"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
আমাদের স্কুলের দেয়ালের ওপাশে ছিল ডাকাতিয়ার বিল। যখন ক্লাস নাইনে পড়ি দেয়াল ভেংগে গিয়েছিল, আমরা দেয়ালের ওই পাশে ডাকাতিয়ার বিলে বেড়াতে গিয়েছিলাম। একটা মেয়ে ছিল যে বিলের মধ্যে আইলের মাঝে হাটতে পারে না, সে কখনোও এমন জায়গায় আসে নি এটা বোঝানোর প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছিল, তার ভাব খানা এমন ছিল যেন আমরা আইলের মধ্যে রেগুলার দৌড়ের কম্পিটিশান করি! কিছুদূর যাবার পর মেয়েটা কাদায় পড়ে গেল...
আরেকটা মেয়ে ছিল, ক্লাস এইটে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। কেন যেন মেয়েটা আমাকে অনেক পছন্দ করতো। ওদের বাসা ছিল তৎকালীন বিআইটি (বর্তমানে কুয়েট) এর মধ্যে, স্কুলের পাশে।
আমাকে কয়েকদিন ওদের বাসায় বেড়াতে নিয়ে গিয়েছে। কলেজে উঠে আলাদা কলেজে ভর্তি এবং বর্তমানের মত মোবাইল ফোন না থাকায় যোগাযোগ ছিল না। কিছুদিন আগে শুনলাম ওই মেয়েটা বাথরুমে পড়ে মারা গিয়েছে।
আমাদের ২টা হুজুর স্যার ছিলেন। ফার্স্ট মাওলানা স্যার আর সেকেন্ড মাওলানা স্যার।
ফার্স্ট মাওলানা স্যার অতি অমায়িক একজন মানুষ, কাউকে পড়া ধরলে সে স্যারকে পাত্তা না দিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে, স্যার পরের জনকে ধরতেন!
কিন্তু সেকেন্ড মাওলানা স্যার খুবই বদ। খুব বদ থেকে কিভাবে যেন উনার নাম 'কুববদ' হয়ে গিয়েছিল। আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলাম উনার নামটা। কুববদ স্যার কখনো পড়া না পারার জন্য পিটাতেন না। উনি পিটাতেন নামাজ না পড়া আর মাথায় স্কার্ফ না দিলে।
স্কুল থেকে বের হয়ে অনেক মেয়েই মাথা থেকে স্কার্ফ ফেলে গলায় বাধতো, স্যার ভ্যানে করে যাবার পথে যদি দেখতেন স্কার্ফ গলায়, সাথে সাথে চিৎকার করতেন, এই ওইটার নাম কি? রোল কত? কোন ক্লাসে পড়ে??
স্কুলে যেতে আমার মোটেও ভাল লাগতো না। যেটা আমার ভাল লাগে না সেটা নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা করাও আমার স্বভাবে ছিল না কোনদিন। আমি প্রায়ই স্কুলে যেতাম না, মাঝে মাঝে আম্মু রাগ করে আমাকে বাসা থেকে বের করে দিতে চাইতো।
যখন স্কুলে পড়তাম ভাবতাম কবে কলেজে উঠবো ...... আর আজ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলি! ভাল্লাগে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।