ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল সড়কের ৬ নম্বর হোল্ডিংয়ে এখন আর কোনো বাড়িঘর নেই। পুরো জায়গাটি খালি। কিছুদিন আগে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন পুরো জায়গাটিই ফাঁকা মাঠ।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, ১৬৫ কাঠার এই বিশাল জায়গায় পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হবে।
তবে এর নকশা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুছ সাদাত সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, বাড়ি বুঝে নেওয়ার পর গত ২ ডিসেম্বর থেকে খালেদার পরিবারের লোকজন মালপত্র নিয়ে যান। তাঁরা বাড়ির সবকিছুই খুলে নিয়ে যান। এরপর সেনা প্রকৌশল শাখার লোকজন বাড়িটি ভেঙে ফেলেন। এখন সেখানে কোনো স্থাপনা নেই।
বাড়ি ছেড়ে খালেদা জিয়া গুলশানের একটি বাড়িতে উঠেছেন।
ঢাকা সেনানিবাসে ১৬৫ কাঠার এই বিশাল আঙিনার দোতলা বাড়িতে ৩৮ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। উচ্চ আদালতের আদেশে ওই বাড়িতে খালেদা জিয়ার বসবাসের সময়সীমা গত বছরের ১২ নভেম্বর শেষ হয়ে যায়। এর পরদিন তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বাড়িটির দায়িত্ব বুঝে নেয়। তবে বাড়িছাড়া হওয়ার পর খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, বল প্রয়োগ করে তাঁকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অবশ্য আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
সূত্র জানায়, ক্যান্টনমেন্টের এই বাড়িটি এ-১ শ্রেণীর ভূমি। সেনা বিধি অনুসারে সেনাবাহিনী ছাড়া কাউকে এই জমি ব্যবহার করতে দেওয়ার নিয়ম নেই
উৎস:প্রথমআলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।