সমস্যাগুলি চক্রহারে বেড়ে চললেও আঃ লিগের কারো কোন বিকারই নেই।
তা আশরাফ সাহেব জিয়া-এরশাদের প্রজন্মের প্রতি এত খেপলেন কেন? উত্তর হলো, যত সহজে বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের ডিজিটাল বলে মগজ ধোলাই করা গিয়েছে, পুরানো প্রজন্মদের তত সহজে বাগে আনা যাচ্ছে না। এই "বেয়াদপ" গুলির জন্যই "দুই তৃতীয়াংশ" ভোট পাবার পরেও প্রায়ই ফাটা বাশে ইয়ে পড়ে আওয়ামি লিগের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
এই "পাপিস্ট" প্রজন্মের লোকগুলি
পাছার নীচে প্যান্ট পড়ে না, বান্দিশ (বাংলা হিন্দি ইংলিশ) ভাষায় কথা বলে না, ভাষা ও সংস্কৃতিকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা করে থাকে, স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনাকে লালন করে ইন্ডিয়ার আগ্রাসনকে আদর সোহাগের দৃস্টিতে দেখতে চায় না, ছাত্রলীগের "ন্যায় সঙ্গত" আচারণকে সন্ত্রাসি কার্যকলাপ বলে অপবাদ দেয়, ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামি লিগের বানানো ইতিহাসের বিরুদ্ধাচারণ করে, ৭২-৭৫ পর্যন্ত আওয়ামি দুঃশাসন স্মৃতিতে জাগুরুক করে রাখে এবং নতুনদের বলেও বেড়ায়, এই রকম হাজার রকমের ক্যারফা করে ধোয়া তুলসি পাতার মত আওয়ামি লিগের নাম খারাপ করে চলে।
আসলে সেই প্রজন্মের তরুণ তরুণিরা
ইভিটিজিংকারিরে তৎক্ষনাৎ উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দিতো তাই ধর্ষনে সেঞ্চুরি তো অনেক দূর প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করতেও চিন্তাভাবনা করতে হতো, বাংলা ভাষার সাথে বিজাতিয় ভাষা মেলাতো না, রাজনৈতিক চুদুর বুদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজপথ কাঁপাতো, একতা রক্ষা করে ছাত্র নামধারি সন্ত্রাসিদের ক্যাম্পাস ছাড়া করতো, দ্রব্যমুল্য কিংবা যানবাহনের অযৌক্তিক মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করতো, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন যাতে না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতো।
এই সব "অপকর্মকারি"রা আশরাফের মত রহস্যজনক চরিত্রদের কাছে নস্ট বলেই তো প্রতিয়মান হবে।
ওহ সর্বশেষ একটা কথা। আওয়ামি লিগ করে করে ব্লগ ফাটিয়ে ফেলা অনেকেই তো সেই প্রজন্মেরই মানুষ। তারাও কি নস্ট? আসলে ফাটা বাশে ইয়ে পড়ে আশরাফের মাথাটাই গিয়েছে।
বেশি করে গরুর মাংস খাওয়া উচিত তার। অন্তত গরুর সমান বুদ্ধি হলেও এ ধরণে প্রলাপ বকা থেকে বেচে যেতে পারেন উনি।
*দুটি ব্লগে এক সাথে প্রকাশিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।