আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাভারতে মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী !-২

"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.

মহাভারতে কল্কীর পরিচয়ঃ (ক) তিনি যুদ্ধ করিবেন - হযরত মোহাম্মদ সাহেব একমাত্র মহাপুরূষ, যিনি ধর্মপ্রচার সহিত (ধর্মকে রক্ষা করার জন্য) যুদ্ধ ও করিয়াছেন । (খ) তিনি ধর্মবিজয়ী, সম্রাট - হিন্দু, ইহুদী, খ্রীষ্টান ধর্মসমূহ অসংখ্য দেবতা, মহাপুরুষদ্বারা প্রতিষিঠত হইয়াছে এবং উক্ত ধর্মগ্রন্হগুলির সঙ্গে রাজত্বের কোন সম্পর্ক নাই । কিন্তু হযরত মোহাম্মদ সাহেব একাই একটি ধর্ম এবং একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন, যাহা একমাত্র কল্কী অবতার করিবেন বলিয়া শাস্ত্র-সমূহে ভবিষ্যদ্বাণী করা হইয়াছে । (গ) চৌর তথা বিনাশ শেষে অশ্বমেধ যাগ করিবেন - হযরত মোহাম্মদ সাহেব সমগ্র বিধর্মীদের বিনাশ ও সমগ্র আরব জয় করার পর শেষ হজ্ব ও কোরবানী পালন করেন । এইজন্য ইহাকে The farewall Pilgrimage বা বিদায় হজ্ব বলা হয় (Hitti ch vii page 119) ইহার তিন মাস পরেই তিনি পরলোকগমণ করেন ।

(ঘ) তিনি বিধাতৃ-বিহিত অর্থাৎ ঐশী-বিধান লাভ করিবেন - হযরত মোহাম্মদ সাহেব ঐশী বিধান কোরআন প্রাপ্ত হন এবং উহাকে পৃথিবীতে স্হাপন করেন । (ঙ) তিনি স্বদেশে থাকিবেন না বরং রমনীয় কাননযুক্ত স্হানে আবস্হান করিবেন - হযরত মোহাম্মদ সাহেব স্বদেশ ত্যাগ করিয়া মদীনায় অবস্হান করেন , যা ছিল অত্যন্ত রমণীয় স্হান । Madina was much more favoured by nature (Hitti part I ch vii page 104) ভূলোকে অধিবাসীগণ সেই নিয়মে কার্য করিবে - ইসলামে আজ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ অনুরূপভাবে মক্কায় হজ্ব ও কোরবানী করার পর মদীনায় যাওয়ার নিয়ম পালন করিয়া আসিতেছে । (চ) সেই যুগে সত্যযুত আসিবে এবং অধর্ম ঘুচিবে - হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) যখন মক্কা বিজয় করেন , তখন তিনি কোরআনের এই আয়াত পাঠ করেন - সত্য সমাগত , মিথ্যা অধর্ম অপসৃত । Towards the end of January 630 the conquest of Makkah was complete. Entering its great sanctuary Muhammad Smashed the many idols, said to have numbered three hundred sixty, exclaming; Truth hath come and falsehood hath vanished ! (History of Arabs, Part I ch. 8 Page 118) (ছ) পূর্বে সেই আশ্রমে পাষন্ডের দল পাপ কোলাহল করত, কল্কী উহা উদ্ধার করেন - উপরে উল্লেখিত হইয়াছে যে, মক্কার সবচাইতে বড় ধর্মস্হান (কাবা) প্রতিমাপূজকদের হস্তগত ছিল, হযরত মোহাম্মদ সাহেব উহা উদ্ধার করেন ।

(জ) তিনি চিরবদ্ধমূল কুসংস্কার সমূহ নির্মূল করিবেন - হযরত মোহাম্মদ সাহেব ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে সকল কুসংস্কার নির্মূল করেন এবং বণভেদে জাতিভেদ উচ্ছেদ করিয়া ধর্ম পালনে সকলকেই অধিকার দান করেন । (ঞ) তখন সকলে ধর্ম কর্মে রত থাকিবেন - হযরত মোহাম্মদ সাহেব মহাপুরূষ রূপে পাচটি এবং সম্রাট রূপে একটি , মোট ছয়টি বিষয়ের নির্দেশ দেন । এক আল্লাহতে বিশ্বাস, নামায, রোযা, হজ্ব, জাকাত এবং জিহাদ । এবং তাহার যুগে প্রতিটি মুসলিমকে উক্ত ছয়টি কার্য রত থাকিতে হয় । (ট) ধর্ম সহকারে সুবিচারে পৃথিবী পালন- তিনি সকল বিচার -আচার আল-কোরআন এর আইন অনুসারে করে থাকতেন এবং ইসলামী খেলাফতের খলীফাগণও তাই করতেন ।

