শুক্রবার গভীর রাতে মামলা দুটি হয়।
একটি মামলায় নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু ও নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য মামলায় নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস কে খোদা তোতনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সৈয়দ আল রাব্বীর মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় নগর যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, নগর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিহারী গুড্ডু ও আবদুল হাইকেসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয় বলে জানান তিনি।
পাল্টা মামলাটির বাদী বুলুর অনুসারী ছাত্রদল নেতা মো. জহির।
এসআই বিল্লাল বলেন, এ মামলায় নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস কে খোদা তোতনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
খুলশী থানার ওসি মইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুটি মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
গত ৩১ জুলাই নগর ছাত্রদলের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর অনুসারী ও ‘পদবঞ্চিতদের’ মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই দিন বিকেলে নগরীর পশ্চিম খুলশী এলাকায় সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ‘পদবঞ্চিত’ পেেক্ষর কয়েকজন অনুসারীর ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনার পর ‘পদবঞ্চিত’ পক্ষের অনুসারীরা বুলুর বাসায় গিয়ে হামলা চালায়। এতে বুলুসহ সাত নেতাকর্মী আহত হন।
ঘটনার পরদিন গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় ‘সরকারি এজেন্টরা’ জড়িত বলে অভিযোগ করেন।
এরআগে গত ২১ জুলাই নগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ‘পদবঞ্চিতরা’ বিক্ষোভ শুরু করে।
গত ২৪ জুলাই নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে অগ্নিসংযোগ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে পদবঞ্চিতরা। ২৬ জুলাই ডা. শাহদাতের কুশপুত্তলিকাও দাহ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।