We Are For All !
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা এ জায়গাটিতে রয়েছে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের চমৎকার চমৎকার মন্দির। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে চারিদিকে বিস্তীর্ণ সমুদ্রের দিগন্তে মিলিয়ে যাওয়া জলরাশি দেখা যায় কেবল মহেশখালী থেকেই। পাহাড়, দ্বীপ আর সাগরের এই মিলনস্হলে প্রতিদিন বহু লোক ঘুরতে যায়।
যেভাবে যাবেন
মহেশখালী যেতে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে পারেন স্হলপথ, রেল পথ কিংবা আকাশ পথে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের পথে যে সব এসি বাস চলাচল করে তা হলো-গ্রীন লাইন, নেপচুন, সোহাগ পরিবহন। ভাড়া ৪৮০ থেকে ৫১০ টাকা এবং নন এসি বাসে ভাড়া ৩০০ টাকা। সৌদিয়া, এস আলম, ইউনিক, চ্যালেঞ্জার প্রভৃতি নন এসি বাস চলে কক্সবাজারের পথে। কক্সবাজার নেমে কস্তরী ঘাট যেতে হবে রিকশায়।
মহেশখালী ঘাট বললেও সবাই চেনে। কস্তরী ঘাট থেকে মহেশখালী স্পীড বোট কিংবা লঞ্চেও যাওয়া যায়। স্পীড বোটে মহেশখালীর ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা আর পথ মাত্র ১৫ মিনিটের। লঞ্চে ভাড়া ১৫ টাকা, সময় এক ঘন্টার মতো।
প্যাকেজ
ঝামেলাহীন ভ্রমণ করতে যে-কোনো ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে যেতে পারেন মহেশখালী।
মহেশখালীতে প্যাকেজ ট্যুর পরিচালনা করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো-
১. জার্নিপ্লাস
ঠিকানা : রুম # ৫০/এ, ২য় তলা, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা।
ফোন : ৯৬৬০২৩৪, ০১৮১৯২২৪৫৯৩।
২. রিভার এন্ড গ্রীন ট্যুরিজম
এম আর সেন্টার, বাড়ি # ৪৯ (৭ম তলা), সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা।
ফোন : ৮৮২৬৭৫৯।
৩. সেন্টমার্টিন ট্যুরিজম লিমিটেড
৩৭, বি পুরানা পল্টন, ঢাকা।
ফোন : ৯৩৩৮৪৩১।
চ্যানভয়েজ ট্যুরিজম
বাড়ি # ২৮, সড়ক # ৩, সেক্টর # ৪, উত্তরা, ঢাকা। ফোন : ৮৯২১৫৬৪।
যেখানে থাকবেন
মহেশখালীতেই রাত্রি যাপনের ব্যবস্হা আছে। মহেশখালীতে মোটামুটি ভাল থাকার হোটেল হলো ‘হোটেল সি গার্ডেন’।
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে থাকতে পারেন। এখানে বেশকিছু ভালোমানের হোটেল আছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল শৈবাল, লাবনী, প্রবাল ছাড়াও বেসরকারি হোটেলগুলো হলো হোটেল সী গাল, হোটেল সী প্যালেস, মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল, জিয়া গেস্ট হাউজ, সোহাগ গেস্ট হাউজ, গ্রীন অবকাশ রিজোর্ট, নিটল বে রেস্ট হাউজ প্রভৃতি। এসব হোটেলে ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায় রাত্রি কাটানোর ব্যবস্হা আছে।
যা যা দেখবেন
ব্রোঞ্জ নির্মিত বিশাল বৌদ্ধ মূর্তি: মহেশখালী স্টেশনে নেমে একটি রিকশা ঠিক করতে পারেন সারা দিনের জন্য।
রিকশাওয়ালাই গাইড করবে আপনাকে। স্টেশন থেকে প্রথমেই চলে যান বৌদ্ধ মন্দিরে। এখানে সোনালী রঙের দু’টি বৌদ্ধ মন্দির দেখতে খুবই সুন্দর। এছাড়া এখানেই রয়েছে ব্রোঞ্জ নির্মিত বিশাল বৌদ্ধ মূর্তি। মন্দির এলাকায় প্রবেশের আগেই জুতা খুলে রেখে যেতে হবে।
এখান থেকে বেরিয়ে সামনেই পড়বে উপজাতীয়দের তৈরি তাঁতবস্ত্রের দোকান।
আদিনাথ মন্দির:
বৌদ্ধ মন্দির থেকে বেরিয়ে চলুন মহেশখালীর আকর্ষণ-আদিনাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে। রিকশা আধাঘন্টা চললেই পৌঁছে যাবেন আদিনাথ মন্দিরের পাদদেশে। এই আদিনাথ মন্দিরটি কয়েকশ’ বছরের পুরনো। মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্হিত আদিনাথ মন্দিরে অবশ্যই উঠবেন।
ভূমি থেকে ৬৯টি সিঁড়ি অতিক্রম করে উঠে পড়ুন আদিনাথ মন্দিরে। এই মন্দিরের ভেতরেই রয়েছে অষ্টভুজা দুর্গা মন্দির। আদিনাথ মন্দির থেকে আরেকটু সামনেই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে আরেকটি মন্দির। এটি দেখতেও ভুলবেন না। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মন ভরে দেখে নিন চারপাশের সমুদ্রকে।
জেলে পাড়া:
আদিনাথ মন্দির থেকে নেমে চলে আসুন জেলে পাড়ায়। এখানকার জেলেদের জীবনযাপনের সাথে পরিচিত হতে পারেন। এছাড়া সমুদ্রের পাড়ে দেখতে পারবেন বিচিত্র শামুক আর ঝিনুক। মহেশখালীর যে-কোনো রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিতে পারেন মজার মজার সামুদ্রিক মাছ। কম দামে এখানে খেতে পারেন মজাদার রূপচাঁদা মাছ।
যারা শুঁটকি পছন্দ করেন তারা এখান থেকে কিনতে পারেন নানান ধরনের শুঁটকি।
আরো কিছু জায়গা:
মহেশখালীর আদিনাথ বাজার, জয়ের খাতা, হরিয়ার চরা, জেমঘাট, পাকুয়া, মাতার বাড়ি, পশ্চিমপাড়া প্রভৃতি জায়গাগুলোও চমৎকার। এসব জায়গায়গুলোতে যেতে ভুল করবেন না কিন্তু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।