মনের কোনো কথাই তো বলা হলো না অথচ বেলা শেষ হয়ে এলো
আমাদের দেশীয় প্রশাসনের শেকড় সন্ধানে আর্য ঋষিদের রচিত মহাভারত পাঠের যুক্তি হলো ভারত আধিকারের আগে আর্যদের রাজতান্ত্রিক প্রশাসন সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না, বেদ মহাভারত ও অন্যান্য প্রাচীন ও পৌরাণিক গ্রন্থসমূহে ‘আর্যদের নিজেদের কোনো রাজা ছিল না’ বলে যার স্বীকৃতি রয়েছে। অপরপক্ষে ভারতবর্ষে বিশেষ করে পূর্বভারতে মহাভারতের যুগেরও বহু পূর্ব হতে শক্তিশালী রাজতান্ত্রিক প্রশাসন গড়ে ওঠে। পূর্বভারতীয় রাজাদের অসুররাজ, রাক্ষসরাজ, দৈত্যরাজ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়েছে এসব গ্রন্থে। উল্লেখ্য সে কালে পূর্বভারতের মগধ সাম্রাজ্য শুধু ভারতবর্ষে নয়, সমগ্র পৃথিবীরই অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্র্ভূত হয়। বিশেষত বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা, কামরুপ ও প্রাগজ্যোতিষপুরের সামরিক মৈত্রীজোটকে কেন্দ্র করে মগধে যে শক্তিশালী রাজতান্ত্রিক প্রশাসন গড়ে ওঠে, পরবর্তীতে তারই ছায়াপাত ঘটে আর্যদের গড়ে তোলা রাজতান্ত্রিক প্রশাসনে। আর্যরাও তাদের নিজেদের জন্য রাজা নির্বাচন করে। মহাভারতে বর্ণিত রাজনৈতিক, সামরিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রশাসন-কাঠামো ও অনুসৃত যোগযোগ প্রক্রিয়ার মাঝে আমাদের দেশের বিলুপ্ত প্রশাসনের শেকড় সন্ধান তাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত মনে হয়। এসব বিষয়ে বি¯তারিত আলোচনা এ গ্রন্থে উপস্থাপিত হয়েছে। আলোচনায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে, আমাদের আজকের প্রশাসনিক কাঠামো ও যোগাযোগ বিজ্ঞানের ভিত্তি মোটেও পশ্চিমা প্রশাসনিক দর্শনের অনুকম্পায় গড়ে ওঠেনি, বরং তা পশ্চিমা প্রেক্ষাপটের বহু পূর্ববর্তী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।