সুতরাং সুষ্পষ্টরূপে দেখা যায় যে, এই সভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্রতির যুগে নয় বরং ঐতিহাসিকগণ যে যুগকে 'অজ্ঞতা ও বর্বরতার যুগ' বলিয়া চিহ্নিত করিয়াছেন, উহাই কলি যুগ । সেই কলি যুগে আবির্ভূত হযরত মোহাম্মদ সাহেব যে ধর্ম, গুনাবলী, আদর্শ, ঐশী বিধান, যে প্রতাপ ও পরাক্রম নিয়া আসিয়া ছিলেন এবং কল্কীর গুনাবলী ও লক্ষণ সমূহের সঙ্গে তাহার যে সামনজস্য পলিক্ষিত হয় তাহা একাধারে অভূতপূর্ব এবং বিস্ময়কর । বিশ্বের মানুষ আজ স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছে যে, ধর্ম জগতে তাহার মত সিদ্ধ মহাপুরূষ ও ধর্মের বিজয়ী আর কখনো আর্বিভূত হন নি এবং পৃথিবীর ইতিহাসে তাহার মত রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা সম্রাটও কেউ জন্মগ্রহণ করেন নাই । অনেকে মনে করেন যে, কল্কী অবতার আর্য জাতির ব্রাক্ষণ গোত্রের মধ্য হইতে আসিবেন । সে ক্ষেত্রে -ও আমরা দেখিতে পাই যে, হযরত মোহাম্মদ সাহেব আর্য ব্রাক্ষণ-ই ছিলেন ।

বেদাচার্য উমেশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ঋগ্বেদ সংহিতার ভূমিকায় বলেন যে -, আর্যগণ ভারতবর্ষ হইতে আরবে গিয়া বসতি করিয়াছিল । শ্রী নগেন্দ্রনাথ বসু প্রাচ্য বিদ্যামহার্ণব বিশ্বকোষে বলেন, মোহাম্মদ সাহেবের পূর্বে মক্বায় অগ্নিপূজকগণের প্রার্দুভাব ছিল । তখন ভারতবাসী হিন্দু গণ বাণিজ্য যাত্রা উদ্দেশ্যে মক্বায় আসিতেন । শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র মহশয় ইসলাম প্রসঙ্গ গ্রন্হে হযরত মোহাম্মদ সাহেবকে আর্য বলিয়াছেন (৮৮ পৃঃ) উক্ত গ্রন্হের পাদটীকায় [The New Popular Encyclopedia (VOL) page 272] এবং ইসলাম ও বিশ্বনবী ২য় খন্ড ২৬৯ পৃঃ উল্লেখ আছে - হযরত মোহাম্মদ সাহেবের দেহের গঠন, অঙ্গসৌষ্ঠব, ধর্মনীতি এবং বংশ ও গোত্র বৈশিষ্ট, সবই তাহারা স্বরে তাহার আর্য্যত্ব ঘোষণা করিতেছে । আর শুধু হযরত রাসূলই এই আর্য কোরেশ বংশীয় ছিলেন না, প্রথম খলীফা চতুষ্টয় হযরত আবুবকর, হযরত উমর, হযরত উসমান ও হযরত আলী - এই আর্য কোরেশ রক্ত-ই বহণ করতেন ।

অতএব হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ইহল আর্য বংশীয় ব্রাক্ষণ গোত্রের মহাপুরূষ এবং তাহার পূর্ব-পূরূষগণ বংশ পরম্পরায় 'কাবা' ধর্মগৃহের প্রধান পুরোহিত ছিলেন । কল্কির জন্ম ও পুরোহিতের গৃহেই হইবে বলিয়া উল্লেখ আছে । সূত্রঃ ---বেদ - পুরাণে আল্লাহ ও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) - ধর্মাচার্য অধ্যাপক ড. বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়, ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়, ৪৫, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০.

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।