ভব ঘুরতে চাই। ভবঘুরে হতে চাই না।
র্যাবের গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠির রাজাপুরের কলেজ ছাত্র লিমন এইচএসসি পরীক্ষায় এ গ্রেড (জিপিএ ৪) পেয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে লিমনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাউখালীর কাঁঠালিয়া পিজিএস বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ ফলাফল জানতে পারে। গত ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীায় কারগরি শিাবোর্ডের অধীনে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-বিএম শাখায় দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় লিমন কাউখালী কেন্দ্র থেকে অংশগ্রহণ করেন।
কারিগরি শিাবোর্ডের এইচএসসি বিএম শাখার শিার্থীদের ১৬ বিষয়ে ১৬০০ নম্বরের পরীায় অংশ নিতে হয়। প্রথম বর্ষে আটটি বিষয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় লিমন এ গ্রেড পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায়ও সে এ গ্রেড পান। লিমন জানান, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ র্যাবের গুলিতে পা হারানোর পর তিনি ওই বছরের এইচএসসি প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় এক বছর পিছিয়ে পড়েন। উল্টো র্যাব তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করায় নানা হয়রানিতে লেখাপড়ায় ক্ষতি হয়।
তাকে নির্যাতন ও হয়রানি না করা হলে আরো ভালো ফল আসতো বলে লিমন জানান। এত ঝড়-ঝাপটার পরও এইচএসসি পরীক্ষায় এ গ্রেড পেয়ে খুশি লিমন। ২০১১ সালের ২৩ মার্চ এইচএসসি পরীক্ষার ১২ দিন আগে বাড়ির কাছের মাঠে গরু আনতে গিয়ে র্যাবের গুলিতে পা হারান রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান লিমন হোসেন। এ ঘটনায় র্যাব তার বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় দু’টি মামলা করে। একটি অস্ত্র আইনে, অন্যটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে।
গত ২৯ জুলাই র্যাবের দায়ের করা অস্ত্র মামলা থেকে লিমনকে অব্যহতি দেয় ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২।
বি.দ্র.: কপি পেষ্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।