আমি সুমাইয়া বরকতউল্লাহ। ছাত্রী। লেখালেখি করা আমার ভীষণ পছন্দ। আমি ছড়া, গল্প লিখি। পত্রিকায় নিয়মিত লিখি।
লেখালেখি করে বেশ কয়েকটা পুরস্কারও পেয়েছি। শিশু অধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ (প্রিণ্ট মিডিয়া) পর পর ৩ বার জাতিসংঘ-ইউন
ঈদের কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলাম। গিয়েছিলাম কয়েকটা নামকরা শপিংমলে।
শপিংমলগুলোতে ঢুকে ওয়াও! নতুন ডিজাইনের পোশাকে ভর্তি দোকানগুলো। অধিকাংশ পোশাকই এসেছে আমাদের পাশের দেশ থেকে।
সেই দেশের নামকরা নায়িকাদের নামে নামে পোশাক। দেখলে চোখ দাঁড়িয়ে যায়। আর দাম শুনলে চোখ দুটো লাফিয়ে উঠে কপালে।
মনে মনে হিসেব করে দেখলাম, এখানকার একটি ছোট্ট জামার মূল্য দিয়ে একটা পরিবারের ঈদের আনন্দ-উৎসব হয়ে যায় ভালোভাবে।
শপিংমলগুলোতে আমার মতো বয়সের মেয়েদের পোশাকই বেশি।
দামও বেশি। মৌমাছির মতো এসে ভিড় করছে বড়লোকের ছেলেমেয়েরা। তারা হনহন পনপন করে হাঁটছে। তাদের হাঁটাচলার মধ্যে বড়লোকি ঢং আছে। একটু নাচের ছন্দে হাঁটে।
পায়ের গোড়ালি সহজে লাগে না মাটিতে। অধিকাংশ ছেলেরা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও শ্যাণ্ডো গেঞ্জি পরে আর মেয়েরা টাইড প্যান্ট গেঞ্জি পরে এসেছে।
ছেলে-মেয়েদের হাতে-পায়ে, চোখের কোণায় পরা আছে নানা রকমের অদ্ভুত অলংকার। অলংকারের চিপায় রঙ্গীন ফিতা ও সুতারবাধা আছে। গলায় মালা, তবজিহছড়া।
চশমা আছে তবে চোখের না, কপালের। তাদের কথায় আর ব্যবহারের ভাবটাও জানি কেমন একটু সে-ই রকম। দেখলে ভালই লাগে। তারা ঝটপট জামা দেখছে। পটাপট কথা বলছে।
লেটেস্ট ডিজাইন চায়। এমন ডিজাইন যে, এর আগে কেউ পরবে দূরের কথা দেখেও নি, এমন পোশাক! দোকানদার বেটাও কম না। চাপা মারে আর জামা দেখায়। জামা দেখে পছন্দ হলে ছেলে বা মেয়েটি খালি ইশারা করলেই হলো, সাথে সাথে প্যাকেট হয়ে যায়। ছেলে-মেয়েদের আনন্দের সীমা নেই।
তারা দামি জামাটি কিনে হেলে-দুলে চলে যায়। নামে দামে ছক্কা।
পোশাকগুলো দেখে আমি মনে মনে ভাবছি, এই পোশাক পরে কি মাটিতে পা ফেলে হাঁটা যাবে? নাকি মখমলের ওপর দিয়ে কোনো এক স্বপ্নের জগতে গিয়ে হাঁটতে হবে। কেমন হবে সেই হাঁটাহাঁটির দেশটা? পরেই মনে হলো সেই গানটি..."আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরি..."।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।